পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ Wo jo మ90áు ঐকরার যোগসাধন আরম্ভ করিয়া তাহা হইতে বিচলিত হইলে বা সাধনায় ত্রুটি থাকিলে সাধকের নানাপ্রকার শারীরিক ও মানসিক অনিষ্ট হয়। শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়াছেন র্তাহার নিৰ্দ্দিষ্ট যোগপদ্ধতিতে এরূপ কোনও অনিষ্ট্রের সম্ভাবনা নাই। অন্যান্য সাধন-মার্গের ন্যায়ু শ্ৰীকৃষ্ণ যোগের দোষ বর্জন করিয়া গ্রহণ করিয়াছেন । সৰ্ব্ববিধ কঠোরত পরিত্যক্ত হsয়ায় অনিষ্টের সম্ভাবনাও লুপ্ত হইয়াছে । আশ্চর্য্যের কথা এই যে, ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে শ্ৰীকৃষ্ণ যৌগিক মার্গের আলোচনা করিলে ৪ প্রাণায়ামের কোন উল্লেখ করেন নাই । ৪র্থ অধ্যায়ে যেখানে শ্ৰীকৃষ্ণ নানারূপ সাধনাকে যজ্ঞ বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন সেইখানে প্রাণায়ামের প্রথমোল্লেখ দেখা যায়। ৫ম অধ্যায়ের শেষে যেখানে সন্ন্যাসীদের কথা হইতে যতিদের কথা আসিয়াছে, সেইখানে তাহীদের সাধন হিসাবে প্রাণায়ামের পুনরুল্লেখ হইয়াছে । ৪র্থ অধ্যায়েঃ যতিদের কথার পরেই প্রাণায়ামের উল্লেখ আছে। যতিদের পরেই ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে যোগীদের কথা আসিয়াছে। সেজন্য মনে হয় যে, প্রাণায়াম যতি নামক সাধকfদগের বিশেষ সাধনাপদ্ধতি। যতি ও যোগী এক বলিয়। মনে হয় না । ইহাদের পার্থক্য কি আমি তাত। জানি না। প্রাচীনতর কালে বৈদিক সময়ে যতি নামক এক পৃথক সম্প্রদায় ছিল । বেদে তাহার উল্লেখ আছে। যতিগণকে স্থানে স্থানে ‘ব্রাতা’ ও ‘অসংস্কৃত’ বলা হইয়াছে। যতিগণের সাধনা সকলে আহমোদন করিতেন বলিয়া মনে হয় না, কিন্তু র্তাহারা যথেষ্ট সম্মান পাইতেন। প্রাণায়াম যতিদের দ্বারা উদ্ভাবিত হইয়া থাকিলে, পরবর্তীকালে তাহ পাতঞ্চল যোগশাস্ত্রে স্থান পাইয়াছে। এ সম্বন্ধে বেদাভিজ্ঞগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি । র্তাহারা সঠিক সংবাদ বলিতে পরিবেন । ভপ বা ভপগু!—কোন বস্তু বা বরপ্রাপ্তির নিমিত্ত কচ্ছ সাধনের নাম তপ বা তপস্তা । ভারতবর্ষে বহু পুরাকাল হইতে এখন পর্য্যন্ত তপস্যার প্রচলন আছে । এখনও সাধুগণ নানাপ্রকার কচ্ছসাধনকে তপস্যা ত করেন । গীতায় ‘মজ্ঞ তপ ও দর্শনে’র একত্র উল্লেখ বহুস্থানে আছে, যে-যে কৰ্ম্মে অনাচার ও তামসিকতা প্রবেশ করিয়াছিল শ্ৰীকৃষ্ণ ১৭ অধ্যায়ে তাহাদের সাত্ত্বিক রাজসিক ও তামসিক শ্রেণিবিভাগ করিয়াছেন । যজ্ঞ তপ ও দান এই তিনেরই শ্রেণিবিভাগ দেখানে হইয়াছে। শ্ৰীকৃষ্ণ শরীরকে কষ্ট দিয় উৎকট তপের পক্ষপাতী নহেন। শরীর উৎপীড়নপূৰ্ব্বক যে তপ অল্পষ্ঠিত হয় শ্রীকৃষ্ণ তাহাকে অসং বলিয়াছেন। গীতায় যেখানে যেখানে তপের উল্লেখ আছে, তাহার অধিকাংশ স্থলেই অন্ত মার্গের তুলনায়ু তপকে ছোট করিয়া দেখানো হইয়াছে। শ্রীকৃষ্ণ যজ্ঞ তপ দান—এই তিন কৰ্ম্মকে একই চক্ষে দেখিতেন বলিয়া মনে হয় । তিনি যজ্ঞ দান তপ পরিত্যাগ করিতে বলেন নাই সত্য, কিন্তু এই তিনেরই ত্ৰিবিধ ভেদ দেখাইয়া আচরণের দোষ দর করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। শ্রীকৃষ্ণের মতে, উপযুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হইলে এই তিন কৰ্ম্মই চিত্তশুদ্ধির হেতু । শ্ৰীকৃষ্ণ যজ্ঞের ন্যায় তপেরও নুতন নির্বচন দিয়াছেন এবং ইহার শারীরিক বাচসিক ও মানসিক শ্রেণি-বিভাগ করিয়াছেন । এই তিন বিভাগের কোনটিতেই শরীর ও মনের কষ্টদায়ক কোন পদ্ধতির কোন উল্লেখ করেন নাই। দেবতা ব্রাহ্মণ গুরুভক্তি, শরীরের শুদ্ধি, সারল্য, ব্রহ্মচৰ্য্য, অহিংস, শ্রুতিমধুর বাক্য, শাস্ত্রাধায়ন, অস্তঃকরণের পবিত্রতা ইত্যাদিকে শ্ৰীকৃষ্ণ তপ বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন । দান—গীতায় যজ্ঞ, তপ ও দানের একত্র উল্লেখ বার-বার পাওয়া যায় একথা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। দানের একটা বিশেষ পুণ্যফল মান হইত এবং এখনও হয় । পুণ্যকৰ্ম্ম হিসাবে এখনও বহুলোক দান করিয়া থাকেন । সৰ্ব্বত্রই যে দান সৎপাত্রে পড়ে তাহা নহে। অসৎপাত্রে দানে সামাজিক অনিষ্টের সম্ভাবনা এইজন্যই শ্ৰীকৃষ্ণ যজ্ঞ ও তপের ন্যায় দানেরও সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক শ্রেণিবিভাগ দেখাইয়াছেন। সাত্ত্বিক দানে চিত্তশুদ্ধি হষ । অৰভাৱৰাঙ্গ—সময় সময় স্বয়ং ভগবান জীবমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া ধৰ্ম্মরক্ষণকল্পে জন্মগ্রহণ করেন এই বিশ্বাস বহু পূৰ্ব্বকাল হইতে চলিয়া আসিয়াছে। ৰে