পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] এই উৎসবে রজেই বাংলার শিল্পকলা ও তার প্রাণের সর্ববিধ প্রকাশ রঙিয়ে উঠেছে। বিধাতা বিশেষ ক'রে কেন বাংলা দেশকেই এই যোগের সিদ্ধপীঠ করলেন তা ভাববার বিষয় । আধানের তাড়ায় জাৰ্য্যপূৰ্ব্ব কত জাতিই এসে বাংলার এই জলময় ভূভাগকে আশ্রয় করেছিল । তার পর এলো বেদপন্থী ও বেদাচারবহিভূত নানা রকমের আধ্য। এই উর্বর স্বজলা স্বফল অরণ্যময় যোগ-ভূমিতে কোনো দলই কোনো দলকে নিঃশেষ করতে প্রবৃত্ত হ’ল না। সবাই রয়ে গেল আপন আপন ভাবে । তাই নানা জাতির একত্র বালে ভবিষ্যতে ষে গভীর সব সমস্তার স্বষ্টি হ’ল, ' তার একমাত্র সমাধান হ’ল এই যোগ। যে যোগধারা এই-সব নানা দলকে গেঁথে উপরে উঠতে সক্ষম সেই তো পৌছতে পারবে ব্রহ্মকমলের অসীম শাশ্বত অমৃতধামে । কায়াযোগেরও মূল কথাটি এই। নাথ পন্থে নিরঞ্জন পন্থে এই কথাটিই সৰ্ব্বত্র প্রচার হয়েছে। আরও একটি কথা । নানা ক্ষীণ ধারার যোগে গঙ্গার এই বিশালত । এই বিশাল ঐশ্বৰ্য্যভার নানা ধারার যোগে লব্ধ, তাই আবার নানা পথে পথে বিচিত্র ধারায় চলেছে অসীম সাগরের সন্ধানে। গৌড়বাংলার এই স্বৰিশাল গঙ্গাভূমিতেই যদি যোগের সাধনা পীঠ না হয় তবে হৰে আর কোথায় ? এই জলপথের দেশে সব পথের সঙ্গেই সব পথের যোগ । এই পথের ইঙ্গিতই কি বাংলার তার জীবনে কম কাজ করেছে ? বাংলার যোগপীঠ যেমন বিশ্বের সঙ্গে ঐক্যসাধনের অমুকুল, তেমনি জার এক দিকে ব্যক্তিত্ববিকাশেরও চমৎকার অবকাশ এইখানেই । এখানে বাড়ি বলতে বুঝায় চারদিকে বাগানঘেরা একখানি ভদ্রাসন। তারই সমষ্টি হ’ল গ্রাম। ভারতের অন্তান্ত প্রদেশে পঞ্জী বা গ্রাম বলতে বুঝায় রাস্তার দুই ধারে গায়ে গায়ে লাগা গৃহের সার। এরূপ পল্লীতে , গৃহের কোনো ব্যক্তিত্ব থাকতে পারে না । গৃহ যেন একটা সমষ্টির একটা অংশ। বাংলার গৃহ তার নিজের বিশিষ্ট রূপটি भल्लौब्र ऋषा कूटिष् ८ठोरण । डांब्रहे ८कांप्न बांद्धांजौब्र বাংলার প্রাণবস্তু Ե(է Ֆ পায়। কিন্তু বৈশিষ্ট্য মাত্ৰৰেই চলতে হৰে যোগের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে । বৈশিষ্ট্য না থাকলে যোগের কোনো অর্থই নেই। আবার যোগ বিনাও বৈশিষ্ট্য স্বটির বিরোধী প্রলয়ের আঘাত মাত্র। যোগ ও বৈশিষ্ট্য যেন ‘ৰাগৰ্থাৰিব, একে অন্তকে নিয়ে সার্থক । আজকের দিনে বাঙালীর বৈশিষ্ট্য উঠেছে যোগকে অতিক্রম করে"। এককোক ভাবই হয়েছে দেশে নানা ছৰ্গতির মূল । কিন্তু এ তো তার সহজ ভাব নয়। একদিকে এখানে বিশ্বের সঙ্গে যোগ, অপর দিকে ব্যক্তিত্বের এই বিকাশ। এই উভয়ের মধ্যে প্রেম ও সম্বন্ধটি ধরতে পারলেই বাংলার ভাব ও সাধনার মূল উৎসে গিয়ে পৌছনো যায় ৷ এই উৎসের সন্ধান পেয়েছিলেন বলেই বাংলার নাথপন্থ যোগী নিরঞ্জন মতের সাধকেরা এবং আউল বাউলরা এত উচ্চ আদশ ও এত গভীর ভাবসম্পদের দীক্ষা সৰ্ব্বত্র দিতে পেরেছিলেন । এর একদিকে শাস্ত্রাচারকে অগ্রাহ ক’রে আত্ম-সাধনার জয়গান করেছেন, আবার আত্মার সঙ্গে বিশ্বাত্মার যোগ সাধনার প্রয়োজনের কথাও সৰ্ব্বত্র ঘোষণা করেছেন । ७ब्री ब८जन, निtछब्र अस्छब्रहिङ टेबबधTखजिरक সামঞ্জস্তে পরিণত করবার জন্তেই যোগের সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। সুচী যেমন নানা রত্বকে বিদ্ধ ক’রে এক সুত্রে গেঁথে ফেলে, যোগও তেমনি মানুষের .বিভিন্ন পরম্পরবিরোধী ভাবকে স্বসঙ্গত করে তোলবার উপায়। এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন ভাবচক্র বা পথকে বেধ ক'রে যে ঐক্যস্থত্রে সহস্রদল কমলের অমৃত রলপান, তাই হ’ল কায়াযোগের গোড়ার কথা। কায়াৰোগের প্রাচীন গুরুই বাংলা দেশ । এদের এই যোগ সাধনার উপায়ের মধ্যেও বেশ একটু বিশিষ্টতা আছে। মানুষের উপরেই এদের ভরসা। তাই বেদ শাস্ত্র প্রথা সব অগ্রাহ করে গুরু ও সাধকদেরই এরা স্বীকার করেন । গুরু আবার এদের মতে নানা ইঙ্গিতে পথের সন্ধান মাত্র দেন, কিন্তু তার সাধনাকে বা ব্যক্তিত্বৰুে চেপে মারেন না। সাধকের অন্তরকে জাগ্রত করাই গুরুর কাজ। যোগযুক্ত সাধক আত্ম