পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বাঁকুড়ায় দেখিতেছি, যে কৃষকের গোরুর কি মহিষের গাড়ী আছে সে দুইদিনের পথ, আন-গনা করিয়া বন হইতে জালানি কাঠ আনিতেছে। সে গাড়ী বাহিয়া রোজগার করে প্রত্যহ দেড়টাকা, কিন্তু দুই দিনে তিনটাক মারা করিয়া ভিন্নটাকার কাঠ দুইটাকায় কিনিতে যায়। কারণ, সব দিন গাড়ী চলে না। দেশ-যুদ্ধ সবাই কি মুখ ? সংশয়ী এই সোজা কথা কেন বুঝেন না, কলের সহিত চরকার প্রতিযোগিতা কেন মনে করেন, ভাবিয়া পাই না। তুলার দামে স্থত, উাতীকে বাণি দিয়া কাপড়। ফলে কাপড়ের দাম পড়িল, তুলার দাম+বুনিবার বাণি। কোন কলে এত সস্তায় কাপড় বেচিতে পারে? যে কৃষকের কাপাসচাষ আছে, তাহাকে তুলার দামও লাগে না । তাহার কাপড়ের দাম —তাতীর বাণি ; দশহাত কাপড়ে ॥৮• আন মাত্র । বাজারে সে কাপড়ের দাম আঁজকাল ২০ টাকার কম নয়। দেশের লোক মূৰ্খছিল না, মুর্থ হইয়াছি আমরা। যে কাপড় চায়, সে সুত কাটিয়া এত সস্তীয় কাপড় পাইতে পারে। যে কাপড় চায় না, পয়সা চায় ? তারও লাভ। কলের স্বত যত সন্তা হউক, তুলার দাম ছাড়া কাটুনার বাণি অাছেই আছে। কলের স্বল্প বাণি পাইলেও সুত-কাৰ্টুনীর লাভ। কারণ, এই বাণি যত কমই হউক, সেরে চারি-আন মাত্র হউক, কার্টুনীর এই চারি জানাই লাভ । যদি প্রত্যহ আধ পোয়া কাটে, ১০ নম্বরের আধ পোয় সুভাকাটা কঠিন নয়, প্রত্যহ দুই পয়সা, মাসে এক টাকা, ঘরে বসিয়া পাইবে। এই এক টাকা অন্য কোনও উপায়ে আনিতে পারিত কি ? তাছাড়া, তাহাকেও ত কাপড় চাই, বছরে অন্ততঃ দুখানা। এক সের তুলার দাম একটাকা, দুখান কাপড় বুনিবার বাণি পাচ সিকা। এই নয় সিকায় কাপড় পাইবে । লাভ থাকিৰে নয় সিকা। বাস্তবিক স্বতা কাটার বাণি অীজকীল আরও বেশী। সকল জিনিসের দান্ত চড়িয়াছে, সকল কমের বেতনও চড়িয়াছে । মনে করুন, বঙ্গদেশে বার লক্ষ চরকা চলিতেছে । চরকা-প্রতি বৎসরে বার টাকা ধরিলে প্রায় দেড়কোটি টাকা বাঙ্গালাদেশের আয় বাড়িবে। এই আয় হেলায় চরকা AMAAM MAMAMM MMMS MM MMMM MMS MMeM MAAAeMM AM MMeA AM AeS eMAMMAAASAAAA ৩২৭ নিবুদ্ধিতার হারাইতেছি। আর বলি, দেশ গরীব কেন। " আমরা বিদেশে কাপড় বেচিতে চাই না । নিজেদের প্রয়োজন-মতন কাপড় পাইলেই বাচিয়া যাই । আমরা সাড়ে চারি কোটি, বছরে হারাহারি দুইখানা, ১০ নম্বর স্থতার এক সের পাইলেই চলে। প্রত্যহ অাধপোয় স্থত। কাটা কঠিন নয় । অভ্যাস হইয়া গেলে চারিঘণ্টার কম। অতএব চরকা-প্রতি বছরে একমণ স্থত স্বচ্ছন্দে পাইতে পারি। চাই আমাদের এগার লক্ষ মণ। অতএব বার লক্ষ চরকা চলিলে বঙ্গদেশ বস্ত্র-বিষয়ে স্বাধীন হইতে পারে । এমন দিন ছিল। বঙ্গে প্রায় এক লক্ষ গ্রাম আছে। প্রতি গ্রামে বারটা চরকা বেশী কি ? পুরুষ, ছেলে, মেয়ে, বুড়ী বাদ দিলেও বার লক্ষ সবল নারী অবশ্য আছে। শতকের মধ্যে छ्खन नांझे ? সমস্ত দেশের কথা ভাবুন। আমরা বৎসরে ৬০৭০ কোটি টাকার বিলাতী কাপড় কিনিতাম ; এখন চড়া দামে ৰোধ হয় ১০০ কোটি টাকায় দাড়াইয়াছে। এই কাপড়ের তুলার দাম বোধ হয় ৩০ কোটি টাকা । অতএব আমরা বিলাতী কাটুনী ও র্তাতিকে বাণি স্বরূপে ৬•৷৭০ কোটি দিতেছি । অর্থাৎ জনাকি ২২ টাকা, আয়ের ২১ টি টাকা হইতে ২২ টাকা ! এ যে একমাসের চলের খরচ ! এক মাস উপোষ থাকা! আমরা নিজেই কমের উমেদার, পাচ ছমাস বসিয়া থাকি, পেট ভরিয়া খাইতে পাই না । দুই টাকা ন দেবায় ন ধৰ্ম্মায় ব্যয় করিতে পারি কি ? চরকা কিন্তু এই অপব্যয় রহিত করিতে পারে। কল্পনার কথা নয়, বেশী দিনের কথাও নয়, ৬০৭০ বৎসর পূর্বে চরকা অামাদের কাপড় চালাইত। আরও পূর্বে স্বধু আমাদের নয়, পরেরও কাপড় যোগাইত। চরকা যদি এমনই চক্র, উহার ঘূর্ণন বুদ্ধ হইল কেন ? বিদেশী বণিক্‌ কুহক করিল, আমাদের মোহ জন্মিল, আমরা ইতর ভদ্র স্ত্রী পুরুষ সৌখিন হইয়া উঠিলাম। চরকার মোট স্বতার কাপড় মনে ধরিল না, বিলাতী কলের সর কাপড় সস্তায় পাইয়া চরকা ও তাত ফেলিয়া