পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] মতে এই অশাস্তির একমাত্র কারণ আমাদেরই মত মুষ্টিমেয় লোক র্যাহারা ইংরেজী শিক্ষাকে বদহজম করিয়া স্বাধীনতার নামে দেশের নিরুপদ্রব শান্তিপ্রিয় স্থখনিদ্রারত জনসাধারণকে আইনভঙ্গ করিবার পাপপ্ররোচন দিতেছে এবং রাজকর হইতে মুক্তি দিবার প্রলোভন দেখাইয়া এ আন্দোলনে টানিয়া আনিতেছে । জনসাধারণ যখন একবার ক্ষুব্ধ হইয় উঠে, তথন নেতাদেরও সাধ্য থাকে না ঘে তাহাদিগকে দমন করিয়া রাখেন, ফলে চারিদিকে মারামারি খুনোখুনি আরম্ভ হয় এবং এইভাবে অহিংসাআইনলঙঘমনীতি দেশময় হিংসা, বিদ্বেষ ও অশাস্তির হলাহল ছড়াইয় দেয়, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি স্থগিত হয়, মুষ্টিমেয় উগ্ৰমস্তিদু দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকের কল্যাণে অসংখ্য লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ইত্যাদি । যে কারণে ইংলণ্ডের জনসাধারণ এই সকল অদ্ভুত ধারণায় আস্থ বাম উহা পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের এক মই। সমস্ত । গণতন্ত্রের মূল কথা এই যে, দেশের প্রত্যেক বয়স্থ ব্যক্তি প্রত্যেক সমস্তাসম্বন্ধে ভাবিয়া নিজের মন্তব্য স্থির করিয়া নিজের মনোমত প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করিবে । সেজন্ত বিশ্বস্তসূত্রে সংবাদসরবরাহের ব্যবস্থা থাকা চাই । কিন্তু সংবাদ পত্রের কৰ্ত্তারা নিরপেক্ষ হইবার চেষ্টা করিলেও অজ্ঞাতসারে নিজেদের সংস্কারকে প্রচার না করিয়া পারেন না । তাই সংবাদপত্র হইতে সংবাদ-সংগ্রহের বিপদ এই যে, আমরা পৃথিবীকে সম্পূর্ণ নিজের চোখে না দেখিয়া অন্যের চোখে দেখিতে বাধ্য হই। প্রত্যেক সংবাদপত্রেরই যদি নিরপেক্ষ ও সংস্কারহীন হইবার একটা চিরজাগ্ৰত চেষ্টা বিদ্যমান থাকিত, তাহা হইলে ধার-করা চোখে পৃথিবীকে দেখার বিপদ হইতে আমরা, সম্পূর্ণরূপে না হইলেও, কিযুৎপরিমাণে মুক্ত হইতাম । কিন্তু খুব কম সংবাদপত্রই নিরপেক্ষ হইবার জন্য তেমনভাবে ব্যাকুল, সত্যের প্রতি তাহদের আকর্ষণ অতি গভীর – এমন অপবাদ কেহ তাহাদিগকে দিতে পারে না । আসল কথা এই যে, প্রত্যেক সংবাদপত্রই জনমতকে নিজের মতে দীক্ষিত করিবার জন্য ব্যগ্র, সত্য ঘটনাকে জনসাধারণের সম্মুখে তুলিয়া ধরাকেই সংবাদপত্র নিজের వి) --వ ইংলণ্ড ও বর্তমান ভারতীয় আন্দোলন 86 5) AJJAMMAJAMMAAA SAAAAASJS *s.-്.. একমাত্র কাজ যলিয়া মনে করে না । সংবাদপত্র তাই মানুষকে একটা জিনিষ দেখাইয়াই ক্ষান্ত নহে, সে জিনিয সে একটি বিশেষভাবে দেখাইবার চেষ্টা করে । দুইটি দেশের সম্বন্ধের দিক হইতে এই সংবাদ-সমস্ত। একটি জটিল ব্যাপার হইলেও পাশ্চাত্য দেশে অনেক সময়ই উহা তেমন গুরুতর আকার ধারণ করে না। ফ্রান্স কে ইংরেজরা নিজেদের সংবাদপত্রের চোখ দিয়াই দেখে সত্য, তেমনি ফ্রান্সও ইংলণ্ডকে ফরাসী সংবাদপত্রের মধ্য দিয়াই প্রধানত জানে । দুই দেশেরই নিজের মত প্রকাশের উপায় ও স্বাধীনত এতখানি রহিয়াছে যে, কোনো দেশই সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন ভাবে মিথ্যাকে প্রচার করিতে সাহস করে না । “টাইম্স"-পত্রে যদি ভুল সংবাদ ছাপান হয়, “ল তী” অবিলম্বে তাহার প্রতিবাদ করে । একই দেশের মধ্যে যেমন বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মতের প্রতিযোগিতায় সে দেশের জনসাধারণ শেষ পর্য্যস্ত সত্যকে পায়, তেমনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মতের প্রতিযোগিতায় পৃথিবীর জনসজাও মোটামুটি সত্যকে পায় । সমস্ত জগতের সম্মুখে ইংলণ্ডের নিজের মত ব্যক্ত করিবার অধিকার যতখানি আছে, ফ্রান্স, জাম্মেনী বা আমেরিকারও ঠিক ততখানিই আছে। পশ্চিমে এক দেশ - তাই মিথ্য রচনা করিয়া আর এক দেশকে বিপন্ন করিতে পারে না, কারণ সব দেশ হইতেই সেই মিথ্য রচনার দ্রুত তীব্র প্রতিবাদ সৰ্ব্বদাই আসে । এই সংবাদ-সমস্যা দুই দেশের মধ্যে তখনই বিশেষভাবে জটিল ও উগ্র হইয়া উঠে যখন পৃথিবীর জনমতের দরবারে হাজির হুইবার অধিকার উভয়ের মধ্যে সমানভাবে থাকে না । ভারতবর্ষ সম্বন্ধে বহির্জগত যেটুকু সুবাদ পায়, তাহা কেবল এদেশীয় লোকের মধ্য দিয়াই । ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ইংরেজ-প্রদত্ত প্রত্যেকটি সংবাদকে পশ্চিম মানিয়া লয়, স্বজাতি বা প্রতিবেশীকে সন্দেহ করার কোনে। কারণ আছে বলিয়া কাহারও মনে হয় না । আর ভারতবর্যের প্রতিবাদ , যে এতদূর আসিয়া