পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রে কাদে । হয় না, প্রাণপণে পাখা নেড়ে য়ু-ঘূর্ণ o যুদী হাসিমুখে মজা দেখে । , బ్తో " ** * < ---- - نی - ર૭4 বগলে চেপেখও গোয়াল-ঘরের দিকে এগোয় । গাধার লালচে বেতো ঘোড়ার পিঠে চট ও অনেকটা বেলা হ’লে ও দোকানের ஆன் দ বেঁধে ও গায়ে গায়ে ঘোড়ায় চ’ড়ে ঘোরে আকাশের পানে তাকিয়ে বেলা অকুমান করে । সূর্যের দিকে একবার গাত্র চেয়ে নিয়ে ও যা সময় বলে, ঘড়ির সঙ্গে তার ঠিক মিল হ’য়ে যায়। বেলা একটার ও দোকানে ধুনো গঙ্গাজল ছড়া দিয়ে দোকান বন্ধ করে। গামছাট। কঁধে ফেলে, নারকেল তেলের ভাড় থেকে একটু তেল নিয়ে মাথায় ঘস্তে ঘস্তে, ঝাপে চাবি লাগিয়ে চলে যায়। একেবারে মিত্তিরদের পুকুরে স্বান সেরে ঘরে খেতে আসে । যুদী-বউ মুখ ভার ক’রে ভাত বেড়ে দেয়। মুদী গ্রাসের পর গ্রাস মুখে তুলে দিতে দিতে ভাবে দোকানের সত্যি উন্নতি হচ্ছে কি না । মনে মনে গত সন আর এ সনের বিক্রি মিলিয়ে দেখবার চেষ্ট করে। কার কার কাছে কি কি পাওনা আছে, তার হিসেব করে । এই সব ভারতে ভাবতে এত অস্ত্যমনস্কভাবে খায় যে ভাত তরকারী পাতে প’ড়ে থাকে, কম ক’রে দিলেও আর চায় না। যা পায় নিৰ্ব্বিবাদে তাই থেয়ে উঠে পড়ে। তরকারীতে বেশী ঝাল দিলেও কথা কয় না, মুন কম হ’লেও চায় না। মুী-বউ প্রাণপণে তরিতরকারী ভাল ক’রে রাধে, কিন্তু এক দিনের জন্যেও মুনীর মুখ থেকে একটা তৃপ্তির কথা শোনে নি। বউয়ের সঙ্গে কোন কথাই ওর কওয়া হয় না। তাই অনেক ভেবেচিন্তে মুদী-বউ ঠিক করেছে যে, গায়ে পড়ে কথা কইবার দরকার নেই। ছেলে মেয়ে বউ যেন ওর শত্রু। কেন যে, তাও মুী-বউয়ের মাথায় আসে না—কোনদিনই ত একখানা গয়না কি কাপড়ের জন্মে আধার জানায় নি, না সে নিজে, না তার ছেলেমেয়ে। মুদী যা হাতে তুলে দিচ্ছে, তাই ত ওরা হাসিমুখে নিয়ে আসছে। লোকটার উপর ওর মাঝে মাঝে রাগও হয়, আবার ভয়ও করে । তাই হঠাৎ কিছু বলতেও সাহস হয় না। . ডিবে থেকে দু’টাে পান তুলে নিয়ে মুদী তখুনি গামছা কাধে ফেলে তাগাদায় বেরোয় । বিশ্রাম করবার ওর সময় নেই । ছেড়া ছাতটি জার একখানা হিসেরের খাতা బీg=t - న& "ঋণের তাগাদায়। মুদী-বউ দাওয়ার খুঁটি ধ’রে চেয়ে থাকে। কখনও বা একটা দীর্ঘশ্বাস আর কখনও বা বড় বড় ফোটার জল ওর চোখ ছাপিয়ে ঝরে পড়ে । এসব কথা ও কাউকে জানায় না। নিজের বেদন বুকে চেপে রাখে। এমনি ক’রে বউয়ের দিন যায় । বেলা তিনটেয় মুদী তাগাদ শেষ ক’রে ফেরে। আর বাড়ি যায় না,সোজ একেবারে দোকানে । তাগাদ থেকে ও পায় ধান চাল, চিড়ে গুড়, শাকস জী, এমনি সব জিনিষ । চাল চিড়ে গুড় এ সব মুদী দোকানে রাখে বিক্রি করবার জন্যে । বাকী সব মুদীর মেয়ে বিকেলে এসে ঘোড়াসুদ্ধ নিয়ে যায়, ঘরখরচের কাজে লাগে । তাগাদায় মুদী পয়স বড় একটা পায় না । কাজেই হিসেবের খাতায় ত আর থে{ড় মোচা জমা হ’তে পারে না, কাজেই যে-ঋণ সে-ঋণই থেকে যায়, লাভের মধ্যে মুনীর থাইখরচট। বেঁচে যায়। তবে যে-ব্যাটারা নেহাৎ চামার তারা মুনীর সঙ্গে ঝগড়া করে। বলে,—কেন খুড়ে, ঐ মোচাড়া বাজারে বেচলি পরে নিছক দুডো পয়সা হোতুনি। তাই জমা করে নাও ! মুর্দী চোখ কপালে তুলে বলে,—বলি কি রে ; ঐ মোচাট দু-পয়সায় বিকোতো ! তাল, তোর মোচা আমি ফেরত দেব । আধ পয়সা দিলেও কেউ নেয় না যে রে! চাষা হেসে বলে,—খুড়ো, মোচা ফিরোবে কেম্‌মে, সে ত খেয়ে ফেলেচো । না না আধলা-টাধলা লয় তুমি একডা পয়সা জমা করে নিও। আর একড়া পয়সা তোমায় না হয় খাতি দিলুম। এমনি ক’রে মুদী আদায়ও কৃরে যত অপরের ঋণও ততই কমে না ; মুীর খাত ভৰ্ত্তি হয়। পুরোনো খাতা ছেড়ে নৃতনে হিসেব ওঠে, হালখাতার দিনে। সঞ্চার সময় মুী চোঁকে একটা কাচের লন্ঠনের মধ্যে - , ।్య : :