পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b. b প্রবাসী--ভার্ড, ১৩৩৭ ভাগ, ১ম খণ্ড ذهt o তখন মধ্যযুগের সভ্যতার অবসান হ’ল। যেমন এ যুগে আমরা যুরোপের জ্ঞানমার্গ ও কৰ্ম্মমার্গের সন্ধান পেয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের অবলম্বিত উক্তিমাৰ্গ ত্যাগ করেছি।... 叠 এর থেকে দেখা যায় যে, কোন জাতিবিশেষ যে অংশে সভ্য, সে অংশে অমর। শুধু তাই নয়, যে-ই সত্যের সন্ধান পাক্‌ না কেন, দে সত্য সৰ্ব্বসাধারণের সম্পত্তি। গ্ৰীক জাতি মারা গেল, কিন্তু তার দর্শনবিজ্ঞান সাহিত্যের উত্তরাধিকারী হ’ল বিশ্বমানব । রোমান জাতি বিনষ্ট হ’ল, কিন্তু তার সাহায্যে যুরোপের তিৰ্য্যক সামান্ত অসভ্য জাতির। মধ্যযুগের সভ্যতা গড়ে তুলে গ্রীক ও রোমান সভ্যতার সাহায্যে। মধ্যযুগের ব্রহ্মবিদ্যা (theology) গড়ে উঠেছে আরিষ্টটলের দর্শনের ভিত্তির উপর ; এবং তার খৃষ্টসত্ৰ (church ) গড়ে উঠেছে রোমান রাষ্ট্ৰদভেম্বর অনুকরণে । সভ্যতা বলতে অধিকাংশ লোকে দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও আর্ট বোঝে ন!—বোঝে অর্থ ও স্বার্থ ; এবং তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুলও নয়। অর্থ ও কাম, প্রবৃত্তিরেষা নরাণম্।...বর্তমান যুরোপ, যে বিদ্যার বলে মাগুধে অর্থ স্থষ্টি করতে পারে, সে বিদ্য৷ অর্জন করেছে। এ হিসাবে science-কেই যুরোপীয় মনের চরম পরিণতি বল অত্যুক্তি নয়। কিন্তু গ্রীক-দৰ্শন ও রোমান আইন যেমন ও দুই সভ্যতার একচেটে ffs ay–fwatazwą Hofs : csafa modern science-8 বর্ধমান যুরোপের একচেটে জিনিষ নয়। এ বিদ্যা বিশ্বমানৰ শিখবে, এবং ফলিত বিজ্ঞানও বিশ্বমানবের করায়ত্ত হবে। ফলে এ বিষয়েও যুরোপের বর্তমান প্রাধান্ত আর থাকবে না। যুরোপীয় অর্থে, এসিয়াও সভ্য হবে। এর জন্য যুরোপের ভয় পাবার কোনও দরকার নেই। কোনও সভাসমাজকে অপর কোন সভ্যসমাজ বিনাশ করে নি। সভ্যতার প্রধান শত্রু যে অসভ্যতা, য়ুরোপের ও এসিয়ার ইতিহাসের পাতায় পাতায় তা লেখা আছে । এ তো গেল বহিঃশত্রুর কথা। এ ছাড়া ধ্বংসের মূল জাতির wstąs wtw i zastotā material civilization-4A NG If এই মনোভাব থাকে যে, যুরোপীয়ের পরের খাটনির ফল ভোগ করবে অার পরের দেশ লুটে খাবে, তা হ’লে অবশ্ব গ্রীস-রোমের মতই তার ধ্বংস অনিবার্ধ্য।••• য়ুরোপীয় সভ্যতার spirit হচ্ছে অহঙ্কার—এই মনের পাপই য়ুরোপের প্রধান শত্রু ; এবং Haas-প্রমুখ পণ্ডিতরা এ পাপের প্রশ্রয় আজও দিচ্ছেন। (বস্থমতী, আষাঢ় ১৩৩৭) ঋণব্যবসায়ে সংহতি ভারতের মনীষিগণ ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারিটি বস্তুই বিভিন্ন লোকের পক্ষে ও বিভিন্ন অবস্থায়, সেবনীয় বলিয়া মনে করিতেন। আজকাল ভারতবর্ষে অর্থের অভাবই বহু অনর্থের মূল হইয়া দাড়াইয়াছে। এই অর্থের অভাব দূর করিতে হইলে কৃষির উন্নতি, লুপ্তশিল্পের পুনরুদ্ধার, নুতন শিল্প-প্রতিষ্ঠ, এবং ব্যবসায়বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি আৰষ্ঠক । এই সকল কাৰ্য্য সংসাধিত করিবার জন্য ব্যাঙ্কের প্রয়োজন। জগতের উন্নত জাতিসমূহের মধ্যে ৰছসংখ্যক ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।••• শ্ৰীপ্রমথ চৌধুরী ভারতবর্ষে যে সকল ব্যাঙ্ক আছে, তাহীদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশীয়দের স্বারা পরিচালিত। . এই সকল ব্যাঙ্কে ভারতবাসীর টাকা আমানত থাকে, কিন্তু ঐ টাকা দ্বারা ভারতের শিল্প-বাণিজ্যের সহায়তা খুব কম পরিমাণেই হইরা থাকে। ভারতবাসী দ্বারা পরিচালিত ব্যাঙ্কের সংখ্যা নিতান্তু অল্প । এ অবস্থায় বঙ্গদেশের ঋণ-প্রতিষ্ঠানগুলি (Loan offices) দেশের একটি বিশেষ প্রয়োজন সাধন করে । এই ঋণ-প্রতিষ্ঠানগুলি বিদেশীয় ব্যাঙ্ক এবং দেশীয় মহাজন এই উভয়ের একটি মধ্যবৰ্ত্তী স্থান অধিকার করিয়া আছে। বঙ্গদেশের সামাজিক ও অর্থনীতিক অবস্থার বৈশিষ্ট্য হইতেই এই লোন অফিসগুলির উৎপত্তি ॥..• ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে ফরিদপুরে প্রথম লোণ আফিস প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন লোন অফিসের সংখ্যাপ্রায় ৮• • দাড়াইয়াছে। যদি দেশের আর্থনীতিক - প্রয়োজনবশতঃ এই সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটিত, তবে ইহা সবিশেয আনন্দের যাপার হইত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, অনেক স্থলেই অবৈধ প্রতিদ্বস্থিতাই এই সংখ্যাবৃদ্ধির কারণ। যাহা হউক, এই লোণ আফিদগুলির একটা সার্থকতা আছে। যে টাকা পুর্বে ঘরে আবদ্ধ হইয়া থাকিত, লোন অফিসগুলি স্থাপিত হওয়ার পর হইতে সে টাকা এখন কাজে লাগিতেছে । এই প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক দরিদ্র কৃষক ও বিপন্ন ব্যক্তিকে মহাজনের কবল হইতে রক্ষা করিয়াছে। ইহাদের দ্বারা দেশের অার একটি মহৎ উপকার সংসাধিত হইয়াছে। লোন অফিস প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে দেশে স্বদের হার কতক পরিমাণে কমিয়াছে ॥-•• বঙ্গদেশের ঋণপ্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান কাজ টাকা ধার দেওয়া। ইহাদেয় পরিচালকগণ যদি এই কাজের ভিতরেই নিজেদের চেষ্ট। আবদ্ধ রাখেন, তাহা হইলেই ভাল হয়। কিন্তু কোন কোন স্থলে দেখা যায় যে, উাহারা অধিক পরিমাণে লাভবান হইবার জন্ত নানা প্রকারের ব্যবসায়ের সহিত জড়িত হইয় পড়েন। একসঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের কাজ করিতে গেলে কোনও কাজই হসম্পন্ন করা যায় না। বিশেষতঃ ব্যবসায়ে অনভিজ্ঞতাবশতঃ লোকসান হওয়া অসম্ভব নহে। ঋণদান-বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন আবখ্যক । লোন অফিসগুলি অধিকাংশস্থলে জমি বন্ধক রাখিয়া টাকা ধার দিয়া থাকেন। তাহারা গহন, কোম্পানীর কাগজ প্রভূতি বন্ধক রাখিয়াও টাকা ধার দিয়া থাকেন। ইহাতে কোন বিপদের সম্ভাবনা নাই। কিন্তু কোন কোন স্থলে বিনা বন্ধকে শুধু লোকের জামিনে টাকা ধার দেওয়া হয় । এ সকল স্থলে টাকা আদায় হওয়া দুষ্কর হইয়া থাকে। জমিদারগণ অনেক সময় টাকা ধার করিয়া থাকেন। কিন্তু তাহাদের এই অর্থ প্রায়ই বিলাসিতার জন্ত ব্যয়িত হয়, এবং উহা হইতে দেশের কোনও উপকার সাধিত হয় না। জমিদারদিগকে টাকা ধার দেওয়ার আর একটি অসুবিধা আছে। বন্ধকী জমিদারী অনেক সমরে লোন আফিসের ঘাড়ে আসিয়া পড়ে, এবং উহাদের টাকা আবদ্ধ হইয়৷ যায়। লোন অফিসের কর্তৃপক্ষের এই প্রকারের কাজ যত কম করেন ততই তাল । যাহাতে কৃষি, শ্রমশিল্প, ও ব্যবসায়ের সুবিধা হয় এই ভাবে টীকা ধার দিলে, লোন অফিসগুলির জীবৃদ্ধি হয় ও দেশের উপকার হয়। ছণ্ডিয় কারবার যদি লোন অফিসের কর্তৃপক্ষগণ বিশেষভাবে গ্রহণ করেন তাহ হইলে তাছাদের কার্য্যের প্রসার বৃদ্ধি হয় এবং ব্যবসায়ের একটা অভাব মোচন হয়। গুদামস্থিত মাল কিংবা রেল ও ষ্টীমারের