পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] হেতু মেয়েটি ট্যারা । রীতি অনুযায়ী বীণার লাঞ্ছনার অবধি রহিল না । সমস্ত দিন না খাইয়া বীণ। বিছানায় পড়িয়া রহিল ; রামহরিবাবু স্কুল হইতে ফিরিয়া নিতান্ত উদাসীনভাবে দাওয়ায় বসিয়া তামাক টানিতেছিলেন । এদিকে গৃহিণীর কণ্ঠস্বর ক্রমেই বাড়িতেছিল । ঠিক এমনি সময় অঙ্গনে নূতন একটি লোকের আবির্ভাব হইল ; আগস্তুককে দেখিয়াই গৃহিণীর স্বর অকস্মাৎ খাদে নামিয়া আসিল, তিনি প্রশ্ন করিলেন, “এস বাবা এস! কতদিন দেখিনি তোমাকে, ভাল ছিলে তো ?” আগস্তুক গৃহিণীর পায়ের ধূলা লইয়া কহিল, "এক রকম ছিলাম মার্সীম, আপনার আছেন কেমন ? মাষ্টার- . মশাই কোথা ?” রামহরিবাবু গলার আওয়াজ পাইয়া উঠিয়া বসিলেন, “কে, সুকুমার! এস, বস এইখানটায়। তাই ভাবছিলাম গরমের ছুটিটা গেল এলে ন! শহরে গিয়ে ভুলেই গেলে বুঝি আমাদের ?” মুকুমার বাবরী একটু ঝাকাইয়া কহিল, “ভুলতে পারি আপনাদের মাষ্টার-মশাই! যে স্নেহ মমতা পেয়েছি আপনাদের কাছে, তা কি ভুলবার ! বীণা কই ? আছে কেমন সে ?” রামহরিবাবু না-ডাকিতেই বীণা ধীরে ধীরে আসিয়া স্বকুমারকে প্রণাম করিয়া দাড়াইল । রামহরিবাবু নানা বিষয়ে কন্যাকে শিক্ষা দিতেছিলেন, সুকুমার জানিত । কুশল প্রশ্নের পর স্বকুমার জিজ্ঞাসা করিল, “এখন কি শিখছ বীণ ?” বীণা মৃদুস্বরে কহিল,"সেতার শিখ ছি—” সুকুমার উৎসাহিত হইয়া কহিল, “দুর্ভাগা দেশ ! ঘরে ধরে যদি তোমার মত বীণা জন্মাতে। তবে —” কথাগুলি বাশার বড় মিষ্ট লাগিল । সমস্ত দিন তিরস্কার শোনার পর স্বকুমারের এই স্নিগ্ধ কথা কয়টি শুনিয়া তাহার চোখে জল আসিল । সে মুখ ফিরাইয়। চলিয়া গেল। কিছুকাল নানা কথার পর স্বকুমার উঠিয়া গেল এবং যাইবার সময় বীণাকে উদ্দেশ করিয়া কহিয়া গেল যে, কাল বৈকালে সে সেতার শুনিতে আসিবে। ( & ) পাশের গ্রামের তালুকদারের একমাত্র পুত্র স্বকুমার। যখন তেঁতুলিয়া স্কুলে সে পড়িত তখন রামহরিবাবুর ট্যারা 8(tఫి বাড়ীতে সে একরূপ প্রত্যহের অতিথি ছিল । তাহার পর পাস করিয়া কলিকাতায় পড়িতে গিয়াছে প্রায় পাচ বৎসর। এখন আইন পড়িতেছে । মাঝে বাড়ীতে আসিলেই সে রামহরিবাবুর সহিত দেখা করিয়া ধাইত। গত বৎসর দেশে আসে নাই ; দেশের ঘুমন্ত ‘অন্তরলক্ষ্মীকে জাগাইবার জন্য জনকয়েক রন্ধু মিলিয়৷ "জাগ্ৰং যৌবন সমিতি’ নামে একটি সমিতি গড়িয়াছিল ; তাহারই কাজে সে ব্যস্ত ছিল । এই সমিতিরই স্থানীয় একটি শাখা স্থাপনের উদ্দেশ্যেই সম্প্রতি দেশে আসিয়াছে। পরদিন যথাসময়ে স্বকুমার আসিয়া উপস্থিত হইল । তাহার বগলে ‘জাগ্রৎ যৌবন সমিতি’র একগাদা ছাপা ইস্তাহার। সুকুমার বসিতেই রামহরিবাবু নিজের দুঃখ-কাহিনী বলিতে আরম্ভ করিলেন । বলা বাহুল্য, প্রসঙ্গের মূল বিষয় বীণার বিবাহ । বিবাহের প্রসঙ্গ, সেইসঙ্গে রামহরিবাবুর মুখে কন্যার গুণ-ব্যাখ্যান শুনিতেই বীণার মা আসিয়া উপস্থিত হইয়া কছিলেন, “রূপেই যে সব গুণ থেয়েছে ! তুমি ত বাবা কলকাতায় থাক, একটা যেমন-তেমন দেখে শুনে মেয়েটাকে পার করে দাও !” মুকুমার কহিল, “সে কি মাসীমা ! যেমন ডেমন ছেলে কি হবে ? তবে ওর যোগ্য ছেলে আমি দেখব, আপনি ব্যস্ত হবেন না ।” à গৃহিণী চলিয়া গেলেন, যাইবার সময় কহিয়া গেলেন, “ওর যোগ্য ছেলে ত্রিভুবনে জন্মায় নি। অমন ডানাকাটা পরী—” রামহরিবাৰু কহিলেন, “শুনছ ! গঙ্কন। শুনে শুনে মেয়েট। একেবারে মুষড়ে গেল ! এখন লজ্জায় কারও সামনে বেরোতেই চায় না । তুমি একটু ডেকে—” “আচ্ছ, তা করব । বীণা কই ?” স্বকুমার জিজ্ঞাসা করিল। রামহরিবাবু ডাকিলেন, বীণা তাহার পড়ার ঘরে বসিয়া আহ্বানেরই অপেক্ষা করিতেছিল, ধীরে ধীরে ७ह्थान रहे हारङ कब्रिध्न थांनिश खे*श्ङि इंश्ण r ब्रांमহরিবাৰু কহিলেন, “স্বকুমারকে একটু খাজনা শুনিয়ে নে "