পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:8 প্রবাসী— কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭

  • . - s:

[ ડ-મ છોજ, રાનડો یمی مختم مخته AMAMSMMMMMAAA SAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAAMSMSMSMS বচ্ছর, আর দুই বচ্ছর পর শুভবিবাহ দিয়া গেীরাদানের পুণ্য লাভ করিব ভাবিয়ছিলাম । কিন্তু আর তো রাখা যায় না। এখন বিবাহ না দিলে আইনের প্যাচে আরও আট বছর অপেক্ষ করিতে হয় । বাপরে ! চতুৰ্দ্দশ পুরুষ তাহা হইলে এখন হইতেই নরকে পচুক ! পচিতে ত হইবেই একদিন না একদিন, কিন্তু আগে থাকতেই তাহারা কেন কষ্ট পাইবেন । আমরা বারোয়ারি তলায় সেদিন সভা করিয়াছিলাম—সভায় স্থির হয় ইহারই মধ্যে আমরা ছেলেমেয়েদের বিবাহ শেষ করিয়া ফেলিব। এ সৎ প্রস্তাবে গ্রামের অনেকেরই সহানুভূতি আছে। যে সব সস্তান এখনও ভূমিষ্ঠ হয় নাই, তাহাদের জন্য বড় দুঃখু হয় । কিন্তু উপায় কি ? যাহারা জন্মিয়াছে তাহাদেরই উদ্ধার করা আমাদের সববপ্রধান কৰ্ত্তব্য দাড়াইয়াছে। যাহা হউক, আমাদের দেশে পুরোহিতের বড় অভাব— আপনাকে আমাদের সাহায্য করিতে হইবে । বিশেষতঃ প্রায় ঘরে ঘরে বিবাহ সমাধা করিতে হইলে আপনার মত পণ্ডিতের অমুকম্প্র না হইলে আমাদের উপায় নাই। অবশ্ব আপনার জন্য আমরা বিশেষ দক্ষিণার ব্যবস্থা করিব। আপনার শুভাগমনের পিতিক্ষায় উৎকণ্টকিত হইয়া আছি । আমাদের এখানে একপ্রকার মঙ্গল । শ্রিচরণের কুশল পাথনীয়। নিবেদন ইতি । শ্রিচরণের রজপার্থী সেবকাপম শ্রি ভোলানাথ সাহ আড়তদার জয়নগর বাজার । পণ্ডিত যতক্ষণ চিঠি পড়িতে ব্যস্ত ছিলেন বাসস্তী ততক্ষণ শয্যায় শুইয়া পড়িয়াছে। চিঠি হইতে মুখ তুলিয়া পণ্ডিত বলিলেন—ওগো শুনছো ? বাসস্তী কোন উত্তর দিল না । –এর মধ্যেই ঘুমুলে না কি। এই বলিয়া পণ্ডিত চিঠিখানি হাতে লইয়া শয্যার উপর গিয়া বসিলেন। নিকটে আসিতেই বাসন্তী বলিল-আমাকে একটু ঘুমুতে দাও, বড় মাথ ধরেছে আমার । ভোল-সার চিঠি আমি পড়েছি, আমাকে নতুন কিছু শোনাতে হবে না । স্ত্রীর ভাল দেখিয়া পণ্ডিত বিরক্ত হইলেন, তবু হাসি মুখেই কহিলেন—যা হোক, একটা ভাবনা ঘুচলে। নতুন জায়গায় নতুন সংসার পাততে হবে, প্রথমটা খরচপত্তরের টানাটানিই চলতে । কিন্তু সুবিধে হ’ল মন্ম নয় । ওদের যেমন ব্যাপার দেখছি, মাসে অন্ততঃ আট. দশটা বিয়ে হবেই। পাওনাও মন্দ হবে না। এক রকম ওতেই গুছিয়ে নেওয়া যাবে—কি বল ? বাসস্তী ই-না কিছুই কহিল না । পণ্ডিত বলিতে লাগিলেন—ভোলা সা ভারী বিচক্ষণ ব্যক্তি—ধৰ্ম্মেও মতি খুব । হঁ্য, তারপর যাওয়া ঠিক পরশুই তো ? বাসস্তী সহজভাবেই কহিল—তোমার যেদিন ইচ্ছে যেতে পার, আমার যাওয়ার ইচ্ছা নেই। পণ্ডিত অত্যস্ত বিরক্তিবোধ করিলেন, ভ্র কুঞ্চিত করিয়া কহিলেন – ইচ্ছে নাই, তার মানে ? বাসষ্ঠী বলিল—এত সোজা কথার মানে তোমাৰ মত এতবড় পণ্ডিত বুঝতে পারে না – এইটাই আশ্চধি । বাসস্তীর ধীর মৃদু কথার ঝঙ্কারে পণ্ডিত আর ক্রোধ ংবরণ করিতে পারিলেন না । কহিলেন--বড় বাড় বাড়ি হয়েছে দেখতে পাই যে ! এত হতশ্রদ্ধা ভাল নষ্ট বলে দিচ্ছি। আমার হুকুম—তোমাকে যেতেই হবে । — বেশ তবে নিয়েই যেও, দেখা যাবে। নিরুদ্বেগ শাস্ত কণ্ঠস্বর । কিন্তু পণ্ডিত মহাশয়ের মনে হইল এই কথাগুলির ভিতর শ্লেষ বিদ্রুপ, উপেক্ষার ভাব কানায় কানায় পূর্ণ রহিয়াছে । তিনি ক্রুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন— আচ্ছা দেখেই নিও তুমি .এই বলিয়া তিনি সরিয়া গিয়া শয্যার অপর প্রাস্তে সশব্দে শুইয়া পড়িলেন। কিন্তু নিত্র। কিছুতেই আসিতে চাহিল না । বাসস্তীর ব্যবহার, বাসস্তীর উপেক্ষ, বিদ্রুপ র্তাহাকে বড় মৰ্ম্মান্তিক বিধিতে লাগিল । আপন মনেই জলিয়া-পুড়িয়া কখন যে তিনি ঘুমাইয়া পড়িয়াছেন জানেন না । ঘুম ভাঙিতেই দেখিলেন সুয্যের আলোকে চারিদিক ভরিরা গিয়াছে । তিনি একবার আড়চোখে চাহিয়া দেখিলেন, বাসস্তী শয্যায় নাই । দুর্গানাম স্মরণ করিয়া শয্যায় উঠিয়া বসিতেই র্তাহার নজরে পড়িল—নিকটেই একখানি কাগজ দোয়াতে চাপ দেওয়া রহিয়াছে । সেটি হাতে তুলিয়া চোখ