পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રહ છે উপড়ে নিয়ে গেছে—এমনি তার দুঃখ। ধারের অনেকগুলো টাকার হিসেবটাতেই হতভাগা ইঞ্জ-প্লেট । ভরিয়েছে। কাজেই ও বাকী টাকাটার উপর মনপ্রাণ বসিয়ে রেখেছে ! ঝোড়ো উত্তর দিলে,—খুড়ে, তোমার অন্নেই পিবৃতিপালন, আর দুটে দিন সবুর কর না, তোমার বাপমায়ের আশীৰ্ব্বাদে যা লিচু জামরুল গোলাপজাম ধরেছে গাছক’টায়, উঃ কি ব’লব । তোমার পয়সা আগে দিয়ে তবে ফল-বেচার পয়সা ঘরে তুলব, দেখো। তুমি না থাকুলে ঝড় মোড়লকে এদিন ভাগাড়ে পচে মরতে হ’ত । শেয়াল শুকনীতে মাংস খুবলে থেত। মুদী সশঝে হরিধ্বনি ক’রে জিব কেটে বললে,—দ্যাখ লক্ষ্মীছাড়া, ক’টা টাকার জন্যে হিঁদুর সন্তান হয়ে অমন দুৰ্ব্বাক্য খবদার উচ্চারণ করিসনি বলছি, নরকেও স্থান হবে না তাহলে। কি ভোর চাই বলত ? সেই সকাল থেকে ত এসে বসে আছিল, দেখছি ? ঝোড়ো তাড়াতাড়ি তার গামছার গ্রন্থিটা দেখিয়ে বললে,—এই নিয়ে রেখেচি, খুড়ে, সেরটাক আলু। খাতায় মন দিয়ে মুদী বললে,—আচ্ছ। যা, কিন্তু এই শেষবার যেন মনে থাকে। সব পয়সা মিটিয়ে না দিলে আর এক তিল সামগ্ৰী পাবে না, তা ব’লে দিচ্ছি। মুদী খাতায় এক সেরের জায়গায় পাচপোর দাম লিখলে । ধারে জিনিষ নিলে ও কিছু চড়া দাম আদায় করে। খদের দাম দিতে এসে বিস্মিত হ’লে মুদী চটে গিয়ে হিসাবের খাতাথান খুলে ধরে । বলে,—দ্যাখ না, এই ত লেখা রয়েচে, আমি কি মিথ্যে বলছি । নিরক্ষর খদের লেখার পানে চেয়ে থাকে । শেষে মনে করে হবে হয়ত, লেখাপড়ার হিসেব কখনও মিথো হয় না। কিন্তু মুর্দীর সঙ্গে ঝগড় করতে ছাড়ে না। ছোট এক টুকরো মিম্রির ডেলা একটা ছেলে মুখে পূরে দিলে, তাও মুদীর দৃষ্টি এড়ালো না । মুদী অকথ্য গালাগাল দিতে দিতে হাতের নড়ি আছড়ে ওকে গঙ্গার ঘাটে খুয়ে আসতে লাগল। অন্ত যারা দাড়িয়েছিল তারা মুখে মুখে মুদীকে খুব উৎসাহ দিয়ে

  • ్క ఏ99áు

উত্তেজিত ক’ঙ্গে তুললে । মুদী বেচারী একবার মাচার এ-কোণ আবার ও-কোণ ছুটোছুটি করে ছেলেটাকে শীলে পায় না। ওরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে মুখে যত উৎসাহ দিলে হাতে তত কাজ সারলে । কেউ এক মুঠো মুজি, কেউ এক ডেলা মিক্সি, এমনি সব, খয়ের স্বপুরী ডাল, যে যার গামছার খুটে বেঁধে কোমরের সঙ্গে সেথান চটপট এমন জড়িয়ে নিলে যে বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না। দৌড়োদৌড়ি ক’রে মুদীর হাফ ধরে গেল। চৌকিটার উপর উঠে বসে ও ফোস ফোস ক’রে নিঃশ্বাস ফেলতে লাগল । শেষে কেনাবেচায় মন দিতে হয় । যে চার পয়সার জিনিষ নিলে সে দিলে একট পয়সা। কারণ মুনীর হুকুম—ওর অনেক বাকী পড়ে গেছে, আর শুধু হাতে জিনিষ নেওয়া চলবে না। নেপেন চাটুজ্জের মেয়ে তেল নিতে এসেছে। ওর বাবা সদরের মুহুরী, দু-পয়সা পায়। মেয়ে বললে,—মুদৗজ্যাঠা, আমি আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকুব, বাবা টাকা দিয়েছে জমা ক’রে নাও শিগগীর, আর আমায় রসিদ দাও । মুহুরীর মেয়ে সে, ভারি চালাকচতুর। মুদী লাফিয়ে এসে তার আঁচলের গ্রন্থি খুলে টাকা ক’টা গুণে বাজিয়ে নিল । দু-মুঠো বাতাসা তার কাপড়ের খুটে বেঁধে দিয়ে বললে,—কি করব মা, দেখছিস ত বুড়ো হয়েছি, একটু চলাফেরা করলেই হাফিয়ে যাই, তার ওপর ঐ আবাগের ব্যাটা বেজোর ছাবালট একেবারে চরকিপাক ঘুরোলে, দেখলে ত মা। মুর্দীর একান্ত বিশ্বাস এই নেপেন চক্কোতির উপর। সে একট পয়সাও কোনদিন মারবার চেষ্টা করে না । তেলের বোতলটায় তেল ভৰ্ত্তি ক’রে দিতে গিয়ে ওর হাতে গড়িয়ে পড়ল। মুদী সেটা গায়ে মাথায় মেখে নিলে। স্নানের সময় ওর আর নতুন করে তেল মাখতে হয় না। সন্ধ্যার পরেও যদি হাতে তেল লেগে যায়, তক্ষুনি সেটা গায়ে মেখে ফেলে,—তাতে মশা কামড়াতে পারে না। কারণ মশা গায়ে বস্বামাত্র তেলে পা আটকে যায়। তখন সে স্থল ফুটোবার চেয়ে नि### মুক্তির জন্তে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়ে। রক্তশোৰণ স্থা