পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র অগত্যা প্রাক্তন সংস্কার না মানিয়া বংশগত মনাই যুক্তিযুক্ত । 翰 সংস্কার আর এক দিক দিয়া জন্মান্তরবাদের বিচার করা হতে পারে। জন্মান্তর স্বীকার করিতে হইলে আত্মার অস্তিত্ব মানিতে হয় । দেহাতিরিক্ত আত্ম। বলিয়া কোন পদার্থ আছে কিনা তাহার সম্পূর্ণ বিচার অল্পকথায় সম্ভব নহে । আমরা ‘আমি বলিলে যাহা বুঝি তাহাকেই অ’ য়ু বল। হয় । “আমি’টা কি বস্তু সাধারণেব সেসম্বন্ধে ধারণ। বড়ই অস্পষ্ট । বিদ্বনি ব্যক্তিরা ও এ সম্বন্ধে একমত নহেন । আধুনিক শারীরবিং, মনোবিং ও শনিকদের মধ্যে এই “আমি” লইয়া -বতণ্ডা চলিতেছে। নানা বিচার ও কেহ বলেন, এই দেহটাই “আমি । হোতিরিক্ত ‘আমি ব| আত্ম বলিয়। কিছুই নাই । কুত হইতে যেরূপ পিত্ত নিঃস্থত হয় সেইরূপ মস্তিস্ক ইহঁতে ‘আমিত্বের’ জ্ঞান উৎপন্ন হয় । মস্তিষ্কের বিকারে আমিত্বের জ্ঞানও নষ্ট হয় । ইহা চিকিৎসকদিকের প্রত্যক্ষসিদ্ধ। আত্মাই যখন নাই তখন পুনর্জন্মবাদ fকরূপে মানিব ? ভস্মীভূতস্য দেহশ্ব পুনরাগমনৰ্ম্ম কুত: ? * পরে বলেন, যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে ততক্ষণই ‘অামি’ ভব ; অতএব প্রাণই ‘অামি ভাবের মূল । কোন মনোবিং বলিবেন, ইন্দ্রিয়জাত জ্ঞানের সমষ্টি হইতেই ‘আমি ভাব উৎপন্ন হয়, পৃথক ‘আমি বলিয়া কিছু নাই । অপর মনোবিং বলেন ইন্দ্রিয়জ্ঞান হইতে আমি জ্ঞান জন্মে না কিন্তু উপহতি ( emotion ) গুলিই "আমি ভাবের জনক । কাম, ক্রোধ, ভয় ইত্যাদি হইতেই “আমি ভাব। কেহ বলেন ‘মন’ই আমি আশ্চর্য্যের কথা এই যে পুরাকালে আমাদের দেশে এই সমস্ত মতই প্রচলিত ছিল, এবং তাহ লইয়া পণ্ডিতগণের মধ্যে যথেষ্ট বাদামুবাদ হইত। হিন্দুশাস্ত্রের স্থির মত এই যে এ সমস্তের একটিও আমি নহে। এই জন্তই শঙ্করাচার্ষ্য বলিয়াছেন— भन, बूकि, अश्झाव्र, फ़िख ‘अभि' नई লহি বোম, ভূমি, ন বা তেজ বায়ু হই নহি শ্রোত্র, জিহব। আমি নহি মেত্র প্রাণ চিদানন্দ আমি, আমি শিব ভগবান ✓ጫጫ ഇബ് , "الله নহি সপ্তধাতু আমি নয় কা &###"fদয়া উপস্থ পায়ু চিদামদ"তামি, আমি শিব ভগবান ‘আমি যে এগুলির একটিও নহি ভাষাতেই তাহার প্রমাণ রহিয়াছে । অমরা বলি ‘আমার শরীর, আমার ইন্দ্রিয়, আমার প্রাণ, আমার মন, ইত্যাদি আমি শরীর, আমি মন এরূপ বলি না । দেহাশ্রিত, কিন্তু দেহ-মনপ্রাণাতিরিক্ত এক আমি বা আত্ম হিন্দুশাস্ত্রে স্বীকৃত হইয়াছে। দেহ, প্রাণ, মন প্রভৃতি আত্মার আবরণ। প্রথম-দৃষ্টিতে এই আবরক কোষগুলির এক একটিকে আমি বা আত্মা বলিয়। মনে হয় । কঠোর সাধনার ফলে এই আবরণ গুলি ছিন্ন হয় ও তখন “আমি” ব| আত্মার স্বরূপ প্রকাশিত হয় । তৈত্তিরীরোপনিষদে ভূ গুবল্লীতে এই সাধনার কথা উল্লিখিত আছে । ছান্দোগ্যোপনিষদে প্রজাপতি ও ইন্দ্র বিরোচন সংবাদে কথিত হইয়াছে যে ১০১ বৎসর তপস্যার পর ইন্দ্র এই কোষগুলি ভেদ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । পুরাকালে অনেক ঋষিও যে আত্মতত্ত্ব নিৰ্দ্ধারণে পারক হইয়াছিলেন তাহার ভূরি ভূরি প্রমাণ বেদ উপনিষদে রহিয়াছে । আধুনিক যুক্তিবাদীর পক্ষেও এই সকল বিবরণ অগ্রাহ করা সমীচীন হইবে না । বিজ্ঞানের অনেক দুরূহ পরীক্ষা আমরা নিজের না করিতে পারিলে ও বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানবিদের কথাই প্রমাণ বলিয়া মনে করি । অবশ্য বিজ্ঞানবিদের উপর অশ্রদ্ধা থাকিলে তাহার কথা না-ও মানিতে পারি । যিনি মনে করিবেন ঋষির ভুল করিয়া বা মিথ্য। করিয়া তাহাদের আত্মোপলব্ধির কথা লিখিয়া গিয়াছেন তিনি আপ্তবাক্যে বিশ্বাস করিবেন না। হিন্দু কিন্তু এই আপ্তবাক্যে বিশ্বাসবান—সেজন্য তিনি দেহাতিরিক্ত আত্মার অস্তিত্ব মানেন । বিভিন্ন শাস্ত্রে যুক্তিতর্কের দ্বারাও আত্মার প্রতিষ্ঠার চেষ্ট হইয়াছে । ঋষির আত্মা সম্বন্ধে আরও অনেক কথা বলিয়াছেন, যথা, আত্মা জড়ধৰ্মী নহে । যাহা আত্ম! তাহ চেতন, যাহ। অনাত্মা তাহা অচেতন বা জড় । মনও সূক্ষ্ম জড় পদার্থ। আত্মার সান্নিধ্যেই মনে চেতনার স্ফূরণ হয়। সৰ্ব্বপ্রাণীতেই 馨