পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ সাহিত্যস্থষ্টি S (ነ তাই যাহাতে সে নিয়ম প্রতিপালন করিতে পার। ধায় তাহার জন্য সংযম আবশ্যক, ইন্দ্রিয়বৃত্তিকে দমন করা আবশ্বক, ইহাতে হয় চুরি করিবার ইচ্ছাই হয় না, অথবা হইলেও লোকে তাঙ্গ দমন করিয়া, তাহ হইতে নিবৃত্ত থাকিতে পারে । চুরি করিতে হইবে না, তাহ ভাল মহে, একথ। চোরও জানে, তবুও সে তাহ করে, কারণ তাহার সংযম নাই । ইন্দ্রিয়পরায়ণ বাক্তি দুষ্কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্ত হয় না ; কারণ তাহার সংসম মই, সে নিজের ইন্দ্রিয়বৃদ্ভিকে দমন করিতে পারে না । তাঙ্গ করিতে ন! পারায় তাঙ্গার মোহ উৎপন্ন হয়, মোহ তাতার বুদ্ধিকে গfচ্ছন্ন করে, সে তাঁহাতে বস্তক দেখিতে পায় না, BBBBBBB BBBB BBS BBBB BBS BBB BBBBB তাকর্তৃবা মনে করে, আর সাহ অকৰ্ত্তব্য তাত ও কর্তৃবা বলিস ভাবে ; এবং তাঁহাই অনুসরণ করিয়া সে নিজে অপ” পতিত হয় এবং অনুকে ৪ অধঃপতিত করায় । জগতে রাজায়-রাজায়, রাজয়-প্রজায়, জ। তে, ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে এত যে মারা-মারি কাটা জাতিতে কাটি হানাহানি হইতেছে ; এত যে দুঃখের উপর দুঃপের ভার ক্রমশই বাড়িয়া উঠিতেছে ; ভাবিয়া দেখিলে বুঝা যাইবে তাহারও মূলে এই অসংযম । উদাম ইন্দ্ৰিয়বৃত্তি মাতুষকে অস্থির করিয়া সে তখন নিজের সীমা লঙ্ঘন করে, আর সঙ্গে সঙ্গে গভীর গর্ভের মধ্যে পতিত হয়। বিষয়লালসার তৃপ্তি হইবে অথচ কোনো উপদ্রবই হইবে না, শোক দুঃখ আসিবে না, সে ইহার উপায় অন্বেষণ করে, খুবই করে । সে গুলি-গোলা কামান-বন্দুক ইত্যাদি যত রকমের যত কিছু সম্ভব সবই সংগ্ৰহ করিয়া রাখে । কিন্তু দেখা যায় তfহাতে অভিলমিত ফল হয় না, যে ফল হয় তাহ। বিপরীত। তাহার দুঃখ কমে না, বাড়িয়াই যায় । রোগের নিদান না জানিয়া চিকিৎসা করিতে গেলে যাহা হইবার তাহাই হয়। সে জানে না যে, তাহার ঐ রোগের মূল তাহার ভিতরে রহিয়াছে, বাহিরের প্রলেপে তাহার প্রশমন হইবে কেন ? ঐ মূলট হইতেছে অত্যধিক বিষয়স্বথসম্ভোগের লালসা, মাহার অপর নাম আসক্তি, তৃঞ্চ, অতিপ্রবল বিলয়গুগলালস। (.マ。「ひみ ] কাম । যতক্ষণ তৃষ্ণ থাকে ততক্ষণ শান্তি পাওয়া যায় ন! । তাহা যত-যত বাড়ে অশান্তিও তত-তত বাড়িতে থাকে । অতি উপাদেয়, অতি দুলভ থাদ্য সামগ্ৰী আনিলেও তাহ। ঐ অবস্থায় মানুষকে রোচে ন! ; দুগ্ধফেননিভ স্থকোমল শঘ্য থাকিলেও তাঁহাতে তাহার ঘুম হয় না, দিবfরাত্রি সে ছটফট করিতে থাকে । সর্থন সে তাহার পুরে অভিলমিত বিষয়টি পায় তখন আর তাহীতে তাতার তৃষ্ণ থাকে না, সে স্তগী হয়, শাস্তি পায় । এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করিবার আছে। যতক্ষণ তাহার তৃষ্ণ থাকে ততক্ষণ সে সুখ-শাস্তি পায় না ; কিন্তু যখনই ঐ তৃষ্ণ যায় তখনই তাহ। আসে। ইহাতে স্পষ্টই দেখ! যাইতেছে, তৃষ্ণাই দুঃখ ও অশাস্তিব কারণ, আর তৃষ্ণারই অভাব ব্লগ ও শাস্তির কারণ । এই তৃষ্ণার অভাব দুই প্রকারে হয় । তৃষ্ণর বিষয় ব। বস্তুটি পাইলে, আর মোটেই তৃষ্ণ না জন্মিলে, কাহুর ও রোগ হইয় তাহ ভাল হইলে, স্বাস্থ্য আবার ফিরিয়৷ আসিলে তাহাকে বেশ ভাল লাগে ; আবার হার রোগ হয় নাই এবং এই জন্যই স্বাস্থ্য ঠিক থাকে, তাহাকেও বেশ ভাল লাগে। উভয়েরই ভাল-লগাব মপো ঐ রোগের তা ভাবটি আছে । তৃষ্ণার জাল উপস্থিত হইলে সেই সেই অভীষ্ট বস্থকেই পাইয় তাহ। নিবারণ করিবার চেষ্ট সাধারণত সকলেই করে । কিন্তু অভীষ্ট ফল তাহতে পাওয়া যায় না । সকলেরই নিকটে ইহা প্রত্যক্ষ, এবং তাছাই বেদের একট পঙক্তিতে বলা হইয়াছে যে, “কামঃ সমুদ্রমাৰিবেশ।” বেদঞ্জের ইহার তাৎপর্যা ব্যাখ্যা করিয়৷ বলেন যে, সমুদ্রের যেমন অস্ত নাই, কামেরও তেমনি অস্ত নাই । বিষয়ভোগের দ্বার তৃষ্ণার নিবৃত্তি বড় দুরাশা। কাহারও কোনো দিন ইহা হয় নাই। বৌদ্ধ সাহিত্যে এ বিষয়ে একটি বড় চমৎকার গল্প আছে। অনন্তযশ নামে এক খুব বড় রাজা ছিলেন । তিনি স্বর্গে গিয়া কিছু দিন পরে সেখান হইতে ভ্ৰষ্ট হন। পরে তাহার মৃত্যু যখন আসন্ন, তখন র্তাহার রাজ্যের পৌরজানপল্লবর্গ, ও সামন্ত রাজগণ সেখানে উপস্থিত হন। র্তাহাঙ্গর মধ্যে রাজ ক্লিার অনন্তশের নিকট গিয়া বলিলেন, ‘মহারা,