পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলদীঘাটের যুদ্ধ ও মহারাণা প্রতাপের শেষজীবন ঐকালিকারঞ্জন কানুনগো, পি-এইচ-ডি মহারাণ। প্রতাপের রাজত্বের ( ১৫৭২—১৫৯৭ খৃ: ) ইতিহাস মোগল-সাম্রাজ্যের সহিত র্তাহার অবিরত সংগ্রামের সুদীর্ঘ কাহিনী। রাজ্যারোহণের পর মহারাণার পক্ষে রাজ্যের আভ্যন্তরীণ স্বব্যবস্থা ও শক্তিসঞ্চয়ের জন্য অবকাশ নিতান্ত প্রয়োজনীয় ছিল ; সম্রাট আকবরও এই সময়ে সৌরাষ্ট্র ও গুজরাট জয়ে ব্যস্ত থাকায় উভয় পক্ষই সহসা যুদ্ধে অনিচ্ছুক ছিলেন। বিনাযুদ্ধে মহারাণীকে বশীভূত করিবার জন্ত আকবর চেষ্টার কিছু ক্রটি করেন নাই। এই জন্যই তাহার আদেশে কুমার মানসিংহ এবং রাজা ভগবানদাস রাণাকে বুঝাইবার জন্য বন্ধুভাবে উদয়পুর গিয়াছিলেন। মহারাণা প্রতাপের বীরত্ব নীতিবর্জিত ছিল না । তিনি মানসিংহ এবং রাজা ভগবানদাসকে নানা রকমে আপ্যায়িত করিয়া স্তোক-বাক্য ও ছলনা দ্বারা মোগল-সম্রাটকে তিন বৎসর পর্য্যন্ত ভুলাইয়া রাখিলেন। ‘আকবরনামা’-পাঠে মনে হয় প্রতাপ যেন যাই ঘাই’ করিয়া মোগলদরবারে যান নাই ; অথচ তিনি ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের আয়োজনে ব্যাপুত ছিলেন। ইহাতে প্রতাপের পক্ষে অগৌরবের কিছুই নাই –ইহাই রাজনীতি । ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে সম্রাটু আকবর মানসিংহের অধ্যক্ষতায় পাচ হাজার সৈন্ত রাণার বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন ; তাহার সহকারী নিযুক্ত হইলেন মীরবকৃশী আসফ খাঁ । সম্রাট আকবরের মনের ভাব যাহাই হউক মোল্লারা এই অভিযানকে 'জেহাদ' বা ধৰ্ম্মযুদ্ধ বিবেচনা করিয়া ইহাতে শরিক হওয়ার জন্য অস্থির হইলেন। ঐতিহাসিক মোল্লা আবদুল কাদের বদাযুনী দরবার হইতে কয়েক মাসের ছুটির জন্য নকীব থাকে সম্রাটের কাছে স্বপারিশ করিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। নকীব খা গোড়ামিতে মোর সাহেবের & উপর আরও এক কাঠি। তিনি দুঃখ করিয়া বলিলেন,- এ লড়াইয়ের সর্দার যদি কাফের না হইয়া একজন মুসলমান হইতেন তাহা হইলে আমিই সৰ্ব্বপ্রথমে ইহাতে শরিক হইতাম। মোল্লা বদ্বায়ুনী তাহাকে বুঝাইলেন–র্তাহার উদ্বেগু সাধু ও মহৎ ; সর্দার হিন্দু হইলেও বাদশার নিমকৃখোর গোলাম। সম্রাটের অনুমতি পাইয়া মোল্লা বদায়ুনী মহা উল্লাসে কাফের জয় করিবার জন্য আরও কয়েকজন 'একদিল বন্ধুর সহিত মানসিংহের সেনায় ধোগ দিলেন। তিনি হলদীঘাটের যুদ্ধের সরস ও নিরপেক্ষ বর্ণনা নিজের ইতিহাসে লিখিয়া গিয়াছেন। আজমীর হইতে মোগল-সৈন্য মাণ্ডলগড় পৌছিয়াছে শুনিয়া মহারাণ। কুম্ভলমীর দুর্গ হইতে সসৈন্য গোগুনায় আসিলেন। মোগল-সৈন্ত লম্বী লম্ব কুচ করিয়া জুন মাসের প্রথমে নাথদ্বারার* পথে গোগুন্দার দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। নাথদ্বারা হইতে আট মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে খমনোর গ্রাম। খমনোর হইতে তিন মাইল পশ্চিমে গোগুন্দ ও থমনোরের মধ্যবৰ্ত্তী পৰ্ব্বতশ্রেণীর মধ্যে হলীঘাটের সঙ্কীর্ণ গিরিপথ। কুমার মানসিংহ খমনোর ও হলীঘাটের মাঝামাঝি বনাস নদীর তীরে শিবির স্থাপন করিলেন। ওদিকে মহারাণাও গোগুনা হইতে যাত্রা করিয়া মোগল-শিবির হইতে তিন ক্রোশ দূরে পাহাড়ের আশ্রয়ে শত্রুসৈন্তের আক্রমণের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। ‘বীরবিনোদ’ গ্রন্থে কবিরাজ খামলদাসজী লিখিয়া গিয়াছেন হলীঘাটের যুদ্ধের একদিন পূৰ্ব্বে কুমার মানসিংহ কয়েক জন অমুচরের çatı +¡ttaa wąąttw 'is in city of Darrah' fòîf&#fč§o ! cभक्षांप्झ Dayrah नांtभ (कांन श्रृंझ्ब्र नाई । ईशः श्लौघाँ झई८ङ এগার মাইল উত্তর-পূর্বে অবস্থিত "নাথদ্বারা"।