পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষ-মন্দির শ্ৰীকামিনী রায় শেঠ মহাশয়, সমাগত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আজ এই পারিতোষিক-বিতরণ উৎসবে আপনার যে আমাকে সভানেত্রী পদে বরণ করিয়াছেন, তাহাতে আমি নিজকে সম্মানিত বোধ করিতেছি । আজ এখানে উপস্থিত হইয়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয় পাইয়া এবং বালিকাদের আবৃত্তি ও সঙ্গীতাদি শুনিয়া আমি বিশেষ আনন্দ লাভ § এখানকার ছাত্রীনিবাস পবিদর্শন করিয়া আসিয়াছি। দেখিয়া অত্যন্ত আনন্দলাভ হইল। আজ কলিকাতার বাহিরে আসিয়া যাহা দেখিলাম, ঠিক তাহ দেখিব কল্পনা করিয়া আসি নাই । আজ তাই আমার আনন্দ ও শুভকামনা জ্ঞাপন করিয়াই সভাভঙ্গ করিব ভাবিয়াছিলাম, কিন্তু ‘প্রোগ্রামে’ সভানেত্রীর অভিভাষণরূপ i - কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষ-মন্দিরের চতুর্থ বাৎসরিক উৎসব সভা করিলাম। আমার বাল্যকালে বালিকাশিক্ষার ব্যবস্থা অল্পই ছিল,শিক্ষার সঙ্গে আনন্দের ব্যবস্থা ছিল না বলিলেই হয় এখন চারিদিকে যাহা দেখিতেছি চল্লিশ বৎসর . পূৰ্ব্বে তাহার অস্তিত্ব ছিল না। সভা বসিবার পূর্বে ২রা মার্ড চন্দননগর কৃষ্ণভাষিনী নারীশিক্ষা মন্দিরে চতুর্থ বাৎসরিক উৎসব-সভায় সভানেত্রী স্ত্রীযুক্ত কামিনী রায়ের অভিভাষণ । לצ একটি কৰ্ত্তব্যের উল্লেখ আছে । এই অভিভাষণ রীতিটি রক্ষা করিতে গিয়া বালিকাদের তরুণকণ্ঠের মিষ্ট সঙ্গীতের পর আমার বাৰ্দ্ধক্যনীরস কণ্ঠে আরও দুই একটি কথা বলিতে হইল । দুই বৎসর পূৰ্ব্বে আমি এখানে আসিবার জন্য প্রথম অমুরুদ্ধ হই । সেই সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম আমার