পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] -- SAMA AMMA S AeAAA S করিয়া জাতীয় জীবনের সহিত সম্বন্ধ স্থাপনের চেষ্টা করেন নাই। র্তাহার প্রকৃতিও সম্ভবতঃ তাহার অনুকূল ছিল ন। কিন্তু জজ থাকিবার সময় অরাজনৈতিক কোন কোন কাজে তিনি যোগ দিতেন। আমরা যখন এলাহাবাদের বাসিন্দা ছিলাম, তখন শেষের দিকে বাঙালীদের বাঙালী সমিতি স্থাপিত হয়। ইহার বার্ষিক অধিবেশনে ব্যায়াম, দৌড়াদৌড়ি, লাঠিখেল, ছেলেদের ও মেয়েদের কবিতা আবৃত্তি, তাহাদের ও বয়স্ক লোকদের গানবাজন, মহিলা ও বালিকাদের-শিল্পকাৰ্য্য প্রদর্শনী প্রভৃতি হইত। এই সমিতির সহিত র্তাহার যোগ ছিল—বরাবর ছিল কিনা এখন মনে পড়িতেছে না । স্তার প্রমদাচরণ যখন পশ্চিমে ওকালতী করিতে যান, তাহার পূৰ্ব্বেও সেখানে বাঙালীর বিষয়কৰ্ম্ম ও তীর্থবাস উপলক্ষে বসবাস করিয়াছিল। অনেকের জন্ম ও শিক্ষণও সেখানেই হইত। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় আমাদের চেয়ে বয়সে অনেক বড় ছিলেন এবং অন্য দিকেও বড় ছিলেন । তথাপি তিনি সেকালের বাঙালীদের আমোদজনক গল্প আমাদের কাছেও দুই এক বার করিয়াছিলেন। একটি এখন মনে পড়িতেছে। পশ্চিমেই জন্মগ্রহণ ও শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন র্তাহার এরূপ একজন বাঙালী বন্ধু ছিলেন । তিনি সাধারণ রকমের বাংলা বলিতে ও বুঝিতে পারিতেন কিন্তু বাংলা লিখিতে পড়িতে পারিতেন না । সেই ভদ্রলোকটির বিবাহ হয় বাংলা দেশে । তাহার স্ত্রী বাংলা লিখিতে পড়িতে পারিতেন। নববিবাহিতা বধূ স্বামীকে চিঠি লিখিতেন স্বামী কিন্তু তাহ পড়িতে পারিতেন, না, এবং তাহার উত্তরও স্বহস্তে লিখিয়া পাঠাইতে পারিতেন না। এই সঙ্কটে তিনি বন্ধু প্রমদাচরণের শরণাপন্ন হইতেন। প্রমদাচরণ বন্ধুর স্ত্রীর চিঠি পড়িয় র্তাহাকে শুনাইয়া দিতেন । তাহার পর ভদ্রলোকটি ফারসী অক্ষরে বাংলা ভাষায় স্ত্রীর চিঠির জবাব লিখিয়া অনিলে প্রমদাচরণকে তাহা বাংলা অক্ষরে লিখিয় দিতে হইত ! বন্ধুর নাম দস্তখতটাও তিনিই করিয়া দিতেন কিনা জানি না । - বিবিধ প্রসঙ্গ—সরদার বল্লভভাই পটেলের কারাবাস AA AMMAMMMMMAMMM MSAAMMMMAAAA ა ჯ4 ডাক্তার রামকালী গুপ্ত সাতাশী বৎসর বয়সে পাটনার প্রাচীনতম বাঙালী ডাক্তার রামকালী গুপ্ত মহাশয়ের মৃত্যু হইয়াছে। তিনি বিহারের অন্যতম প্রধান অস্ত্রচিকিৎসক ছিলেন। পাটনা মেডিক্যাল স্কুল স্থাপনে তিনি অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন । সেখানে তিনি দীর্ঘকাল শিক্ষা দিয়াছিলেন। তাহার শিক্ষার গুণে ঐ বিদ্যালয় এরূপ খ্যাতি লাভ করে, যে, তাহার জন্য উহাকে পাটনার প্রিন্স অব ওয়েলস্ মেডিক্যাল কলেজে পরিণত করা সম্ভব হয়। তিনি বিদ্বান, জনহিতৈষী ও হৃদয়বান লোক ছিলেন । সরদার বল্লভভাই পটেলের কারাবাস বারদোলীর সত্যাগ্ৰহ শ্ৰীযুক্ত বল্লভভাই পটেলের নেতৃত্বে সফল হয় । তিনি মহাত্মা গান্ধীর দক্ষিণহস্ত সরদার বল্লভভাই পটেল