পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q &b一 উল্লেখ আছে ( প্র॥৩• ) । দুই স্থানে পঞ্চদেবতার পূজা আছে ( কৃ৮ ) । রাঢ়ে বহ্নিপূজা প্রচলিত নাই, কোনও কালে থাকিলে একেবারে লুপ্ত হইত না । পৃথক গণেশপূজা ও আদিত্য পূজাও নাই। এ বিষয় “বৃহদ্ধর্ম পুরাণ” আলোচনায় দেখা গিয়াছে। অতএব বোধ হয় মূল পুরাণ দশম খ্ৰীষ্ট শতাদের পুর্বে পশ্চিম প্রদেশে রচিত হইয়াছিল। রাজপুতানায় অগ্নিকূল নামে এক রাজকুল আছে, এবং বোধ হয় রাজপুত জাতিই তাহদের আদি দেশ হইতে সূর্য-পুঞ্জ। অনিয়াছিল। (৩) শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডে, কৃষ্ণের অবতার নয়টি তন্মধ্যে সাংখ্যকার কপিল এক । অন্যত্র, ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, গণেশ, কীর্তিকের, ধর্ম নরক প্রভৃতি এবং প্রধান প্রধান গোপের এক এক অবতার। বর্তমান প্রচলিত দশ অবতার গণনা পূর্বকালে ছিল না। “বিষ্ণুপুরাণে” বুক্ষলতা, পশুপক্ষী, এই সবই ব্রহ্মের অবতার। "ভাগবত পুরাণ” মতে ভগবানের অবতার অসংখ্য, প্রজাপতি, দেবতা, ঋষি, মন্ম ও মানব সকলেই হরির অংশ। তথাপি ২০টি অবতার বিশেষ করা হইয়াছে। কালে অবতার সংখ্যা অল্পে অল্পে নির্দিষ্ট হইয়া দশে দাড়াইয়াছে । পণ্ডিতের অনুমান করেন, নবম খৃষ্টশতাদের পরে দঁাড়াইয়াছে। অতএব ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ এই শতাদের পূর্বের । {3} আদি ব্রহ্মবৈখতপুরাণের কালে গোমাংস ভক্ষণ নামে লোকে কানে আঙ্গুল দিত না। চন্দ্ৰপুত্র-বুধের চৈত্র নামে সপ্তদ্বীপপতি পুত্ৰ জন্মে। ইনি ঘৃত দধি দুগ্ধের শত ‘নদী’, মধুর ষোড়শ, তৈলের দশ, শর্করা মিষ্টান্ন স্বস্তিকের লক্ষ রাশি", ইত্যাদির সহিত “পঞ্চকোটি গবাং মাংসং" ব্রাহ্মণগণকে নিত্য ভোজন করাইতেন (প্র । ৬১) । এইরূপ স্বায়স্তুব মমু ত্রিলক্ষ নরমেধ ; চতুলক্ষ গোমেধ করিবার কালে প্রত্যহ তিনকোটি ব্রাহ্মণকে "পঞ্চলক্ষ গবtং মাংসৈঃ সুপকৈযুতসংস্কৃতৈঃ” ভোজন করাইতেন (প্র॥৫৪)। এ সব কাহিনী শুনিলে মহাভারতের রস্তিদেবকে মনে পড়ে। পুনশ্চ, গৰ্গমুনি নন্দ যশোদাকে স্ত্রীকৃষ্ণের স্বরূপ বলিতে আসিলে যশোদ। র্তাহীকে পাদ্য গোমধুপর্ক ও স্বর্ণ সিংহাসন দিয়া পূজা করিলেন ( কু৷১৩ ) । এখানে কথা উঠিবে, কবি পুরাকালের আচার ব্যবহার লিখিয়াছেন, তাষ্ট্রার কাrলর লেখেন নাই ! এ তর্ক অবস্থা মান্ত । কিন্তু আদি কবি গোমাংস ভক্ষণ মহাপাতক মনে করিলে সে স্থানে অজমাংস লিখিতেন, এবং প্রকৃত বৈষ্ণুব হইলে ব্রাহ্মণগণকে মাংসও দিতেন না। যাজ্ঞবল্কা স্মৃতির কালে ( ৪র্থ খ্ৰীষ্ট শতবে ) গোমাংস-ভোজন বর্জিত হয় নাই, পিত্রাদির শ্রান্ধে গোমাংস চলিভ । কিন্তু পরবত্তীর্ণ কালের টীকাকারের স্মৃতির বচনের অর্থাস্তুর করিয়া শাস্তি পাইয়াছেন। “উত্তর রামচরিতে"র কবি ভবভূতি গোমাংস ভক্ষণে ভীত হন নাই। ইনি সপ্তম খ্ৰীষ্ট শতাঁদে ছিলেন । এই শতাদের পর হইতে গো-বধ অ-কথ্য, অ-শ্রাব্য হইয়া উঠিয়াছে । কতকগুলি প্রাচীন আচার-ব্যবহার কলিকালে নিষিদ্ধ হইয়াছে। এই কলি পাঞ্জির কলিযুগ নয় । কলিকালের কতকগুলি লক্ষণ আছে । যে কালে সে লক্ষণ দেখা যায়, সেকাল কলি । বোধ হয়, এই কলি অষ্টম শতান্ধে আরম্ভ হইয়াছে। এই শতাব্দে শঙ্করাচাৰ্য্য আবিভূর্ত হইয়াছিলেন। তখন বৌদ্ধ পাষণ্ডের প্রবল, ব্রাহ্মণ হীনবল। এই সময়ে আরবদেশীয় মুসলমান ভারতে প্রবেশ করিতে থাকে। ইহাদের পূর্বে যবন, শক, হ্রণ জাতির ভারতে আসিয়া স্থানে স্থানে ভূপতি হইয়াছিল । তাহারাও গোমাংস-ভোজী ছিল, কিন্তু তৎকালে গোমাংস আমেধা হয় নাই, তাহারাও স্বধম ত্যাগ করিয়া ক্রমে হিন্দু হইয়াছিল। কিন্তু আরবী মুসলমান হিন্দু হইল না ; যত্র তত্র হিন্দুর দৃষ্টিতে অনাবশ্বক ও অতিশয় গোবধ করিতে লাগিল। গো-জল্প দেখিয়া হিন্দুসমাজ বিশেষতঃ জৈনের ক্ষুব্ধ হইল, কিন্তু প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রতিকার করিতে পারিল না। পূর্বকালের হিন্দু গোমাংস খাইত, কিন্তু উৎসবের সময় খাইত, প্রত্যহ খাইত না । ইহাতে গোবংশের হানি হইত না, দধি দুগ্ধ ঘৃতের অভাব হইত না, কৃষি কমেও ব্যাঘাত হইত না। বিদেশী যিজয়ী মুসলমান এদিকে দৃষ্টি না করতে সর্বত্র যেমন ঘটিয়া থাকে হিন্দুও তেমন নিজের নিজের গো-রক্ষায় অধিকতর মনোযোগী হইল, গো বধ মহাপাপ গণ্য হইল । অর্থাৎ আত্মরক্ষার চেষ্টায় কলিকালের নিমিত্ত নুতন স্মৃতির ব্যবস্থা হইয়াছিল। এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করিলে মনে হয়, ব্ৰহ্ম-বৈবতপুরাণ অষ্টম খ্ৰীষ্টাব্দে প্রথম প্রণীত হইয়াছিল । এ বিষয়ে এক প্রমাণও আছে । শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডে (৯৬) কালমান বর্ণিত হইয়াছে। এটি দ্বিতীয়বার, কিন্তু এইটি আদি পুরাণের । কারণ এখানে পঞ্চবর্ষে যুগ এবং নক্ষত্রের মধ্যে অভিজিৎ গণনা হইয়াছে। দেখিতেছি, এখানে এtলণ হইতে দক্ষিণায়ন ও মাঘ হইতে উত্তরায়ণ এবং সপ্তবিংশতি যোগ ধরা হইয়াছে। ষষ্ঠ খ্ৰীষ্ট শতাঁদের পর উক্ত অয়ন এবং সপ্তম শতাদের পর যোগ গণনার আরম্ভ হইয়াছে। অতএব আদি ব্রহ্মবৈবতপুরাণ অষ্টম শতাদের পূর্বে হইতে পারে না। ইহার উৎপত্তি বঙ্গদেশে হয় নাই বলিবার দৃঢ় প্রমাণ নাই। এক বাধ, গণেশখণ্ডে । অার এক বাধা, রাধাকৃষ্ণের উপাসনা। অষ্টম শতাব্দে রাঢ়দেশ ঘোর শাক্ত ছিল । বোধ হয় দশম শতাঁদে এই পুরাণ বঙ্গে প্রবেশ করিয়াছিল। তদবধি ষোড়শ পর্য্যস্ত রাঢ়ীয় কবি ইহাকে নিজের করিয়া ফেলিয়াছেন । অন্যান্য প্রদেশের সংস্করণ মিলাইলে প্রকৃত তথ্য আবিষ্কৃত হইবে। বর্তমান প্রবন্ধের পক্ষে রাঢ়ীয় সংস্করণ বহুমূল্য । (ভারতবর্য, আষাঢ়, ১৩৩৭) শযোগেশচন্দ রায় কালিদাসের বৃক্ষলত ৫৩। বন্ধ,ক –ভিন্নাঞ্জন প্রচয়কাস্তি নভো মনোজমৃ বন্ধক পুষ্পরচিতারণত চ ভূমিঃ। ঋ ৩৫ দেশভেদে নাম —বা —বাদুলি, বাদুল বা বানরী । বাদুলী বাংলায় পরিচিত । ইহার ফুল লাল বলিয়া ইহার “রক্তক" এবং মধ্যাহ্নে ফোটে বলিয়া মাধ্যহিক বা দুপহরিয়া নাম হইয়াছে ! ইহ। শরৎকালের ফুল । ওষ্ঠের র"-এর সঙ্গে মহাকবি ইহার তুলনা করিয়াছেন । ৫৪। ভূৰ্জ :-ভুর্জেষু মর্মীভূতাঃ কাঁচকধ্বনিহেতব: র ৪৭৩ দেশভেদে নাম —বা —ভূৰ্জপত্র বা ভুজ্জিপত্র । কালিদাস হিমালয় বর্ণনায় ভূৰ্জপত্র বৃক্ষের উল্লেখ করিয়াছেন। ৫৫ । মধুক ঃ-পর্য্যাক্ষিপৎ কাচিক্ষুদারবন্ধং দূর্বাবত পাও,মধুকদামা ৷ কু ৭।১৪ gę ziętą aşç ette t qe “q:{F” (Bassia latifolia, Indian Butter tree), fold “goingo” (Bassia longifolia ). জলমধুকের নাম —মধূলক, দীর্ঘপত্রক, হ্রস্বপুষ্প, করেষ্ট, ফলস্বাদু। ভারতবর্ষের বহু প্রদেশে “জলমধুক” বৃক্ষের চাষ হয়। ইহার কাও হ্রস্ব হইলেও বহু শাখাযুক্ত হয় বলিয়া ইহা উত্তম ছায়া এবং প্রচুর ফল দান করে।