দ্বীপময় ভারত ১ম সংখ্যা ] উধুদের উৎসব ক্ষেত্রে অাগত জনগণ ( শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ কর কর্তৃক গৃহীত ) মুসলমান বণিকদের কাছে আমরা যে হৃদ্যত। যে সৌজন্তের পরিচয় পেয়েছিলুম সে কথা মনে হ’লেই তার জন্য আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা অতুভব করি । সন্ধ্যার সময় কাপ্যারব্যাগ তার পরিচিত একজন প্রাচীন বলিদ্বীপীয় শিল্পদ্রব্য বিক্রেত্রীর বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। ছোটে। শহরটর সদর রাস্ত ছাড়িয়ে একটা গ্রাম্য পথ দিয়ে খানিকট গিয়ে আমরা এই বাড়ীর কাছে এসে পৌছুলুম। কতকগুলি বাগান পেরিয়ে বাড়ীর সামনে আসা গেল । অন্ধকার পথ, দুপাশে কলাগাছের চওড় পাত, আমরা জন চারেক লোকে কথা কইতে কইতে চলেছি, রাস্তার কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ ক’রে ডেকে ডেকে পালাচ্ছে । বাড়ীর কাছে পৌছুতে গৃহস্বামিনী একটা হারিকেন লণ্ঠন নিয়ে এসে আমাদের স্বাগত করলে । আমাদের বৈঠকখানায় নিয়ে বসালে । বৈঠকখানা মানে একটি ঘরের সামনেকার দরদালান। একটা টেবিল পাত, আর তার উপরে একটা কেরাসিনের টেবিল-আলো জ’লছে। আশে পাশে কতকগুলি চেয়ার আর মোড় ; জার ইংরিজি বিস্কুট না কিসের বিজ্ঞাপনের ছবি একখানা দেয়ালে জাট। গৃহস্বামিনী আমাদের খাতির ক’রে এনে চেয়ারে বসালে । আর দু তিনটি লোক ছিল, ছোকরা, বাড়ীরই ছেলে । একটি ছোকরাকে বেশ শ্ৰীমান বুদ্ধিমান ব’লে মনে হ’ল । এর দুজনে বসে যবদ্বীপীয় অক্ষরে মুদ্রিত কবি বা প্রাচীন যবদ্বীপীয় ভাষায় কি একখানা বই প’ড়ছিল। আমাদের বসিয়ে দিয়ে বাড়ীর কত্রী ব্যস্ত সমস্ত হ’য়ে আমাদের জন্য পানীয় আনাতে দিলেন । পরে পানীয় এল ; কাছে-পিঠে কোনও দোকানে লিমনেড পাওয়া গেলন,তাই তার বদলে কয় বোতল বিয়ার এনে হাজির করলে—আমাদেব ডচ বন্ধুরা তার সদ্ব্যবহার করতে কুষ্ঠিত হ’লেন না । গুহকত্রী তার পরে ভিতরের ঘরে গিয়ে আমাদের দেখাবার জন্য র্তার বিক্রীর জিনিস-পত্ৰ সাজাত্রে লাগল। গোরবর্ণ মোটা-সোট প্রৌঢ় রমণী, সুন্দরী বলা চলে ; চওড়া লালপেড়ে সাষ্ট্ৰী প’রে আমাদের দেশে যে কোন অভিজাত ঘরের গিন্নাম ব’লে মনে হ’ত । ব্যস্ত সমস্ত হ’য়ে চল। ক্ষেল করতে লাগল । কোপারব্যাগের জার টু ডুলে দ্ৰেউ এসের
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪
অবয়ব