পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

84 a মিঃ বসওয়ার্থ লিখিয়াছেন – “ভারতবর্ষে, মুসলমানগণ শত শত হিন্দুকে মুসলমান করে অথচ cन शब्रिभांt१ मञछनटक डैौहेनि षtá शौकिठ कब्रां कठेिन । हें झांग्न ऊछउ: একট। কারণ এই যে মুসলমানের নবদীক্ষিতগণকে সমাজে আপনাদের সহিষ্ঠ সম্পূর্ণ সমান অধিকার দিয়া থাকে, কিন্তু ইউরোপীরের তাছাদিগকে সমান ভাবে গ্রহণ করিতে নিতান্তই অক্ষম ও অনিচ্ছুক। cकांन ७कछन शिन्नू औहेiन श्झेtण fनरछब्र नभांछ७ झांब्राग्न अथक शांमनকৰ্ত্তাদের সমাজেও প্রবেশ করিতে পায় না। অথচ একজন হিন্দু মুসলমান হইলে আপন সঙ্কীর্ণ সমাজের পরিবর্তে মুসলমান জাতির ৰিস্তীর্ণ ভ্ৰাতৃত্বের মধ্যে অধিকার লাভ করে।” মুসলমান হষ্টলে হিন্দুসমাজের পতিত জাতিভূক্ত ব্যক্তিও একদিন সিংহাসন লাভেরও আশা রাখিতে পারে কিন্তু খ্ৰীষ্টান হইলে সে পতিতই থাকে । আরো বলিয়াছেন যে— “স্বজাতিগৰ্ব্বই, এদেশী খ্ৰীষ্টানগণের প্রতি ইউরোপীয়দের এরূপ বিরুদ্ধ সংস্কারের প্রধান কারণ বলিয়া আমাদের বিশ্বাস। এ দেশীয়দের মধ্যে বর্ণাভিমান যেমন প্রবল ইউরোপীয়গণের মধ্যে স্বজাতি অভিমানও সেইরূপ প্রবল । এই কারণেই ভারতবর্ষে অনেক ইংরাজ ভারতবাসী মাত্ৰকেই নির্বিচারে ঘুণ করিয়া থাকে।” শ্ৰীহেমলতা দেবী। সাহিত্যসেবী৫ মালদহেও একটা সন্মিলন হক্টয়া গেল। এইরূপে শিল্পে, সাহিত্যে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদগুলি সুবিস্তৃত সমাজের সমগ্রতা ও ঐক্যের উপলব্ধি করিতেছে। ইহাতে প্রাচীন পল্লীগত জীবনের পরিবর্তে অভিনব জাতীয় জীবনের বিকাশ হইতেছে । আমরা ক্রমশ: এই যে বিচিত্র ঐক্যের সন্ধান পাইতেছি তাহা ভারতবর্ষের পক্ষে একেবারে নূতন জিনিষ । ধৰ্ম্মে, সমাজে, আচার ব্যবহারে আমাদের অনৈক্য ও বিভিন্নতার মধ্যে ঐক্য ও সামঞ্জস্তের কোন দিনই অভাব ছিল না । কিন্তু পাশ্চাত্য রাষ্ট্রনীতি ও শিক্ষার প্রভাবে আমরা ক্রমশঃ যে অবস্থা প্রাপ্ত হইতেছি তাঙ্গ রাষ্ট্রীয় জীবনের ঐক্য— একরাষ্ট্রীয়ত । ইউরোপীয় সভ্যতার সংস্পশে আসিয়া আমরা আমাদের স্বকীয় সভ্যতার পরিচয় প্রাপ্ত হইয়াছি । ইংরাজ জাতি আমাদের ভারতবর্ষ গঠন করিয়াছে । সমগ্র মানবজাতির মধ্যে ভারতবাসীর স্থান খুজিয়া লইবার সুযোগ সৃষ্টি • উত্তরবঙ্গ সাহিত্যপলিনের চতুর্থ অধিবেশনেৰ জত লিখিত । প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ S AAAAAS AAASASAASAASAASAASAASAASAASAAAS - محمےہ...۔ [ >०अ छां★, २ग्न थ७ SAASAASAASAASSAAAAAAS AAAA S AAAAS SAAAAAS AAASASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA করিয়া দিয়াছে। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইউরোপীয়ের যখন ব্যবসায়নীতির বশবৰ্ত্ত কষ্টয়া ভারতবর্ষে আগমনের পথ আবিষ্কার করে তখন তাহানের এক্ট কার্য্য একটা ভৌগলিক আবিক্রিয়ামাত্র রূপে বিবেচিত হইত। তাহার পর সাম্রাজ্য ও উপনিবেশ-রাজা লইয়া যখন ইউরোপে রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয় তাহাতে ভারতবর্ষ আসিয়া ক্রমশঃ ইউরোপীয় জীবনসংগ্রামের আবর্তে পতিত হইল । তাঙ্গার ফলে এক বিচিত্র রাষ্ট্রনৈতিক ঘটনার সংঘটন হইল —ইংলণ্ডের ভারতসাম্রাজ্য অধিকার ও ভারতবাসীর অধীনতা । ঐতিহাসিক ভাবে আলোচনা করিলে এই অধীনতাই সম্পূর্ণরূপে আমাদের আস্তরিক কৃতজ্ঞতার বিষয় । কারণ এইরূপে পরের বশে থাকিয়াই ভারতবর্ষ নিজের আত্মাকে খুজিয়া বাহির করিতে সমর্থ হইয়াছে। আজ দেখিতে পাষ্টতেছি সুদূর অতীতের আকস্মিক এক ভৌগোলিক আবিষ্করণ মানব সমাজের এক বিচিত্র জাতির আত্ম প্রতিষ্ঠার সুচন মাত্র। গভীর ভাবে এবং দূৰদৃষ্টিতে দেখিতে গেলে পাশ্চাত্য শিক্ষার ফলে আমাদের সমাজে কোন অনিষ্টই সাধিত হয় নাই। বরং যাহা কিছু আজকাল আমরা আমাদের অভিনব জাতীয়তার গৌরবের সামগ্ৰী, আমাদের শ্রদ্ধা ও ভক্তির বিষয় বিবেচনা করি সমস্তই আমরা ইউরোপের সহিত সংঘর্ষণে লাভ করিয়াছি । ইংরাজী শিক্ষা আমাদের দেশে যে উদ্দেশ্যেই অনুষ্ঠিত হইয়া থাকুক এবং আমাদের সমাজ পাশ্চাত্য সভ্যতাকে প্রথমে যেরূপ ভাবেই গ্রহণ করুক না কেন,—যখন হইতে আমরা একটুকু স্বাধীনতার সহিত বিজ্ঞান, স্বায়ত্তশাসন, রাষ্ট্রীয় ঐক্য প্রভৃতি বিষয়ক বিদেশীয় ভাবগুলিকে স্বকীয় জাতীয় বিশেষত্বের অঙ্গীভূত করিতে কিয়ুৎ পরিমাণে উপযুক্ত হইয়াছি তখন হইতেই আমাদের বিচিত্র সমাজ সকল বিষয়ে উন্নতির পথে অগ্রসর হইয়াছে । আমরা একে একে স্বাধীন ভাবে জাতীয় সহাসমিতি কংগ্রেস, সাহিত্যপরিষৎ, শিক্ষাপরিষৎ, বিজ্ঞানপরিষৎ, বিদেশ-প্রেরণপরিষৎ প্রভৃতি বিচিত্র প্রতিষ্ঠান গঠন করিতে উপযোগিতা লাভ করিয়াছি। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সমাজ, ধৰ্ম্ম আমাদের চিন্তা ও কৰ্ম্মের আন্দোলনে তরঙ্গায়িত