পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] সংসার-নাট্য ఆషి(t ASAJAMA AMAMAeMMMMMMAMMMAMAMMAAJJAJAJJJJJJJSJJAJASASAJAMSJSJASAJJAMMMAMMMMMMJeSSeSSeSSeSSeSSeSSeSSeSAAeSAJSHAAA AAAAA সয়--কিন্তু তখন আর সইল না দামিনী, যখন ভালবাসার ভাণ দেখিয়ে বিধবার টাকাগুলি ছেলেটি ঠকিয়ে নিল । আজ দেখলাম বিধবাটি মেজদিদির বাড়ি ভিক্ষে করতে এসেছেন । দামিনী বলল—‘ওর চেয়েও ভাল গল্প শোনো : মণ্ট,বাবুর বউ—ওই গো, যার সেদিন বিয়ে হ’ল— ফিরিওলার কাছ থেকে তিনটি পয়সার রসমুত্তি ধীর করে কিনেছিল, সেই নিয়ে বাধল ঝগড়া, বড় বোন কি যেন বলেছিল, ভাই গিয়ে তার চুলের মুঠি ধরে দেয়ালে মাথা দিল ঠুকে, মা আর সইতে না পেরে ছোটছেলেকে ডাকৃলেন...তারপর লাঠালাঠি...’ ‘সত্যি, কাদের বাড়ি ? তারপর ?-সীতেশ গিয়ে দামিনীয় পাশে বিছানায় বসল –“কি হল দামিনী তারপর ?’ ‘বলছি। —ব’লে দামিনী গায়ের ওপর গরম র্যাপারটা টেনে দিয়ে বলল,-“বড়বোনের কপাল গিয়েছিল ফেটে, ছোটভাই মন্ট বাবুর বঁ-হাতখানি ভেঙে দিলেন, মা ঠেলা খেয়ে রোয়াক থেকে পড়ে গেলেন, বুড়ে মানুষ, হয়ত পক্ষাঘাত হবে... তারপর পুলিস এল ......তারপর আর বলা চলে না ! ‘কেন ? *আচ্ছা, শেষটাও শোনো । বউটার চরিত্র-দোষ প্রমাণ ক’রে তবে না-কি পুলিসের হাতে সবাই রেহাই পেল । দারোগা দুবার লাঠি ঠুকে কিছু ঘুষ নিয়ে গেল ! বলা বাহুল্য, সমস্ত গল্পগুলিই প্রতিবেশীগণের সত্য ঘটনা থেকে গৃহীত । রাত হয়েছিল গভীর । পশ্চিম দিকে যে চন্দ্র অস্ত গেছে তারই ক্ষীণ আভা এসে পড়েছিল জানলার ঝিলিমিলির ভেতর। এত রাতেও এই ছুটি স্বামী-স্ত্রীর চোখে ঘুম ছিল না। আশপাশে অশিক্ষিত দরিত্র নরনারীর যে কদৰ্য্য জীবনযাত্রা চলেছে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, তাদের কথা বাদ দিয়ে এদের আলোচনার আর কিছুই থাকে না । চারিদিকের পঙ্কিলতার মাঝখানে এই ফুটি নরনারী যেন পদ্মের মত ফুটে উঠেছিল । -*. সীতেশ আবার উঠল। এদিকের বিছানার কাছে সরে এল, বল্ল—‘বিলাসবাবুর ছোটভায়ের কাহিনী শুনেছ ত,--এই ত আজ সকালবেলা ওর সঙ্গে—আ: আবার উঠছে কেন ? থাক, আমি তোমার কাছে বসছিনে ! দামিনী হেসে বলল—“হ্যা, কি হ’ল বল না ? আগে আমায় বসতে দাও ? ‘এসো ।” বসতে গিয়ে সীতেশ শুয়ে পড়ল। দামিনী উঠে এসে একটি জানলা খুলে দিয়ে নিঃশব্দে দাড়াল রজনী অন্ধকার । বীণাদের ছাদের মাথায় দপ, জপ ক’রে একটি শুকতার জলছে। দামিনীর মনে হ’ল রাতের এ দৃপ্ত সত্য নয়, রূঢ় দিবালোকে যা দেখা যায় তার চেয়ে স্পষ্ট আর কিছু নেই। অন্ধকারের যে সৌন্দৰ্য্য, সে মোহ মনকে পথহারা করে । - ‘একি আবার উঠে এলে ? না ঘুম পাড়ালে শুনবে नां ?' সীতেশ বলল,—‘এটা না ব’লে জার পাচ্ছিনে মিনি,...বিলাসবাবুর ছোটভাই ইন্দ্রর চাকরি ছিল ন, জান ত ? তবু বুড়ো মা মরবার আগে দিল তার বিয়ে । আহা বেচার, বেীকে খাওয়াতে পারে না, রোজগার যে একেবারেই নেই। সমস্ত আত্মীয়স্বজনের দরজ। একে একে গেল বন্ধ হয়ে-----.এবার স্ত্রীকে নিয়ে ইন্দ্র বেরোলো পথে ! কোথায় ? এক-একটি বন্ধুর বাড়িতে স্ত্রীকে ফেলে সে দিনের পর দিন উধাও হয়ে থাকে, লজ্জায় আর ফিরে আসতে পারে না। এমনি ক'রে বহু বন্ধুর আঁস্তাকুড় সে ঘুরে বেড়ালো। এমন দিনে তার আর একটি সস্তান আসন্ন হয়ে এল একে সে খাওয়াবে কেমন ক’রে ? স্ত্রীর কাছে কেবলই বলে— ও মাস থেকে একটি চাকরির স্থবিধা হয়েচে । স্ত্রী বিশ্বাস ক’রে দিন গোণে, শেষে বুঝলে উপার্জন করা তার স্বামীর ভাগ্যে নেই। স্বামী আবার হ’ল উধাও। ফিরে যখন এল, শুনলো তার স্ত্রী এক দাইয়ের বাড়ীতে । ছুটতে ছুটতে গেল সেখানে । দাই বঙ্গল,-কাল তার হয়ে গেছে, প্ৰসৰ হ’তে সে পারেনি, আপনি এতদিনে <r. ** --> * '_i;.