পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8سواوك\ ఏ90áు সহিত দেশবাসীর পরিচয় করাইয়া দেওয়ার ব্যবস্থার অভাব। শ্ৰীযুক্ত জিতেন বাবুর এই ক্ষুদ্র পুস্তিকাখানি সে অভাৰ অনেকাংশে মোচন করিয়াছে । বইখানি তিন অংশে বিভক্ত। লেখক প্রথমে এক্সচেঞ্জ-সংক্রান্ত বিবিধ সংজ্ঞাগুলির বাংলা পরিভাষা ও অর্থ বুঝাইয়া দিয়াছেন। দ্বিতীয়ভাগে ভারতের বর্তমান এক্সচেঞ্জ ব্যাঙ্কগুলির পরিচয় এবং এই সম্পর্কে আমাদের সমস্তার কথা আলোচনা করিয়াছেন এবং তৃতীয় অংশে এই সকল সমস্যা সমাধালের উপায় নিৰ্দ্ধারণের চেষ্টা করিয়াছেন । লেখক অতি অল্প কথায় সরলভাবে প্রায় সকল জ্ঞাতধ্য বিষয়েরই সমাবেশ করিয়াছেন। বইখানি আমাদের বেশ ভাল লাগিয়াছে। বাংল। ভাষায় এরূপ আরও পুস্তকের রচনা হওয়া বাঞ্ছনীয় । শ্ৰীনলিনাক্ষ সান্ত্যাল MEMORIES OF MY LIFE ANI) TIMES. Bipin Chandra Pal. Modern Book Aganey, 10, College Square, Calcutta Rs. 5. 1932. মনস্বী বিপিনচন্ত্র পালের জীবন নানারূপ বিরোধের মধ্য দিয়৷ গিয়াছে। প্রাচ্য-পাশ্চাত্য আদশ-সপ্তধর্মের মধ্যে পড়িয়৷ আমাদের জীবন যেরূপ ভাবে সর্বপ্রকারে গড়িয়া উঠিয়াছে, পাল-মহাশয়ের আত্মজীবনীতে পাঠক তাহার পরিচয় পাইবেন । সমগ্র জীবনী তিন খণ্ডে প্রকাশিত হুইবে : বৰ্ত্তমান ( ১ম ) খণ্ডের সীম, ১৮৫৮-১৮৮৬ , অর্থাৎ ইহাতে লেখক তাহার প্রথম যৌবনের কথাই বলিয়াছেন । ইহাতে বিপিনবাবুর শিক্ষা-দীক্ষা, পারিবারিক সুখ-দুঃখ, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ, রাজনৈতিক জীবনের আরম্ভ,-- এসব কথা তো আছেই, তাহ ছাড়া তখনকার ছাত্রজীবন, রাজনৈতিক আন্দোলন, সংবাদপত্র, রঙ্গমঞ্চ, ধৰ্ম্মবিপ্লব, হিন্দুজাগরণ অর্থাৎ শিক্ষা, সাহিত্য, ধৰ্ম্ম, সমাজ–তখনকার জীবনের নানাদিক দেখিতে পাইবেন । ভাগ্যবশে গ্রন্থকারকে উড়িষ্যা, মাম্রাজ প্রভৃতি ভারতের অন্ধ্যাঙ্ক প্রদেশ পৰ্য্যটন করিতে হয়, তাহাদের বিবরণও ইহাতে আছে। বিপিনবাবু পণ্ডিত ও রসজ্ঞ ছিলেন : তাহার লিপিনৈপুণ্যে পঞ্চাশ বৎসরের পুর্বের কথা পাঠকের সম্মুখে উজ্জ্বল ও স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে । আমরা গ্রন্থখানির বহুল প্রচার কামনা করি ও দ্বিতীয় খণ্ডের জস্ব সাগ্রহে প্রতীক্ষা করিতেছি । ঃখের বিষয় বিপিনচন্দ্র তাহীর আত্মজীবনীর এই প্রথম খণ্ডও মুদ্রিত অবস্থায় দেখিয়া যাইতে পারেন নাই, প্রায় এক মাস পুৰ্ব্বে উপহার প্রাণবিয়োগ ঘটিয়াছে ; প্রকাশকের দুঃখ রাখিবার স্থান নাই । লেখকের অভাবে পরবর্তী খণ্ড দুইটির সম্পাদন বথাযোগ্য সতর্কতার সহিত হওয়া উচিত। বর্তমান খণ্ডে দুই-একটি ক্রটির উল্লেখ করিতেছি ; মলাটের পরেই গ্রন্থারস্তে সময় দেওয়া আছে; ১৮৫৭-১৮৮৪ ; ইহা ঠিক নহে, কারণ লেখকের জন্ম ১৮৫৮-এর শেবভাগে, তাহার পিতার মৃত্যু ১৮৮৬ খ্ৰীঃ অস্ট্রে , এই উভয় বৎসর, বর্ণনা-কালের সীম। ২৫৬ পৃষ্ঠায় একটি মারাত্মক রকমের ভুল চোখে পড়িল,-তুঙ্গদ্বীপের কথা বলিতে গিয়া লেখক মনোমোহন বস্থর বঙ্গাধিপ-পরাজয়’ নামক ‘নভেলের’ উল্লেখ করিয়াছেন ; উহার স্থানে হরিশচন্দ্র নামে নাটক বসিবে : বঙ্গাধিপ-পরাজয় যিনি লিখিয়াছিলেন র্তাহার নাম মনোমোহন বস্তু নয়, প্রতাপচত্র ঘোষ। বিপিনবাবু এখন ইহলোকে নাই, তাহার বন্ধুবান্ধব, ধাহাদের হাতে বাকী দুই খণ্ডেয় সম্পাদন-ভার দেওয়া আছে, আশা করি উাহার এই শ্রেণীর ভ্রমপ্রমাদ বিষয়ে অবহিত হইবেন । অবগু এরূপ বিস্তর ভুল থাকিলেও বর্তমান বাংলার তথা ভারতের {. ইতিকথা হিসাবে ও একজন চিন্তাশীল কৰ্ম্মীরের আত্মজীবনী হিসাবে ইহা অত্যন্ত মূল্যবান গ্রন্থ। শ্ৰীপ্রিয়রঞ্জন সেন আলোর আলেয়া— উপন্যাস। লেখক – ক্রমুরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, এম্-এস-সি ; বি-এল। প্রকাশক -এমু, সি, সরকার এণ্ড সঙ্গ, ১০ কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা। কাপড়ে বাধাই, ৫০০ পৃষ্ঠা, মূল্য আড়াই টাকা । আনাড়া কারিগর প্রচুর মালমশলা হাতে পাইলেও মুম্বর জিনি গড়িয়া তুলিতে পারে না-কারণ সেই মালমশলার হঠু ও সঙ্গত প্রয়োগ-বিধি তাহার অজ্ঞাত । আলোচ্য গ্রন্থের সম্পর্কেও সেই কথাই খাটে—লেখকের হাতে উপস্কাসের মালমশলা মজুত ছিল, তবুও তিনি সাহিতা স্বষ্টি করিতে পারেন নাই সংযম ও রসবোধের অভাবে : গ্রন্থখানি আয়তনে বিপুল কিন্তু ভিতরে সার নাই, আছে কেবল স্থানে অস্থানে যার-তার মুখে লম্বা লম্বা বস্তৃত। পড়িতে পড়িতে শ্রাস্তি আসে, মনে হয় হরেশবাৰু যেন পাঠককে বক্তৃতা শুনাইবার জন্তুষ্ট কলম ধরিয়াছেন। তার ফলে যে কাহিনী দু’শ আড়াই শ পৃষ্ঠার মধ্যে বলা চলিত, তাহাই জুড়িয়া বসিয়াছে ৫৭৫ পৃষ্ঠা। আলোচ্য গ্রস্থে একাধিক ঘটনা উদ্ভট ও অস্বাভাবিক হইয়াছে । যেমন ২২ পরিচ্ছেদে বয়স্কোপ দেখিতে বসিয়া তরুণ ও গীতির আচরণ । ২২৬ পৃষ্ঠায় বর্ণিত লতার আচরণও অতি অদ্ভুত ৷ যে-দুরাচার তাহাকে ছলে-বলে কৌশলে বন্দী করিয়া রাখিয়াছিল এবং ক্ষণকাল পূৰ্ব্বে ভগ্নহার প্রতি পাশবিক অত্যাচার করিতে উদ্যত হইয়াছিল, তাহার কবল হইতে পরিত্রাণের সুযোগ পাইয়াও তাহ প্রত্যাখ্যান করার কোনো সঙ্গত হেতু খুজিয়া পাওয়া যায় না। লেখক যে হেতু নির্দেশ করিয়াছেন তাহা হাস্যকর। অনেক পাত্রপাত্রীর মধ্যে কেবল চিত্র মেয়েটি ফুটিয়াছে তাল। লেখকের ভাষাজ্ঞান নাই বলিতে পারি না, তবে ক্রিয়াপদের চলিত রূপ ব্যবহার করিতে গিয়া তিনি হিমসিম খাইয়াছেন। যেমনউঠি স্থলে ‘ওঠি, উঠেছে’ স্থলে ওঠেছে’, ‘উঠলেই স্থলে ওঠলেই, ‘গুলিয়ে স্থলে গোলিয়ে’ । কলেজে-পড়া শিক্ষিত নরনারীর মুখে বিশ্বেস’, ‘পরীঙ্কে, মুলি’ ‘স্বকের চিন্তে ইত্যাদি অদ্ভুত ও অচল । তাহা ছাড়া ফেলতিস’ স্থলে 'ফেলতি, ‘দিতিস’ স্থলে দিতি, করতিস BB SBBBS BBB BB SBBS BB BB BBBSBBBS স্থলে "ওধধ’, এমন কি 'রামধৰ্ম্ম স্থলে "রামধেনু' পৰ্য্যস্ত দেখিলাম ! উনিকে’, ‘উনির বীরেন্দ’, ‘বুঝ’, ‘কিছুটা প্রভৃতি প্রাদেশিকতা আছে, এবং বলা বাহুল্য র', 'ড়' ও 'e’ বিভ্রাটও বাদ পড়ে নাই। বাংলা ভাষার "ইডিয়ম্ লেখক আয়ত্ত করিতে পারেন নাই। ঢ়ে। চো করিয়া ঘোর খুসফুসে জ্বর প্রভৃতি ভাহার প্রমাণ । ভবিষ্কৃতে গ্রন্থ-রচনায় প্রবৃত্ত হওয়ার আগে বাংলা ভাষায় আধুনিক বঙ্গভাষার একটি ভাল অভিধানের শরণ লইলে লেখক বিশেষ উপকৃত হইবেন আশা করি । শ্ৰীসুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিক স্বষ্টিতত্ত্ব—এঅক্ষয়কুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সঙ্গ, ২-৩১১ কর্ণওয়ালিস্ট্রটু, কলিকাতা । মূল্য বার আল, পৃঃ ৭• । স্ত্রীযুক্ত চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বাংলা ভাষায় হলেখক বলিয়া