পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বস্থ বিজ্ঞানমন্দিরের বার্ষিক সভা && লওয়া হয় । এই বিদ্যালয়ে শিশুদিগকে শিক্ষা দিবার উৎকৃষ্ট মন্টেসরি প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে। শিক্ষয়িত্রীদিগের এই কার্য্যে অভিজ্ঞতা আছে। তাহাতে শিশুরা অপেক্ষাকৃত শীঘ্র শীঘ্র জ্ঞানলাভ করিতেছে। তাহারা নিজেদের দেহ পরিচ্ছদ জিনিষপত্র ও ঘর পরিষ্কার রাথিতে, পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে, ছবি আঁকিতে, মাটির নানারকম জিনিষ প্রস্তুত করিতে, প্রভৃতি শিখিতেছে। মন্টেসরি শিক্ষ-প্রণালীকে আমাদের দেশের উপযোগ করিবার নিমিত্ত ক্রমে ক্রমে উহার কিছু কিছু বাহপরিবর্তন করা হইতেছে । আশুতোষ বিল্ডিঙে পুলিসের অত্যাচারের বিচার আশুতোষ বিল্ডিঙে পুলিস ঢুকিয় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দোষ ছাত্রদিগকে নিষ্ঠুর প্রহার ও রক্তপাত করিয়াছিল । বাংলার গবর্ণর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার । ব্যাপারট। তাহার কাছে গিয়াছিল। অন্তত: একজন নির্দোষ ছাত্রকে পুলিস প্রহার করিয়াছিল, এবং সাধারণতঃ কিছু অবিবেচনার পরিচয় দিয়াছিল, তিন ইঞ্জা স্বীকার করিয়াছেন, এবং দুঃখ প্রকাশ করিয়াছেন । তাহা ভাল । কিন্তু পুলিসের কাহারও কোন শাস্তি, এমন কি তিরস্কারও, হয় নাই । ইহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিণ্ডিকেট ও সেনেট সন্তোষজনক পরিসমাপ্তি মনে করিয়াছেন । আমরা তাহ মনে করি না । আমরা মনে করি, যেরূপ গৰ্হিত কাজ করিলে বেসরকারী লোকের শাস্তি হয়, সেরূপ গহিত কাজ করিলে সরকারী লোকেরও শাস্তি হওয়া উচিত । বস্থ বিজ্ঞানমন্দিরের বার্ষিক সভা - বস্থ বিজ্ঞানমন্দিরের গত বাৰ্ষিক সভায় আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বস্থ মহাশয় ১৯০০ খৃষ্টাব্দ হইতে আরম্ভ করিয়া তাহার বৈজ্ঞানিক আবিক্রিয়াসমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করেন এবং সম্প্রতি র্তাহার ছাত্রেরা যাহা করিয়াছেন তাহারও পরিচয় দেন। ১৯০০ খৃষ্টাব্দের আগেও তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করিতেন—তাহী পদার্থ-বিজ্ঞানের আলোক ও তাড়িত শাখার । পদার্থ-বিজ্ঞানেও তিনি জগতের জ্ঞান বৃদ্ধি করিয়াছেন। পদার্থ-বিজ্ঞানের গবেষণা করিতে করিতে যখন তিনি অজৈব ( inorganic ) পদার্থে জৈব *Tito ( organic matter-co ) No. প্রতিক্রিয় ও সাড়া পাইলেন, তখন হইতে র্তাহার গবেবণা-শক্তি নূতন দিকে ধাবিত হইল । উদ্ভিদ এবং জন্তু (animal) এই উভয়ের মধ্যে সাদৃশু ও সমধৰ্ম্মিত তিনি ক্রমশঃ অধিক পরিমাণে প্রদর্শন করিতেছেন । এবিষয়ে পাশ্চাত্য বহু বৈজ্ঞানিকের মত তিনি খণ্ডন করিয়াছেন । ভ্রম স্বীকার করিতে হইলে কখন কখন আর্থিক ক্ষতি হয়, শমানের লাঘব হইবার আশঙ্কা ত থাকেই । এই জন্য প্রম স্বীকার করিতে হইলে মহানুভবতার প্রয়োজন । তাহা সকল মানুষের এ সকল বৈজ্ঞানিকেরই থাকিবে, এমন আশা করা যায় না। তা ছাড়া, খুব বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারেও প্রথম প্রথম অনেকে অকপটভাবেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। ডারুইনের মত র্তাহার সমসাময়িক কোন কোন বৈজ্ঞানিক গ্রহণ করেন নাই ! এখনও তাহার মতের কোন কোন বিষয় সম্বন্ধুে তর্ক উঠিয়া থাকে । বস্তুতঃ, যে-বিষয়ে আগে কোন বৈজ্ঞানিক কিছু বলেন নাই, সে-বিষয়ে নূতন কিছু আবিষ্কার করিলে তাহা গৃহীত হইবার পথে বাধা উপস্থিত করিবার লোক বেশী না থাকিতে পারে। কিন্তু যে-বিষয়ে আগে হইতে বৈজ্ঞানিকদের নানা মত বিদ্যমান আছে, সে-বিষয়ে সেই সব মত খণ্ডন করিয়া নূতন সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করিতে গেলেই বাধা উপস্থিত করিবার লোক অনেক দেখ দেয় ও যুদ্ধ ঘটে । আচাৰ্য্য বহুকে এইরূপ যুদ্ধ এখনও করিতে হইতেছে। প্রত্যেক বিষয়েই তিনি অভ্রান্ত না হইতে পারেন, জয়ী ন হইতে পারেন ; কিন্তু র্তাহার জীবনের সত্তর বৎসর পূর্ণ হইবার উৎসবদিনে মনীষী রম্য রল। তাহাকে যে অভিনন্দন-পত্র পাঠান তাহাতে র্তাহাকে যে ক্ষত্রিয় বলিয়া সম্বোধন করিয়াছিলেন, সেই বৈজ্ঞানিক যোদ্ধৃত্ব র্তাহার আছে । রম্যারল । তাহাকে আবার কবিও বলিয়াছিলেন । তাছাও সত্য। তাছার মধ্যে যে কবিত্ব আছে, তাহ। ভারতীয়