পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

でラI要重 বিবিধ প্রসঙ্গ-সুনীতি দমন আইন ዓት®© শর্ঘকাল ধরিয়া সরকারী আলোচনা চেষ্টা চলিতে সুরিল, নূতন করিয়া উড়িয়াকে 'একটি স্বতন্ত্র সরকারী প্রদেশে পরিণত করিবার চেষ্টা চলিতে পারিল, কিন্তু পুরাতন বাংলা অতীত কালে যেমন এক ছিল তেমনি এক করিবার বেলাতেই “বিলম্ব হইবে।” আপত্তি কেন উত্থাপিত হয় ? রীড সাহেব সাইমন রিপোটের দোহাই দিয়াছেন। কিন্তু ঐ রিপোটেরই দ্বিতীয় ভলুমের ২৬ পৃষ্ঠায় আছে, it is extremely important that tho adjustment of provincial boumdaries and the creation of propor provincial areas should take place before the new process has gone too far.” [“প্রদেশগুলি ফেডারেটেড বা সংঘবদ্ধ সমগ্র ভারতের] একটি একটি স্বতন্ত্র অংশ হইবার প্রক্রিয় খুব বেশী দূর অগ্রসর হইবার পূৰ্ব্বেই প্রাদেশিক সীমার নিষ্পত্তি এবং একটি একটি প্রাদেশিক ভূখণ্ডের যথাযোগ্য গঠন সাতিশয় প্রয়োজনীয় ।” দুনীতি দমন আইন দুনীতির ব্যবসা দমনের জন্য শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রনাথ বসু বে আইনের পাণ্ডুলিপি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় পেশ করিয়াছেন, তাহ সিলেক্ট কমিটির হাতে দেওয়া হুইয়াছে। তাহারা আবশ্বক-মত ইহার সংশোধন করিয়া আবার কৌন্সিলে উপস্থিত করিবেন। পুরুষ ও নারীর সম্পর্কঘটিত দুর্নীতির উচ্ছেদসাধন সাতিশয় কঠিন কাজ। যে প্রবৃত্তি থাকায় মানবসমাজ লোপ পায় নাই, হুষ্টির প্রবাহ চলিতেছে, তাহারই কুপ্রয়োগ এই দুনীতির কারণ। এই প্রবৃত্তি হইতে দুনীতির উৎপত্তি হইয়া থাকিলেও ইহাও মনে রাখা আবশ্যক, যে, ইহা হইতে অশেষ কল্যাণেরও উৎপত্তি হইয়াছে। এই জন্য সমাজহিতৈষী ও সমাজসংস্কারকেরা যখন সামাজিক দুনীতি দূর করিতে চান, তখন এই প্রবৃত্তির সমূলে বিনাশরুপ অসম্ভব কার্য্যের সাধন তাহাদের উন্ধেশ্ব থাকে না। যতীন্দ্রনাথ বস্থ মহাশয়ের উদ্বেগুণ্ড তাহা নহে । আমরা এইরূপ বুধিয়াছি, যে, যাহারা ব্যবসা-হিসাবে দুনীতির ব্যবসা চালায় প্রধানভঃ তাহীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন করা তাহার উদেখা । যে-সব অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাকে ছলে বলে কৌশলে সংগ্ৰহ করিয়া দুষ্ট লোকে এই পাপব্যবসা চালায় তাহদের উদ্ধারসাধন করিয়া যথাযোগ্য শিক্ষাদানাদি দ্বারা তাহাদিগকে সৎপথে থাকিতে সমর্থ করাও র্তাহার উদ্দেশ্য । আইন দ্বারা অসচ্চরিত্র সকল নরনারীকে সাধু করিয়া তুলিবার কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মানুষেরই স্থলন নিবারণ করিবার আশা নিশ্চয়ই তিনি পোষণ করেন না। বোম্বাই এবং অন্যান্য যে-সব স্থানে এই প্রকার আইন আছে, তাহার ফলে কোথাও কোথাও সামাজিক এই পাপ কেবল কোন কোন অঞ্চলে আবদ্ধ না থাকিয়৷ শহরের অন্যত্রও ছড়াইয়া পড়িয়ছে। এইরূপ কুফল যাহাতে না ফলে, তাহার উপায় যথাসাধ্য অবলম্বন করিতে হইবে । দুনীতির ব্যবসা দমন করিবার জন্য আইন হইতে এই প্রকার যত কুফল হইতে পারে তাহা সকলে বলুন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কুফল যাহাতে না ফলে তাহার উপায় চিন্তা ও উপায় নির্দেশও করুন । কিন্তু যদি কেহ একথা বলেন, যে, যেহেতু বহুসংখ্যক পুরুষের কুপ্রবৃত্তি আছে ও তাহা চরিতার্থ করা তাহাদের আবশ্যক, তাহার জন্য কতকগুলি স্ত্রীলোককে বলি দিতে হইবে, এবং পাপব্যবসার আড়ড়াগুলাতে তাহার স্ববিধ ন। রাখিতে দিলে, তাহার গৃহস্থের বাড়িতে ও অন্যত্র হানা দিবে, তাহ হইলে সে কথা শুনিয়া দুর্নীতির ব্যবসার বিরুদ্ধে সংগ্রাম হইতে নিরস্ত হওয়া চলিবে না। সমাজহিতৈষী পুরুষের নিবৃত্ত হইতে পারিবেন না, নিবৃত্ত হওয়া তাহাদের উচিত হইবে না। সৰ্ব্বোপরি মনে রাখিতে হইবে, যাহাঁদের জাগরণ হইয়াছে ও হইতেছে সেই আত্মসম্মানশালিনী মহিলারা পাপের ব্যবসারূপ নারীর অপমান সহা করিবেন না, করিতে পারেন না। এই জন্য পাপের ব্যবসার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইতেই হইবে । আইন সেই যুদ্ধের কেবল একটা মাত্র অস্ত্র। অন্য অনেক উপায়ও অবলম্বন করিতে হইবে । সাহিত্য ও ললিতকলার অপব্যবহার দ্বারা নরমারীর পরম্পর সম্বন্ধ ও মনোভাব বিকৃত আকার ধারণ করে। ইহার এড়িকার