পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q Եսe অসুস্থ হওয়াতে। আর তোরা, মার দুধ ছেড়েষ্ট চা খেতে শিখেছিস । তোদের মত বয়সে চা জিনিষটিকে আমরা ওষুধ বলেই জানতাম। তোদের দেখতে পাই, ভাত না হলেও চলে, কিন্তু চা—টি চাই ।”—বলিয়া তিনি পেয়ালাটি তুলিয়া মুখে দিলেন। একচুমুক খাষ্টয়া, চক্ষু বুজিয়া বলিলেন—আtঃ । চিনি একটি পেয়াল ভ্রাতাকে নামাষ্টয়া দিয়াছিল । তৃতীয়টি সম্বন্ধে বলিল—“তবে এ পেয়ালাটা কি ह८ब ?” গুরুদাস বাবু সেটির প্রতি লুব্ধ দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন—“তাই ত—নষ্ট হবে ? তার চেয়ে বরং আমিই খেয়ে ফেলব না হয়—থাকৃ—রেখে দে।”—চিনি তখন একটু মৃদ্ধ হাসিয়া, পেয়ালাটি টেবিলে নামাইয়া দিয়া, শূন্ত থালাটি লইয়া চলিয়া গেল । প্রথম পেয়ালাটি নিঃশেষে পান করিয়া, দ্বিতীয় পেয়ালাটি গ্রহণ করিয়া, গুরুদাসবাবু বলিলেন—“নেশা । এ একটা নেশার মধ্যেই গণ্য। যত কম খাওয়া যায় ততই তাল । এক একজন এত চা খায় দেখেছি ! দুপেয়ালা—তিনপেয়ালা-চার পেয়ালা—চলেষ্টছে। আমি সকালে এক পেয়ালা, সন্ধ্যায় এক পেয়াল খাই । বড়জোর এক পেয়ালার জায়গায় দুপেয়ালা হয়ে যায়। দ্বিজুরায়ের গানেই রয়েছে— অসার সংসার কেক নহে কার ধন মান চাহিনী । শুধু বিধি যেন প্রাতে উঠে পাই ভাল এক পেয়াল চা ৷ ওখানে দ্বিজুর একটু ভুল হয়েছে। লেখা উচিত ছিল, প্রান্তে ও সন্ধ্যায় । ছন্দঃপতন হবার ভয়ে বোধ হয় লিখতে পারেনি। তবে যারা ( এইখানে গুরুদাস বাৰু স্বারের দিকে চাহিয়া দেখিলেন মেয়ের কেউ আসিতেছে কিনা এবং স্বর নামাষ্টয়া বলিলেন )—তবে যারা সন্ধ্যাবেলা চার চেয়ে তীব্রতর কিছু পান করে, তাদের হয়ত সে সময় চা না পেলেও চলে –“ধন মান চাহি না”—আহা, ঠিক লিখেছে। একেই ত বলে কবির অস্তদৃষ্টি। একটি বেশ গল্প মনে পড়ে গেল, বলি শোন ।”—বলিয়া গুরুদাস প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড বাবু পেয়ালাটি নিঃশেষ করিয়া, রুমালে মুখ মুছিয়া আলবোলার নলটি তুলিয়া লক্টলেন । এমন সময় চিনি আসিয়া বলিল—“বাবা, মা জিজ্ঞাসা করলেন, আর এক পেয়াল চা খাবেন কি ?” বৃদ্ধ বলিলেন—“আবার এক পেয়ালা কেন মা ? তু পেয়ালা ত খেলাম। বেশী চা খাওয়া ভাল নয় ত ।– হ্য কি বলছিলাম, সেই গল্পট বলি শোন ।” গল্পের নাম গুনিয়া চিনি দ্বারের নিকটস্থিত একটা সোফায় উপবেশন করিল। আলবোলার নলে গোটা দুষ্ট টান দিয়া, গুরুদাস বাবু বলিতে আরম্ভ করিলেন “আমি তখন বক্সারের সবডিভিজনাল অফিসার। মফস্বলে টুরে বেরিয়েছি। গ্রীষ্মকাল। ভয়ানক গরম পড়েছে—দিনের বেলায় লু চলে। দিনে যাতায়াত করা অসম্ভব । আমি তাই রাত্রে যাতায়াত করতাম। একদিন গঙ্গা দিয়ে যাচ্চি । দুখান নেীকে আছে—একখানা আমার, একখানাতে আমলা, আর্দালির অাছে। ফুটফুটে জ্যোৎস্না রাত্রি । ফুর ফুর করে বাতাস দিচ্ছে। রাত্রি তখন ১২টা—তীরের খুব কাছ দিয়ে নেীকে দাড় টেনে যাচ্ছে। একটা জায়গায় তীরের কাছেই একটা প্রকাও বটগাছ ছিল, তার কাছাকাছি আসতেই, মানুষের একটা গো গো শব্দ শুনতে পেলাম। নৌকো থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম—“কোন হায় ?—কোনও উত্তরই নেই। শুধু একটা অস্ফুটধ্বনি শুনতে পেলাম,—ষ্টিয়া আল্লা—জান গিয়া –ভাবলাম, কি হয়েছে ? কেউ একে কেটে কুটে ফেলে যায় নি ত ? কোনও ব্যারামে এ মরছে না ত ?— নেীকে তীরে লাগিয়ে আমরা নামলাম। লোকটার কাছে গিয়ে দেথি—একবার সে উঠে বসছে—একবার গুচ্ছে— আর কাতরাচ্ছে । মুসলমান ফকীরের বেশ । সেখানটা তেপান্তর মাঠ । কোথাও জনমমুষ্য নেই । ধুধু করছে বালির চড়া। জিজ্ঞাসা করলাম—“তোমার কি হয়েছে ? এমন করছ কেন ?—আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আর্দালির जिख्ठानां रूबरण, ८कांन उंखब cनहे। उभू ‘हेब्रा श्रांझষ্টয়া আল্লা”—বলে কাতরানি। বসন্ত কিম্বা কলেরার কোন চিহ্ন দেখলাম না । গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম,