পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 円 অদ্বৈতসিদ্ধি বালবোধিনী টীকা এবং ন্যায়ামৃত, প্রথম ভাগ ও দ্বিতীয় ভাগ—ঐযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ চকমাগ্য বেদন্তিতীৰ্থ কর্তৃক বঙ্গানুবাদ ও তাৎপৰ্য্যসমেত। শ্রীরাজেন্দ্রনাথ ঘোষ কর্তৃক স্বকৃত ভূমিকা সহিত সম্পাদিত । প্রকাশক শ্ৰীক্ষেত্রপাল ঘোষ, ৬নং পার্শিবাগান লেন, কলিকাতা। ভূমিকা ও অদ্বৈতসিদ্ধি এব: স্বায়ামৃত সহ প্রায় ১৭০০ শত পৃষ্ঠা । মূল্য ১০ টাকা। শ্রন্ধেয় শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয় বহুদিন হইতেই বঙ্গভাষায় দার্শনিক গ্রন্থের—বিশেষতঃ শ্ৰীমৎ শঙ্করাচার্ষ্য-প্রবর্তিত মার্গের প্রতিপদক বেদাপ্ত শাস্ত্রের – প্রচারকল্পে বহু আয়াস ও অর্থব্যয় স্বীকার করিয়া বিদ্বৎসমাজে লব্ধপ্রতিষ্ঠ হইয়াছেন। র্তাহার এই প্রশংসনীয় উদ্যমের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ফল অদ্বৈতসিদ্ধির বঙ্গালুবাদ ও তাৎপর্য ব্যাখা সম্প্রতি প্রকাশিত হইয়াছে । কলিকত। রাজকীয় সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক পণ্ডিতপ্রবর শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ তর্কতীর্থ মহাশয়ের হস্তে এই অনুবাদ ও তাৎপর্য্যব্যাখ্যার রচনা-ভার গুস্ত হইয়াছিল । তর্কতীর্থ মহাশয়ের স্থায় স্থায় ও বেদগন্তুশাস্ত্রে নিধাত, বাখ্যানকুশল সুপণ্ডিত ব্যক্তির অক্লান্ত পরিশ্রমে এই রচনা বঙ্গীয় দার্শনিক সাহিত্যের এক মহামূল্য সম্পত্তিরূপে পরিণত হইয়াছে । সংস্কৃত দার্শনিক গ্রন্থের ভাষানুবাদ অতি কঠিন--বিশেষতঃ যে সকল গ্রস্থের রচনাতে নব্য-স্যায়-শস্ত্রের পরিষ্কার-প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে তাহণদের অনুবাদ ও তাৎপর্য্যবিবরণ বঙ্গীয় পাঠকের বোধগম্য করিয়া নিবদ্ধ করিবার চেষ্টা বস্তুতঃই দুরূহ ব্যাপার । তর্কতীর্থ মহাশয় এই দুরূহ কার্য্যে এর্তী হইয়া যে প্রকার পাণ্ডিত্য, বিশ্লেষণপটুত্ব এবং লিপিচাতু্য প্রদর্শন করিয়াছেন তাহ সৰ্ব্বথা প্রশংসনীয়। যে সকল পণ্ডিত এবং ছাত্র অদ্বৈতসিদ্ধি-অধ্যয়নে উৎসুক তাহার এই গ্রন্থ হইতে যথেষ্ট উপকার লাভ করিতে পরিবেন। অদ্বৈতসিদ্ধি প্রকরণ গ্রন্থ । ইহা মাঞ্চ সম্প্রদায়ের ব্যাসাচার্যাকুত স্বায়ামৃত গ্রন্থের খণ্ডন স্বরূপ। সম্পাদক সহাশয় পরিশিষ্টে সামুবাদ স্বায়ামৃত গ্রন্থের আনুষঙ্গিক অংশ সংযোজিত করিয়া পূৰ্ব্বপক্ষ জানিবার সুবিধা করিয়া দিয়াছেন । ঐীমৎ শঙ্করের ও তাহার শিক্ষাবর্গের অদ্বৈত মতের গ্রন্থাদি প্রকাশিত হওয়ার পরে নানা দিক্ হইতে অদ্বৈত সিদ্ধান্তের উপৰ বহুশতাব্দী পৰ্য্যস্ত আক্রমণ চলিয়াছিল । এই সংঘর্ষের ফলে বেদান্তদর্শনের বিচারাংশ পুষ্ট হইয়াছিল। গ্রীহষের খণ্ডনখওখাদ্য, চিৎস্থখাচায্যের প্রত্যয়ন্তত্ত্ব প্রদীপিকা ও মধুসূদনের অদ্বৈতসিদ্ধি অদ্বৈত বেদাস্তের উৎকৃষ্ট বিচারগ্রন্থ। তন্মধ্যে অদ্বৈতসিদ্ধিই অপেক্ষাকৃত আধুনিক বলিয়া সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । যিনি অদ্বৈতসিদ্ধি জানেন না, তাছাকে অদ্বৈতশাস্ত্রে প্রবিষ্ট বল চলে না । মধ্যযুগে দ্বৈতবাদ ও অদ্বৈতবাদের আপেক্ষিক উৎকর্ষ সম্বন্ধে বহু গ্ৰন্থ রচিত হইয়াছিল। শঙ্করমিশ্রের ভেদরত্নপ্রকাশ, বিশ্বনাথ স্থায়পঞ্চালনের ভেদসিদ্ধি, বেণী দত্তের ভেদ-জয়ন্ত্রী এবং মাধব সম্প্রদায়ের ভেদোজজীবনাদি দ্বৈতসিদ্ধাস্ত প্রতিপাদক গ্রন্থ । তত্ত্বৎ নৃসিংহাশ্রমের ভেদধিকার, অদ্বৈতীপিকা, মধুসূদনের অদ্বৈতরত্নরক্ষণ, অদ্বৈতসিদ্ধি প্রভৃতি অদ্বৈতমতের গ্রন্থ । কিন্তু অদ্বৈতসিদ্ধিতে যে তর্ককুশলতা ও প্ৰৌঢ়ি দেখিতে পাওয়া যায় তাহ অন্তত্ব খুব স্বলভ নহে। পণ্ডিতপ্রবর তর্কতীর্থ মহাশয় অদ্বৈতসিদ্ধির এই অনুবাদ ও ব্যাখ্যা রচনা করিয়া জিজ্ঞাসু পণ্ডিতমণ্ডলীর ধন্যবাদভাজন হইয়াছেন । তিনি মূল গ্রন্থের উপর সরল সংস্কৃত ভাষায় "বালবোধিনী” নামী একটি স্বনিৰ্ম্মিত টাকাও সংযোজিত করিয়া দিয়াছেন। উহাতে বঙ্গভাষানভিজ্ঞ পাঠকের পক্ষেও মূলের পংক্তিযোজন ও অর্থাববোধবিষয়ে যথেষ্ট আনুকূল্য হইবে, আশা করা যায়। গোঁড়ব্ৰহ্মানন্দীর স্থায় অতুলনীয় ব্যাখ্যাগ্রস্থ সত্ত্বেও “বালবোধিনীর” উপযোগিতা আছে, ইহ। নিঃসন্দেহ। আশা করি, পণ্ডিত মহাশয় একটু কষ্ট স্বীকার করিয়া ধৈর্য্যসহকারে তাহার অরিন্ধকাৰ্য্যটি ক্রমশঃ সমাপ্ত করিতে চেষ্ট। করিবেন। পাঠকসংখ্যার ব্যুনতাদর্শনে তিনি নিরুৎসাহ হইবেন না, আমাদের এরূপ ভরসা আছে । সম্পাদক মহাশয় স্বকৃত ভূমিকাতে নিজে বহুদৰ্শিতায় পরিচয় দিয়াছেন। প্রথম খণ্ডের ভূমিকাতে অদ্বৈত চিন্তার স্রোত ঐতিহাসিক ক্রম অনুসারে বিস্তৃতভাবে প্রদর্শিত হইয়াছে। গ্রন্থকারের ও গ্রন্থপ্রতিপাদ্য বিষয়ের পরিচয় প্রসঙ্গে বস্তু অবগু-জ্ঞাতব্য বিষয় সন্নিবেশিত হইয়াছে। স্কায়শাস্ত্রের ও অন্তান্ত দর্শনের সিদ্ধান্ত, মূল গ্রন্থপাঠের সহায়তার জন্ত সংক্ষেপত: বর্ণিত হইয়াছে। কোন কোন স্থানে সম্পাদক মহাশয়ের সহিত আমরা একমত হইতে না পারিলেও ভূমিকাতে যে ব্যাপক অনুসন্ধিৎস ও বিপুল পরিশ্রমের পরিচয় পাওয়া যায় তাহ “আচাৰ্য্য শঙ্কর ও রামানুজ”-এর রচয়িতারই উপযোগী। দ্বিতীয় খণ্ডের ভূমিকাতে প্রচলিত ক্রমবিকাশবাদের আলোচনা ও নিরাকরণের চেষ্টা আছে। কিন্তু আমাদিগের মতে এই অংশটি গ্রন্থমধ্যে না থাকিলে ভাল হইত। তবে বেদস্তালোচনার জন্য বেদের স্বরূপ, প্রামাণ্য ও অপৌরুষেয়স্তাদি সম্বন্ধে প্রতিকূল যুক্তির নিরসন পূর্বক সিদ্ধান্তের সম্যক বিচার আবশ্বক। ভূমিকার যে অংশে এই বিচার প্রদর্শিত হইয়াছে তাহা বৰ্ত্তমান সময়ের পাঠকের পক্ষে পুবই উপযোগী হইয়াছে। আমরা চিন্তাশীল ও বেদান্তজ্ঞানলিপ্ত পাঠকসমাজে এই গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি । শ্ৰীগোপীনাথ কবিরাজ ভারতে পরদেশী ব্যাঙ্কের বনিয়াদ-—শ্ৰীজিতেন্ত্রনাথ সেন-গুপ্ত, এম্-এ বি-এল প্রণীত । প্রকাশক-বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান পরিষদ। ১২ পৃষ্ঠা, মূল্য বারে আন মাত্র । ংলা দেশের কেন, সমগ্র ভারতবর্ষের প্রধান সম্পদ তাহার বহির্বাণিজ্যের মধ্য দিয়া অর্জিত হইয় থাকে এবং এই সম্পদের আগমে শ্ৰেষ্ঠ সহায়ক কয়েকটি বিদেশীয় পরিচালিত এক্সচেঞ্জ ব্যাঙ্ক। এক্সচেঞ্জের কাধ্যে ভারতীয়ের বিশেষতঃ বাঙালীয় স্থান নাই বলিলেই হয়। ইহার অন্যতম কারণ সরল ভাষায় এক্সচেঞ্জ ব্যাঙ্কের কার্য্যাবলীর భ