পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بمها স্বাগভ 4(శ్రీ —ত আমরা কেমন করে জানব, আমরা ত কিছুই জ্বনিনে, যেমন অপর পাঁচ জন শুনেচে আমরাও সেই রকম শুনেচি । ইতিমধ্যে গঙ্গাধর ফিরিয়া আসিল । বনবিহারীকে দেখিয়া বিস্মিত হইল না, সে যে হরিনাথের সঙ্গে জুটিবে তাই সে ঠাহরিয়াছিল। হরিনাথ বলিল,-রেলগাড়ীতে ণে-কথা হচ্ছিল ইনি তাই বলছিলেন । গঙ্গাধরের যেন কোন কথা স্মরণ নাই। বিস্মিত ইয়। কহিল,—কি কথা ? অামার ত কিছু মনে নেই । —সেই যে একটা গ্রামের কাছে দুটে লোকের অপঘাত মৃত্যু হয়েছিল। —তার আমরা কি জানি ? —কিছুই না । ইনি কিছু জানতে পারেন কিংবা জানবার চেষ্টা করবেন, খবর পেলে কার টাকা দেবে জানতে চান | —তাই বা আমরা কি জানি ? আমরা নিজের ধাক্কায় সাত দেশ ঘুরে বেড়াই, কত জায়গায় কত রকম কথা শুনতে পাই। কে কি বৃত্তান্ত, কে মরচে, কে টীকা সেবে আমরা কিছুই জানি নে । বনবিহারী এইবার একটা কথা বলিবার সুযোগ পাইল, বলিল,—ঠিক কথা । তোমরা যে কিছু জান ত৷ আমি বলচি নে, বুঝলে কি-না? তাহলে ত তোমরাই টাকা পেতে । আমি যদি কিছু জানতে পারি তাহ’লে কাকে বলব ? তাই জিজ্ঞাসা করচি, বুঝলে কি-না ? —সে আলাদা কথা। আমরা ফিরে গিয়ে সন্ধান ক’রে তোমাকে জানাতে পারি। —তাহলেই হবে, বুঝলে কি-না? আমার ঠিকানা লিখে নেবে ? গঙ্গাধর নোটবুক বাহির করিয়া দিল, বলিল,—তুমিই লিখে দাও। বনবিহারীর লেখাপড়া অধিক হয় নাই। বাকাচোর অক্ষরে নিজের নাম আর একটা গ্রামের ঠিকানা লিখিয়া দিল । বনবিহারী চলিয়া গেলে পর হরিনাথ কহিল,—এই বার হয়ত কিছু জানতে পারা যাবে। —শুধু আমরা নয়, ও লোকটাও আমাদের সন্ধান নেবে। এখন থেকে আমাদের খুব সাবধান থাকতে হবে । তুমি বস, আমি আসচি। গঙ্গাধর ব্যাগের ভিতর হইতে কৃত্রিম দাড়ি ও চুল বাহির করিল। কাপড় ছাড়িয়া ছেড়া কাপড়, জামা ও জুতা পরিল। হরিনাথ তাঁহাকে চিনিতেই পারে না । জিজ্ঞাস করিল,—এ রকম সাজলে যে ? গঙ্গাধর গলার স্বর বদলাইয়া, তোতলার দ্যায় বলিল,—ব-ব-বহুরূপী। বুঝলে কি-না ? তারই খো-খোখোজে যাচি । গঙ্গাধর পিস্তল অার কয়েক খান নোট পকেটে পুরিল । হরিনাথ বিস্মিত হইয় জিজ্ঞাসা করিল,—ও কি হবে ? —কি জানি, যদি দরকার পড়ে। তুমি ভেব না, আমি শীঘ্রই ফিরে আসব। তুমি এখান থেকে কোথাও । যে ও না । ঘাড় নীচু করিয়া, ছেড়া জুতার শস্ব করিতে করিতে গঙ্গাধর চলিয়া গেল । কিছু দূর গিয়া দেখিতে পাইল বনবিহারী নিঃশবে দীর্ঘ পদক্ষেপে পোষ্ট আপিসের অভিমুখে চলিয়াছে। গঙ্গাধর আরও পিছাইয়া পড়িল । একটা ছোট চালাঘরে পোষ্ট আর টেলিগ্রাফ আপিস । বনবিহারী পোষ্ট বাক্সে একথান চিঠি ফেলিয়া দিল। তাহার পর পোষ্টমাষ্টারকে বলিল,-- খানিক ক্ষণ আগে আমি একখান টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলাম, বুঝলে কি-না ? —কই, তোমাকে ত দেখি নি । —আমি ন হয় আমার লোক, সে একই কথা, বুঝলে কি-না? টেলিগ্রামে চালের কথা লেখাছিল। --তার কি করতে হবে ? —ঠিক লেখা হয়েছিল কি-না একবার দেখতে চাই । তোমাকে অমনি দেখাতে বলচিনে, বুঝলে কি-না? এই ধর । যমবিহারী পোষ্টমাষ্টারের প্রসারিত হস্তে একট। টাকা গুজিয়া দিল । পোষ্টমাষ্টার টেলিগ্রামের প্রাত্ত