পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫e • ছিলেন তাহদের সহিত তাহাকে বিস্তর ফৌজদারী মামলা এবং দেওয়ানী মোকদ্দমা করিতে হয়। কত বিপদ কতবিল্প অতিক্রম করিয়া এবং কত বার যে শত্রদিগের চক্রান্তে জীবন সঙ্কটময় করিয়া অবশেষে জগদীশ্বরের কৃপায় এবং স্বীয় উদ্যম ও পরাক্রম প্রভাবে রৈতর পুনরুদ্ধার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন তাহ তৎকালীন অরাজক অবস্থার কথা র্যাহারা জানেন র্তাহারাই উপলব্ধি করিতে পারিবেন। তিনি যেরূপ অধ্যবসায়ী ছিলেন তদ্রুপ কষ্টসহিষ্ণু এবং সাহসী ছিলেন। একাদিক্ৰমে দুই তিন দিন অশ্বারোহণে থাকিলেও তিনি ক্লাস্ত হইতেন না । তিনি কাশীধাম হইতে অশ্বারোহণে ৫৬ দিনে রৈতরে স্থাসিতেন । সিপাহী-বিদ্রোহের দিনে নানা স্থানের প্রবাসী বাঙ্গালীদিগের ন্যায় তিনিও মুহা বিপন্থ হইয়া ছিলেন । কিন্তু তিনি স্বীয় শক্তি ও কাৰ্য্যতৎপরতার প্রভাবে বিদ্রোহীদের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি, লাভ করেন। তাহার গৃহে দোলদুর্গোৎসবাদি বার মাসে তের পাৰ্ব্বণ হইত। তাহার ভদ্রাসন আত্মীয়-কুটুম্বগণে পরিবৃত থাকিত। আতিথেয়তা এই বংশের সাধারণ গুণ হইলেও তারাশঙ্করে তাহা বিশেষত্ব লাভ করিয়াছিল। এই ধীর নির্ভীক কৰ্ম্মনিষ্ঠ ধৰ্ম্মপ্রাণ উদারহৃদয় অস্তুতকৰ্ম্ম তারাশঙ্কর মৃত্যুকালে প্রভূত সম্পত্তি রাথিয় যান। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে তিনি পরলোক গমন করেন। কুহিলার এবং নাদনের বাঙ্গালী জমিদারস্বয় তাহাকে জায়গীরাদি দিয়া সম্মানিত করেন । র্তাহার সময়ে তাহার পরিবারবর্গ গয়া বঁকিপুর এবং কাশীতে পর্য্যায়ক্রমে বাস করিতেন। তারাশঙ্করের জ্যেষ্ঠপুত্র দুর্গাশঙ্কর স্বীয় বুদ্ধি, কৰ্ম্মশক্তি ও চরিত্র প্রভাবে বংশের নাম ও মর্য্যাদার বিশেষ উৎকর্ষ সাধন করিয়াছিলেন। তিনি ইংরেজ-সরকারেও বেশ প্রতিপত্তি করিয়াছিলেন। এই বংশে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে ইংরেজী শিক্ষা লাভ করেন এবং গয়া মিউনিসিপালিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, জেলা বোর্ডের ভাইসচেয়ারম্যান, লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং গিয়ার অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কত করেন। এই-সকল ‘ੋ। র্তাহার দক্ষতা প্রকাশ পাইলে গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে শোল ম্যাজিষ্ট্রে নিযুক্ত করেন এবং মহারাণী প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ . [ २२° छांभ, >म थ७ ভিক্টোরিয়া ও সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড তাহাকে সন্মানকর soto ( Certificates of Honour) - for সম্মানিত করেন। তিনি খুব রাশভারী লোক ছিলেন বৃটে, কিন্তু জনহিতকর কাৰ্য্যে সাধারণের সহিত যোগ দান করিতে কখন কুষ্ঠিত হইতেন না। তিনি বহু দরিদ্র ভদ্রসন্তানের অন্নদাতা ছিলেন। কত অভাবগ্রস্ত বিপন্ন যে র্তাহার অর্থসাহায্য পাইয়াছেন, তাহার ইয়ত্তা নাই। গয়া যাত্রী-হাসপাতালে ( Gaya Pilgrim Hospital ) fsfā &ti firstra (a * (gitef দশ সহস্র টাকা দান করেন ; হাসপাতালের সম্মুখে সংস্কৃতে লেখা তাহার স্মারক-লিপি আজিও বিদ্যমান আছে। তিনি সম্পত্তি বৃদ্ধি করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু ততোধিক ব্যয় করিয়া গিয়াছিলেন। এই উদার-হৃদয় পরহিতব্ৰত কৰ্ম্মবীর জীবনে যশঃ সঞ্চার করিয়া এবং বহুসংখ্যক নরনারীর হৃদয় আকর্ষণ করিয়া ১৯০৩ খৃষ্টাবো গয়াধামে চিরবিশ্রাম লাভ করেন। তিনি অপুত্রক থাকায় আপনাদিগের মধ্যে এক স্বাক্ষরিত ব্যবস্থানুসারে তাহার সমস্ত সম্পত্তি অন্য ভ্রাতৃচতুষ্টয়ের মধ্যে বিভক্ত হইয়া যায় । দুর্গাশঙ্করের কনিষ্ঠ সহোদর ভিখারীশঙ্কর শিল্প ও ব্যবসায়ের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন । তিনি এণ্টে ক্ষা ক্লাশ পৰ্য্যন্ত অধ্যয়ন করিয়া শিল্প ও কলাবিদ্যায় মনোনিবেশ করেন। স্বকুমার শিল্প আয়ত্ত করিবার জন্য তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে বিস্তর ক্ষতি স্বীকার করেন। বহু অর্থব্যয়, বহু পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের পর একনিষ্ঠার ফলস্বরূপ তিনি চিত্রাঙ্কণসীবন, লৌহকার ও স্বত্রধরের স্বল্প ও শ্রমশিল্প এবং ইন্দ্রজাল প্রভৃতি গুপ্তবিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করেন। গোজাতির প্রতি তাহার প্রগাঢ়, ভক্তি ছিল, গয়াতে তিনি গো-রক্ষণী সভা স্থাপন করেন, এই সভা অদ্যাবধি বহু গো সেবা করিয়া থাকে। লোক-সেবার জন্ত তিনি স্বয়ং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা করিয়া তাঙ্গা ঔষধালয় নামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন । এই ঔষধালয় হইতে আলিও ধরিত্র রোগীদিগকে বিনমূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়। - . .