পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ޤމަަށްްޓް উৎস—শ্ৰীজলধর সেন প্রণীত এবং কলিকাত মাণিকতল। স্পার, শরৎচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্ত এও সঙ্গ কর্তৃক প্রকাশিত। দাম এক টাকা। রমেশ মাছিয়ের ছেলে। কিছু লেখাপড়া শিখিয়াছে। বন্ধুর অনুরোধপত্র লইয়া সে কলিকাতার সম্পন্ন গৃহস্থ যোগেন্দ্রবাবুর কাছে আসিল । তার সুপারিশে রমেশের একটি কম্পোজিটার চাকরি জুটিল। ছেলেটি ভাল। যোগেন্দ্রবাবুরাও খুব ভাল লোক। যোগেন্দ্রবাবুর গৃহিণী রমেশকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। সে যা পায় তা তারই কাছে জমায় । দেড় বৎসর পরে পাচ-শ টাকা জমিলে, দে সেই টাকা দিয়া নিজ গ্রামে একটি টিউব-ওয়েল প্রতিষ্ঠা করিল। তাহার বাবা মৃত্যুর সময় ঠাও। জল চাহিয়াছিল, পায় নাই। বইখানির নামও সেই কারণে উৎস। গ্রন্থকারের নিজস্ব সহজ সরল মিষ্ট ভঙ্গীতে গল্পটি বিবৃত। বয়স্ক লোকে পড়িলে আনন্দ এবং বালক-বালিকার পড়িলে উপকার লাভ করিবে । মলাটের উপরের ছবিখানি শিল্পী যতীন্দ্রকুমারের আঁকা। ছাপা কাগজ বাধাই ভাল । শ্রীশৈলেন্দ্রকৃষ্ণ লাহী গৌড়ীয় বৈষ্ণবধৰ্ম্ম ও শ্রীচৈতন্যদেব, ১ম ও ২য় খণ্ড —শ্ৰীহেমচন্দ্র সরকার এম.এ, ডি. ডি কর্তৃক প্রণীত । কলিকাতা ২১.৩২ কর্ণওয়ালিস্ ষ্ট্রট, শ্ৰীমতী শকুন্তলা দেবী, এমূ-এ कर्दुक अकाशिङ । भूल २भ श७ २९, २६ २७ २९ ।। এই বই দুখানা পড়িয়া আমরা অতিশয় আননালাভ করিলাম। শ্রীচৈতষ্ঠ্যদেব সম্বন্ধে বাঙ্গীলা ভাষায় অনেক গ্রন্থ লিখিত হইয়াছে বটে, কিন্তু এই দুখান পুস্তকে পাঠক নুতন কিছু পাইবেন । পূৰ্ব্ব পূর্ব পুস্তকে প্রধানতঃ বৃন্দাবনদাসের “চৈতষ্ঠাভাগবত” এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের "চৈতষ্ঠচরিতামৃত" প্রমাণরূপে গৃহীত হইয়াছে। প্রথমোক্ত গ্রন্থে চৈতন্তদেবের বালা ও যৌবন বিশেষভাবে বর্ণিত হইয়াছে । দ্বিতীয় গ্রন্থে উাহীর মধ্য ও অস্ত্য লীলার বিস্তুত বর্ণনা পাওয়া যায়। উভয় গ্রন্থেই ভক্তহৃদয়ের কল্পনাপ্রসুত অনেক অপ্রাকৃতিক ঘটনার উল্লেখ দেখা যায়। এরূপ উল্লেথের উদেষ্ঠ শ্রীচৈতন্তের অবতারত্ব স্থাপন । অবতারবাদের একটা দার্শনিক ও শাস্ত্রীয় প্রমাণু আছে । সেই প্রমাণানুসাবে প্রত্যেক জীবের জীবনেই ব্ৰহ্ম অবতীর্ণ। বিষ্ণুপুরাণ ও ভাগবত প্রভৃতি প্রাচীন বৈষ্ণব গ্রন্থে সেই প্রমাণ ব্যাখ্যাত হইয়াছে। গোঁড়ায় বৈষ্ণবাচাৰ্য্যগণ দে-বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ ন৷ দিয়া অপ্রাকৃতিক প্রমাণে ব্যক্তিবিশেষের অবতারত্ব প্রতিষ্ঠায় বস্ত । সমালোচা গ্রন্থদ্বয়ে এরূপ প্রমাণ অগ্রাহ করা হইয়াছে, অথচ ঐতিহাসিক ঘটন। পরম্পরাদ্ধার ক্রীচৈতন্ত ও তাহার প্রধান প্রধান অনুবর্তিগণের মহত্ব প্রদর্শিত হইয়াছে। দ্বিতীয়তঃ, কবিরাজ গোস্বামীর গ্রন্থে শ্রীচৈতন্থের দাক্ষিণাত ভ্রমণের যে বিবরণ দেওয়া হইয়াছে তাহ অনেক স্থলেই ভ্রমপুর্ণ। সে বিবরণ স্পষ্টতঃই এমন লোকের উক্তি ধিনি বর্ণিত স্থানগুলির অবস্থিতি ও পরস্প হইতে দূরত্ব সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ। আমাদের গ্রন্থকার ধৰ্ম্মপ্রচারার্থ দাক্ষিণাতো বিস্তৃত ভ্রমণের দ্বারা উক্ত বর্ণনার প্রম দেখিতে পাইয়াছেন। তিনি কবিরাজ গোস্বামীর বর্ণনা পরিত্যাগ করিয়া স্ত্রীচৈতন্থের ভ্রমণ-সঙ্গী গোবিন্দ দাসের করচ অনুসরণ করিয়াছেন । তৃতীয়তঃ, চৈতষ্ঠদেবের তিরোভাব সম্বন্ধে বৃন্দাবনদাস এবং কবিরাজ গোস্বামী কেহই বিশ্বাসযোগ্য কথা বলেন নাই । এবিষয়ে সরকার মহাশয় জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল’ অনুসরণ করিয়া দেখাইয়াছেন যে রথযাত্রার সময় একটা ইষ্টকে র্তাহার প। আহত হওয়াতে র্তাহার রক্ত বিষাক্ত হয় এবং তাছাতেই তাহার দেহত্যাগ হয়। পুস্তকের দ্বিতীয় খণ্ডে বিশেষভাবে অদ্বৈতাচাৰ্য্য, নিত্যানন্দ প্রভু, ত্ররূপ-সনাতন, শ্ৰীনিবাসাচার্য্য ও নরোত্তম ঠাকুর মহাশয়ের জীবন ও কার্য বর্ণিত হইয়াছে। এই বর্ণনা অতি মধুর ও উপাদেয়। গ্রন্থের শেষভাগে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের অবদtদ বর্ণিত হইয়াছে এবং তাহার কারণ প্রদর্শিত হইয়াছে । সরকার মহাশয়ের মতে এই অবসাদের কারণ এই যে, বৈঞ্চবাচাৰ্য্যগণ জীব-ব্রহ্মের যে আধ্যাত্মিক লীলাকে রূপকের ভাষায় বর্ণনা করিয়াছিলেন বৈষ্ণব কবিগণ সেই লীলাকে নায়ক-নায়িকার প্রাকৃত সম্বন্ধে রূপে গ্রহণ ও বর্ণনা করিয়। পাঠকদিগের চিত্ত কলুষিত করিয়াছেন এবং দেশে পাপস্রোতপ্রবাহের সহায়তা করিয়াছেন। এ বিষয়ে আমাদের মত এই যে, রাসলীলা প্রভৃতি ব্যাপারের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা নিতান্তই আধুনিক, প্রাচীন বা আধুনিক কোন বৈষ্ণব গ্রন্থেই তাহ দেখিতে পাওয়া যায় না। বৈষ্ণবাচাৰ্য্যগণ সর্বত্রই এ সকল ব্যাপার প্রাকৃত ভাবেই বর্ণনা করিয়াছেন। ভাগবতের রাসপঞ্চাধ্যায়ের শেযভাগে পরীক্ষিতের প্রশ্নের উত্তরে শুকদেব ঐ লীলার অtধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা দিবার যথেষ্ট অবকাশ পাইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি উহার সেরূপ ব্যাখ্যা দেন নাই । সুতরাং বৈষ্ণবাচাৰ্য্যগণ এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ নহেন। তাহার। কৃষ্ণলীলা যে ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন তাহার নৈতিক কুফল অনিবাৰ্য্য । শ্ৰীচতন্য ও তাহার অব্যবহিত অনুবর্তিগণ এই কুফল ভোগ করেন নাই। র্তাহীদের প্রবল ধৰ্ম্মামুরাগ ও বৈরাগ্য উrহাদিগকে রক্ষ। করিয়াছিল। কিন্তু তাহীদের পর দুই-তিন পুরুষ যাইতে-না-যাইতেই তাহাদের গৃহীত পৌরাণিক কাহিনী বিষবৃক্ষ রূপে ফলিত হইয়া দেশময় ইহার কুফল বিস্তার করিয়াছে। এখন বৈষ্ণবধৰ্ম্মকে সংস্কার করিতে হইলে ইহাকে পৌরাণিক কল্পনা হইতে মুক্ত করিতে হইবে এবং প্রকৃত বৈষ্ণবকে উপনিষদের ঋষিগণের অনুবৰ্ত্তন পূর্বক বিশ্বমর ভগবানের রূপদৰ্শন এবং অন্তরে বাহিরে সাক্ষাৎ ভাবে তাহার প্রেমলীলা সম্ভোগ করিতে হইবে। ঐসীতানাথ তত্ত্বভূষণ নয়। বাঙ্গলার গোড়ী পত্তন— (প্রথম ভাগ)— শ্ৰীবিনয়কুমার সরকার প্রণীত। প্রকাশক, চক্রবর্তী, চাটাজ্জি, এ ও কোং । ৪৫৭ পূ:, মূল্য দুই টাকা আট আন। লেখক প্রখ্যাত-নাম ব্যক্তি-বিভিন্ন ভাষায় বহু গ্রন্থ, প্রবন্ধ এবং বক্তৃত। রচনা করিয়াছেন। মোটের উপর তিনি কত হাজার পৃষ্ঠা লেখা ছাপাইয়াছেন তাহার কিঞ্চিৎ আভাস এই গ্রন্থের ‘প্রকাশকের নিবেদনে দেওয়া হইয়াছে ; এবং স্বয়ং লেখকও গ্রন্থের ভিতরে মান। জায়গায় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছেন। (যথা ৪ পূ:,