পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম-সংখ্যা ] কাপড় হাষ্টে লইয়া বাসষ্ঠী সহস্যে কহিল—আমার ক রঙীন কাপড় পরার বয়স আছে এখনও ? পণ্ডিত কহিলেন-শোন কথা ! এই তো ষোল বচ্চর বে উত্তীর্ণ হয়েছে তোমার—এই তো রঙীন কাপড় রবার বয়স । বাসস্তী কাপড়খনি একটু নাড়িয়া চড়িয়া রাপিয়া দয়া কহিল—তা বটে। কিন্তু তোমার স্বী হয়ে এ চাপড় পর আমার আর সাজে না । পণ্ডিত তাহার কথার অর্থ ঠিক বুঝিতে পারিলেন না, iীর মুখের দিকে চাহিয়া কহিলেন -তার মানে ? বাসন্তী ফিক্ট করিয়া একটু হাসিয়া কহিল—সব থারই কি মানে থাকে-ও আমি এম্‌নি বললুম। }চ্ছা, আমার জন্য তে! কাপড় এনেছ, কিন্তু তোমার গিনের জন্য কি এনেছ দেখি ; পণ্ডিত লজ্জিত ইষ্টয় কহিলেন--কিছুই অনা হয়নি ধরি, যে তাড়াতাড়ি আসা, সময় পেলাম কথন । iার জন্য ভাবনা কি-কাল ন হয়— । এমন সময় কলিকায় ফু দিতে দিতে নিমাই অসিয়া jfಇ হইল । বাসস্থাঁ কহিল – তোর মামা তোর ষ্ট কি এনেছে দেখেছিস রে নিমাই ? নিমাই মামার হাতে হু কাটি তুলিয়া দিমু| কহিল— ষ্ট ন তো মামামা । বাসস্থী নিলাম্বরীট। তুলিয়া কহিল—এই দেখ । নিমাই লজ্জিত হইয়া কহিল-ধ্যেং ! আমি কি মেম! তুম ? বাসস্তী খিল পিল করিয়া হাসিয়া কহিল—আচ্ছা, ন পরতে পারিস, তোর বৌয়ের জন্য তুলে রাখবে। বলিস ? পঞ্জিত হুক হাভে করিয়া গুম হইয়া বসিয়া লেন । বাসস্তী বলিল—তামাক খেয়ে হতে পা ধুয়ে ধ, আমি খাবার জোগাড় দেখি । আয় রে, নিমাই যায়।-এই বলিয়া বাসষ্ঠী সেখান হইতে চলিয়া ’ল। পণ্ডিত মহাশয় নিৰ্ব্বাক হইয়৷ সেইখানেই " রহিলেন, বাসন্তীর ভাব দেখিয়া ত কায় দম ३ ९५४ ८रुन उिनि ভুলিয় গেলেন ।

AASAASAASAMMMASAMMAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAAeMMeAeS পণ্ডিত-মুর্থ 8ぬ wు পরদিন প্রাতে মুখ-গম্ভীর করিয়া পণ্ডিত মহাশস বহিৰ্ব্বটিতে বসিয়াছিলেন । রাত্রে তাহার মুনিদ্রা হয় নাই, উপরন্তু বাসষ্ঠীর ব্যবহারটিও কেমন ষ্ঠেয়ালীপ মত বোধ হইয়াছে । সেই দুঃস্বপ্নটির কথা বাসষ্ঠীকে তিনি সালঙ্কারে বলিয়ঃছেন । বলিতে বলিতে তাতার বুক কঁপিয়া উঠিয়াছে, কিন্তু বাসন্তী তাহ শুনিয়া শুঃ উচ্চহস্ত করিয়াছে মাত্র । বিবাহের নতুন আইনটি লষ্টয় আলোচনা করিতে গিয়াও তিনি বাসষ্ঠীর সমর্থন পান নাই, উপরস্তু সে টিটকারি দিয়া বলিয়াছে – এ আইন যদি আর কিছুদিন আগে আইন আগে পাশ হইলে কি হইতে পারিত - পণ্ডিত মহাশয় তাহ বিলক্ষণ জানিতেন, সুতরাং তিনি স্ত্রীর কথার গুঢ় অর্থ উপলব্ধি করিয়া মনে মনেই জলিতে লাগিলেন, কিন্তু মুখ ফুটিয়৷ কিছুই বলিতে সাহস করেন নাই । পণ্ডিত মহাশয় বসিয়া বসিয়৷ এই সব কথাই ভাবিতে ছিলেন,—এমন সময় চাপরঃস-অঁাট একটি লোক আসিয় কহিল,—এখানে শ্বামলাল ভট্চাজ কেউ থাকেন ? পণ্ডিত উঠিয় দাড়াইয়া ভীতভাবে কহিলেন—ইT, আমারই নাম শুiামলাল ভট্টাচার্য্য । লোকটি আগাইয়। গিয়া একখানি ছাপা কাগজ উস্থিার হাতে দিয়া কহিল—আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে । পণ্ডিত সভয়ে দুই পা পিছাইয়া গিয়া কহিলেন— ওয়ারেন্ট ! সে কি রে বাবা ! ওয়ারেন্ট কিসের ? ওয়ারেন্টখানি হাতে লইয়া তিনি ঠক্ ঠক্‌ করিয়া কঁাপিতে লাগিলেন। তারপর কাগজখানি এদিক ওদিক উল্টাইয়। কহিলেন-ভুলতে হয়নি তোমার-আমি তো জ্ঞানত: ধৰ্ম্মত: কোনও অপরাধ করিনি । —সে তো জানিনে মশায় । জামিন দেবার ব্যবস্থ: ন করলে যেতে হবে আমার সাথে । পণ্ডিত ধামিতে লাগিলেন, কোনও রকমে কহিলেম –এই তো কাল রাত্রে এসে পৌছেচি, এর মধ্যে এমন কোনও দূষণীয় কাজ তো করিনি বাপু ? বিরক্ত হইয়া চাপরাশি কহিল—জবাব দেবেন আদালতে হাজির হয়ে । আমার উপর যা হুকুম আছে হষ্ট ত এই