পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سألاه: প্রবাসী—মাশ্বিন, ১৩৩৭ [ ૭૦માં છાન પ્રમ સંહ যায়। জ্যোৎস্নাট নিস্তেজ রোদের মত, তারই পানে তাকাইয়া বেল বসিয়া রহিল । একটু বাদেই ছোর-চাকল্পট ছবিকে অতিকষ্টে লইয়া আসিল । ছবি ঘুমে চাকরটার কাধে এলাইয়া পড়িয়াছে । বেল বলিল, “সৰ্ব্বনাশ করেছিল মহীরু—ওকে ঘুম পাড়িয়েছিস্ ? পিসীমা যে—” কথা শুনিবার মত ধৈৰ্য্যও চাকরটার নাই । ভাড়াতাড়ি বলিল, “হেই দিদিমণি, ধর, ধর-—বাকবা;—” বেলা ছবিকে লইয়া পিসীমার কাছে গেল । পিসীমা ছবিকে দেখিয়াই রুষ্ট হইয়া উঠিলেন, বলিলেন, “যা ভেবেচি–হ’লও তাই। বিকেলে কিছু খাওয়াইনি, ভেবেচি সন্ধ্যেবেলাই একেবারে থাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখব। . আমি পারব ন—এত বারণ করি, অসময়ে বের করিস্ না—কারুর যেন গ্রাহই হয় না।” বেলা বলিল "বাঃ—আমি কি জানি ? জামাইবাবুই ত বললেন—" “বললেন ত,--কিন্তু এখন ?—এখন জাগাতে গেলেই ত মেয়ে সাত বাড়ী এক করবে । আমি পারব না—থাক--” শুনিয়া নরেন বিছানায় উঠিয়া বসিল । ভাবিল, কি করিবে ! উঠিতে কুষ্ঠায় ও সঙ্কোচে বাধে । পিসীমাই ছবিকে কোলে বসাইয়। ধীরে ধীরে ডাকিলেন, “ছবু—ছবু, যাওঁ, ভাত খেয়ে এসোগে— ૭:ઠા–૭tઠે 1” অনেক বলিতে বলিতে ছবির ঘুম ভাঙিল। পিসীমা বলিলেন, “যাও—-ভাত থেয়ে এসে । শস্তু নিয়ে যাও । থাইয়ে হাতমুখ ধুইয়ে—জামাটা ছাড়িয়ে দিয়ে ষেও * শঙ্কুঠাকুর ‘হু’ করিয়া ছবিকে লইয়৷ চলিয়া গেল । থাইতে বলিলেই যত নটখটি লাগে । তাহার উপর আবার ঘুমের চোখ। শম্ভু গ্রাস তুলিয়া ছবির মুখের কাছে ধরিতেই ছবি মুখ ঘুরাইয় বসে। একবার বলে, “খাব না”—আবার বলে, “হাত দিয়ে খাব—বাবা খাইয়ে দেবে”—এমন আরও কত কি বলিতে থাকে। কিছুই তাহার পছন্দ হয় না । পিসীমার বড় অস্বস্তি বোধ হয়। আপন মনেই বলিতে বলিতে উঠিলেন, “নাঃ-মেয়েটার জালায় আর পারা গেল না ।” শেষে রান্নাঘরের দরজায় আসিয়া দাড়াইয়া বলিলেন, “থা শিগগির—পাজী মেয়ে ! সব সময়ে কেবল মতলব, - টেনে ফেলে দেব ।” ছবি দুইহাতে শঙ্কুর কাপড় শক্ত করিয়া ধরিল। ঠোট দুটি ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিল । পিসীম। বলিলেন, “জোর করে থাইয়ে দাও, শস্তু।” শঙ্কু খাওয়াইতে যাইতেই ছবিও চীৎকার করিয়া কাদিয়া উঠিল । বেলা ছবির কান্না শুনিয় ছুটিয়া আসিল । বলিল, “ছবি কাদচে কেন শতু—” পিসীম রাগ করিয়া জবাব দেন, “কঁiদচে- আমি মেরেছি -একটু কান্না তোদের সহি হয় না ত তোরা এসে খাইয়ে দিলেই পারিস্—” - বেলা বলিল, “তাই বলেছি না কি ? দিদির ঘুম ভেঙে যাবে—দেখবেন, জামাইবাবু এখুনি এসে পড়বেন । আমার কি ?” ot & পিসীম। আপন মনেই বলিলেন,- “ত আস্থক —” সত্যই নরেন উঠিয়া আসিল । রান্নাঘরে আসিয়া শভুকে গভীর স্বরে বলিল, “সরে বোসে শস্তু-আমি খাইয়ে দিচ্ছি ছবিকে ।” পিসীম৷ মোলায়েম সুরে বলিলেন, “তুমি আবার এলে কেন নরেন, সারাদিন পরে এই একটু শুয়েছ—” নরেন রুক্ষ্মস্বরে জবাব দিল, “আমি না এলে জাবার কিছু হয় না কি ? সব কাজেতেই দেখি আপনার একটা গালমাল বাধিয়ে নেন। আমার জন্তে কিছু নয় । সারাদিন পরে এই ত একটু ঘুমিয়েছে। যদি জাগে— তাহ’লে ?” —রোগীর ঘুমইত সব চেয়ে বড় ওষুধ । পিসীমার রাগে দুঃখে মুখ লাল হইয়া উঠিল । কতক্ষণ পৰ্য্যস্ত . মুখে কোনো কথা যোগাইল না। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া শেষে ধীরে ধীরে বলিতে মুরু করিলেন, “ওকে ত কেউ কিছু বলেনি—তবু ও কেন তোমাদের