পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՆ-o ఏ99áు সেগুলিকে খণ্ডন করিবার বিশেষ কোনও চেষ্টা করিল না, ফিরিয়া যাইবার সঙ্কল্পকে দৃঢ়ভাবে ধরিয়া রহিল। নিজে বুঝিতে পারিল, ভিতরে ভিতরে তাহার মেজাজ উষ্ণ হইয়া উঠিতেছে, পাছে এই আতিথ্য-পরায়ণ সহৃদয় যুবকটির কাছে তাহ ধরা পড়ে এই ভয়ে প্রাণপণে নিজেকে সে সংবরণ করিতে লাগিল । সুভদ্রের শেষ কয়েকটা কথার কোনও উত্তরই সে দিল না, তাড়াতাড়ি চায়ের দ্বিতীয় পেয়াল শেষ করিয়া উঠিয় পড়িল, হাতের ঘড়িটার দিকে অকারণেই একবার দেখিয়া লইয়া বলিল, “এবার তাহলে যাওয়া যাকৃ কি বলেন ? জিনিষগুলো কারও জিন্ম ক’রে দিয়ে আসা হয়নি।" সুভদ্ৰ কহিল, “এই ব্যাপার ? বন্ধন, বস্থন, সে ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছে। আমি ষ্টেশনে লোক পাঠিয়েছি, আপনি ফিরে না-যাওয়া পৰ্য্যন্ত বস্বে। তাছাড়া ভুবন মাষ্টার আছে, তাকেও খবর পাঠিয়েছি। আপনার জিনিষ হারাবার কোনো সম্ভাবনা নেই, আপনি বস্থন ’ অজয় বসিল, কিন্তু ইহার পর অনেকক্ষণ চুপচাপ কাটিল । অজয় বুঝিল, গল্প জমাইবার চেষ্টা করিতে গেলে হিতে বিপরীত হইবে । তাহার মাথা ভরিয়৷ বিরক্তি পিপীলিকার সারির মত অস্থির গতিতে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, শিরদাড়া বাহিয়া নামিতেছে, আবার উঠিতেছে, প্রকাশের অবকাশ পাইলে এখনই দলে দলে ভিড় করিয়া বাহির হইয়া আসিবে। সকালের একবারকার অপরাধের অমুশোচনার স্মৃতি এখনও তাহার মন হইতে লুপ্ত হয় নাই, প্রাণপণে জিহবার রাশ টানিতে গিয়া সে একেবারেই স্তব্ধ হইয়া গেল। সুভদ্র অবস্থাটাকে ঠিক ধারণা করিতে পারিতেছিল না, কিন্তু ঘরের বাতাসটা যে ভারাক্রান্ত হইয়া উঠিয়াছে ইহা অনুভব করা তাহার পক্ষেও কঠিন হইল না । সেও বসিয়া বসিয়া নীরবেই অজয়কে দেখিতে লাগিল । এই স্তব্ধতার অবকাশে উঠিয়া পলায়ন করিলে মুভদ্রের হয়ত চট করিয়া প্রতিবাদ করিবার মত কথা জোগাইবে না ভাবিয়া অজয় আবারও খাট ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল । নমস্কার করিয়া কহিল, “বসা ত হ’ল, এবার যাওয়া যাক্ । আপনি ত আর ক'দিন পরেই ফিরছেন, তখন ہے لیے خت----* একদিন গিয়ে আপনার সঙ্গে ভাল ক’রে আলাপ করব ।” 魯 সুভদ্র প্রতিনমস্কার করিল না, খাট ছাড়িয়া উঠিলও না, কহিল, "এবারে আপনি বাড়াবাড়ি করছেন। আমার কথা না, হয় ছেড়েই দিন, বাবাকে খুব ভালমামুষ ভেবেছেন, কিন্তু ভালমাস্তুষিতেই ওঁর মত একরোথ মানুষ আর দুটি নেই । তারপর আমার মা আছেন, প্রভা আছে, আমি ছাড়লেও তারা আপনাকে ছাড়বেন না। আপনি আজ অভুক্ত বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলে এরা হয়ত সকলে অনাহারে থাকবেন, জলস্পর্শ পৰ্য্যস্ত করবেন না ।” অজয় কহিল,"তবু বলবেন বাড়াবাড়িটা আমি করছি ? ডিম, কলা, প্রায় আধখানা পেপে, আনারস, ফুপেয়াল চ, এত-সব খেয়ে গেলাম, এর নাম হল অভুক্ত বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাওয়া ? আপনিও কি অতিথির চেয়ে আতিথ্যকে বড় করবেন ?” সুভদ্র সত্যই একটু দমিয়া গেল, আস্তে কহিল, “অতিথির চেয়ে আতিথ্য বড় হ’লে সেটা অত্যাচার হয় জানি ; কিন্তু আপনার উপর কোনো অত্যাচার করা আমার অভিপ্রায় নয়। দুপুরের রোদে খোলা মাঠের মাঝখানে আপনার সত্যিই খুব কষ্ট হবে, আপনি বুঝতে পারছেন না ।” এমন সময় ষোল-সতেরো বছর বয়সের একটি মেয়ে পিছনের দরজা ঠেলিয়া ঘরের মধ্যে প্রায় ছুটিয়া ঢুকিয়| পড়িয়াই তৎক্ষণাৎ “ও মাগে৷” বলিয়া অন্তৰ্হিত হইয়া গেল। সুভদ্র ছুটিয়া গিয়া দরজাটাকে ফাক করিয়া ধরিয়া ডাকিল, “প্রভা, প্রভ, পালাচ্ছিস্ কেন ? কি চাস ব’লে যা-না ?” অনেকখানি দূর হইতেই উত্তর আসিল, “সে হবে এখন অন্য সময় ।” সুভদ্র ফিরিয়া আসিয়া দেখিতে পাইল অজয় একখানা বই টানিয়া লইয়া একমনে তাহার পাতা উন্টাইতেছে । ইহার পর যথারীতি অতিথি সংকারের পালা। : .. છે. সুভদ্রের পিতা পূজা সমাপন করিয়া আসিয়া क्झिंबकः