পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- জ্যৈষ্ঠ । একটা ধার অকারণেই একটু ঝাড়িয়া বসিয়া বলিলেন, “বস বাবা বসু, কাপড়-চোপড় ছাড়নি যে ? আজ আবার যা গরম পড়েছে, খোলা গায়ে হাওয়া লাগলে তবু একটু আরাম পাবে। ভদ্র কি কবৃছিলে এতক্ষণ ? ওরে শশী, শশী ! ও নিমাই ! এদিকে আয় তোরা একজন, বাবুর চাদর-জামাগুলো তুলে রাখ, হাত-পা ধোবার জল দে ।” বাড়ীশুদ্ধ মানুষের সম্মুখে প্রৌঢ় হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যে তাহাকে অৰ্দ্ধনগ্ন করিয়া ছাড়িয়া দিবেন, এই সম্ভাবনামাত্রে ভয়ে অজয়ের নাড়ী ছাড়িবার উপক্রম হইল। যুগসভ্যতার প্রভাবে দৈহিক লজ্জা যতটুকু থাকিবার তাহা ত তাহার ছিলই ; তদুপরি সে নিজে তাহার শরীরের অপরিণতি বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন । তাড়াতাড়ি কহিল, “না, ন, আমার শরীরটা বিশেষ ভাল নেই, নতুন জায়গার হাওয়াটা আর গায়ে লাগতে দিতে চাই না।” শরীর কেন ভাল নাই, ম্যালেরিয়ার ধাত আছে কি না, কলিকাতায় কোথায় কাহার কাছে থাকে, সেখানে খাওয়া-দাওয়া কি-প্রকারের হয়, মাথা ঠিক রাখিয়া এই-রকমের আরও অসংখ্য প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে অজয় ষ্টাপাইয়া উঠিয়াছে, এমন সময় সাত-আট বৎসর বয়সের ফুটফুটে স্বন্দর একটি ছেলে একহাতে একটা আনারসের টুকরা লইয়া লাফাইতে লাফাইতে ছুটিয়া আসিয়া একেবারেই তাহার কোল ঘেষিয়া দাড়াইয়া তাহার সঙ্গে ভাব জমাইল । কহিল, “আমরা একবার কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানে বাঘ আছে।” অজয় একটু ভাবিয়া হাসিয়া বলিল, “ঠিক বলেছ, কলকাতায় বাঘ আছে বটে। তুমি স্বভত্রবাবুর ভাই ?” ছেলেটি ঘাড় হেলাইয়া জানাইল, হঁ । “কি নাম তোমার ?” ছেলেটি মুখভরা, আনারস লইয়া কষ্টে উচ্চারণ করিল, “স্থ-দ-শ-ন ।” *.. স্কুড়ন্ত্র পূর্বেই কি একটা কাজে অক্ষরে গিয়াছিল, जजाब मात्र इनर्वप्नद्र तिबा कष अभिब फेfबांग्रह اسمه ٩ـسسعة حقة শৃঙ্খল २४°S থানার দিকে প্রস্থান করিলেন। একটু পরে দশ-এগারে বৎসরের আর-একটি ছেলে আসিয়া অত্যন্ত বিজ্ঞের মত মুখ করিয়া স্থদর্শনকে কহিল, “তুই এখানে বসে বেশ ত আডড দিচ্ছিস দেখছি! কি বলেছিল তোকে বড়দা ?” সুদৰ্শন অত্যন্ত অপরাধীর মত মুখ করিয়া একবার অভিযোক্তার দিকে এবং একবার অজয়ের দিকে চাহিতে লাগিল। বড়ছেলেটি কহিল, “মা আপনাকে একটু দেখতে চান, বড়দ আপনাকে ডেকে নিয়ে যাবার জন্তে ওকে পাঠিয়েছিলেন। আপনি আসুন ।” অজয় একট ইতস্তত: করিয়া সুদর্শনের হাত ধরিয়া উঠিয়া পড়িল । এই দুটি কিশোর বালকের কাছে নিজের কোনও দুর্বলতাকে প্রকাশ হইতে দিতে তাহার ইচ্ছা করিল না । অন্দরের বড়ঘরের বারান্দায় আসন পাতিয়া অজয়কে বসিতে দিয়া সুভদ্রের মাতা তাহার প্রণাম গ্রহণ করিলেন। তাহার মাথায় ধানদূৰ্ব্ব দিয়া তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। চোখের উপর অবধি ঘোমটা টানিয়া নিজে একটু দূরে বসিয়া স্বভদ্রাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হী রে, তোর বন্ধুটি এত রোগ কেন ?" অজয় নীরবে একটু হাসিল । সুভদ্র কহিল, “একবেলার বেশী উনি থাকবেন না, তা না-হলে খাইয়ে-দাইয়ে চেষ্টা ক’রে দেখতে পারতে মোটা করতে পার কি-না।” তাহার মা বলিলেন, “তুই নিজে যা-না পালোয়ান ; তাছাড়া কি যে যা-ত বলিস, ওর মা বুঝি ওকে খাওয়াতে কিছু ত্রুটি করেন ?” অজয় নতমস্তকে বসিয়াছিল, কহিল, “খুব ছেলেবেল থেকেই আমার মা নেই, খেতে অবিশ্যি আমি সমানই পেয়েছি।” - কিছুক্ষণ নীরবে কাটিল, তারপর একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া স্বভদ্রের মা কহিলেন, “বেচারা! মা নেই, তাই ত এমন দশা!" : a - অজন্তু বিত্রত ৰোধ করিতেছে বুঝিতে পারিয়া স্বজ্ঞ তাহাকে ভাকিয়া লইয়া বাহির হইয়া গেল গ্রামের