পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ভাইফোট 8 Y همه هم به همهمه فسه سیستم هجه = به بیما ---- بی - ওসব করিনি, এক সময় যদিও ভালই পারতাম। যদি বশেষ ভাল না হয় ?” যুবক বলিল, “প্রথম দিন না হয় একটু খারাপই হল, একটু কম দরে দেব । আজ তাই বেশী জিনিষ আনিনি । যত হাত পাকৃবে তত লাভ বেশী হবে।” কেশবের চাকর উপর হইতে নামিয়া আসিল । টিনের বাক্স খুলিয়া সে শশিমুখীকে ছানা প্রভৃতি সব উপকরণ বাহির করিয়া দিল । কেশব জিজ্ঞাসা করিল, “দেখুন, সময় পাবেন ত ?” শশিমুখী বলিল, “ত পাব বৈ কি ? বসে বসে ভাবনা করা ছাড়া এমন আর বেশী কাজ কি আছে ?” যুবক চলিয়া গেল। একটা কাজ হাতে পাইয়া শশিমুখী অনেকখানি আরাম বোধ করিল, যদি একটাকাও দিনে পায় ত ঢের লাভ । সে তখনি কাজে লাগিয়৷ গেল । কুন্তী পাশের বাড়ী গল্প করিতে গিয়াছিল, তাহাকে সুদ্ধ ডাকিয়া আনিল । কুন্তী এত জিনিষ দেখিয়া একেবারে আকাশ হইতে পড়িল, ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “এত সব কোথা থেকে এল মা ?” শশিমুখী বলিল, “ও একজন খাবার করতে দিয়ে গেছে। তুই যেন তোর বাবাকে বলিসনে ৷” বাবার সঙ্গে যাচিয়া গল্প করিতে যাওয়া কুন্তীর কোনোকালেই অভ্যাস নাই, সুতরাং মায়ের অনুরোধ পালন করিতে তাহাকে কিছুই বেগ পাইতে হইল না। সন্ধ্যা পর্য্যন্ত মা মেয়ে একমনে কাজ করিয়া সব চুকাইয়া ফেলিল। তাহার পর অটলের আসিবার সময় হইয়া আসিল দেখিয়া, শশিমুখী সব জিনিষপত্র আড়ালে সরাইয়া ফেলিল। বলিল, “ভাগ্যে হুটুটা ঘরে নেই, নইলে খাবারের জন্যে নাচত ।” কুষ্ঠী একটু লোলুপভাবে বলিল, “একটা নিলেও কি সে লোকটি বুঝতে পারবে, মা ?” শশিমুখী মেয়েকে তাড়া দিয়া বলিল, “যা, যা । লোভ দেখ না মেয়ের ” অটল রাত্রে বলিল, “একটা মাস ত নিশ্বেস ফেলবার সময় পেলাম, পরের মাস যে কোথা দিয়ে কি করব জানি না ।” ولا সকালবেলা কেশব আসিয়া মিষ্টান্নগুলি লইয়া গেল। বলিল, “প্রথম দিনের পক্ষে কিছুই মন্দ হয়নি। আপনাকে একটা বই এনে দেব এখন । তাতে মিঠাই, আচার, চাটনী, জেলি অনেক কিছুর সন্ধান পাবেন।” সেদিন খাইতে বসিয়া অটল বলিল, “কি গো, আজ যে বড় হাসিখুসি দেখছি ? হাস্তে ভুলে গিয়েছ বলেই ত মনে হত।” শশিমুখী আর কিছু বলিবার না পাইয়া বলিল, “এই পূজো আসছে কি না ।” অটল ঠোট উন্টাইয়া বলিল, “বেল পাকলে কাকের কি ? আমাদের আবার পূজো ! সেই ছেড়া কাপড়, সেই শাকচচ্চড়ি ভাত ! শুধু দিন-পাচ দশট-পাচটা আপিস করতে হবে না, এই যা। কিন্তু সে যাই হোক, পূজোটাকে এমনি যেতে দিলে হবে না । কাজে লাগাতে হবে।” এখনি কাহার কাহার কাছে হাত পাতিতে হইবে তাহার তালিকা কুরু হইবে। শশিমুখী বিরক্ত হইয় উঠিয়া গেল। আজ তাহার মনের তার যে-স্বরে বাধা ছিল, তাহার সহিত এই ভিক্ষার স্বর একেবারে মেলে না। নিষ্ঠুর ভাগ্যের কাছে মাথা নত না করিয়া, জীবনে প্রথম আজ সে আত্মরক্ষার চেষ্টা করিতেছে, এই গৌরবেই তাহার মন তখন পরিপূর্ণ। সন্ধ্যার প্রদীপ সবে জলিয়াছে, এমন সময় কেশব আসিয়া উপস্থিত হইল। শশিমুখীর হাতে একটা টাকা ও বারে আনা পয়সা দিয়া বলিল, “আজ এই হল। ক্রমে বাড়বে, পূজোর ক'দিন খুব বিক্রী হবে। এই ক’টা পাস্তুয়া বিক্ৰী হয়নি, ছেলেমেয়েদের দেবেন।” - আনন্দে শশিমুখীর মুখে কথা জোগাইল না। দিনে দু টাকা করিয়া যদি রোজগার করিতে পারে, তাহা হইলে ঋণের ভাবনায় আর আহার নিদ্র। ত্যাগ করিতে হয় না। কেশবকে যে কি বলিয়া - ধন্যবাদ দিবে ভাবিয়াই পাইল না । কেশব তাহার মনের ভাবটা বুঝিল, বলিল, “আমার কাছে কৃতজ্ঞ হবার কিছু নেই। আমাকে যিনি পথ দেখিয়েছিলেন,