পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిN98 লাগিল । আর ঘরের অন্ধকারে বুদ্ধ যোগেশচন্দ্র দুঃস্বপ্নের আতঙ্কে মাঝে মাঝে শিহরিয়া উঠিতে লাগিলেন। গভীর রাত্রে রজত তাহার ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিল সাদা মাৰ্ব্বেলের টেবিলের উপর একটি রক্তপদ্ম । চক্সের চাহনিতে, পদ্মের পাপড়িতে পাপৃড়িতে যে আনন্দের সাড়া পড়িয়া যায়, পদ্ম গন্ধে বর্ণে বিকসিত হইয় উঠে, সেই স্থষ্টির বিকাশের আনন্দ সে তাহার দেহে মনে অহুভব করিতে লাগিল। (SS) পরদিন প্রভাতে চায়ের টেবিলে নিশিজাগরণক্লান্তনয়ন তিনজনেই স্তব্ধ হইয়া রহিল, শুধু রমলা একবার রজতের মুখের দিকে চাহিয়াছিল, এ মুখ তাহার যেন নূতন দেখা ! সকলেরই চায়ের কাপের সংখ্যা বাড়িয়া গেল । সবাই চুপচাপ দেখিয়া যোগেশ-বাৰু কথা স্বরু করিলেন। রজতকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন-কাজীর পোট্রেট শেষ হয়ে গেছে ?— আজ আধ ঘণ্টা বস্লেই হয়ে যাবে। —তারপর, মাধু-মায়ের ? ন, বাবা, আমার নয়, বলিয়া মাধবী চুপ কৰিয়। বসিয়া রহিল । করুণকণ্ঠের সহিত এরূপ বিদ্রুপের দীপ্তস্কর জড়ানো ছিল যে যোগেশ-বাৰু, তাহার প্রতিবাদ করিতে পারিলেন না। ধীরে বলিলেন—তা হলে রমলা মার ? রমলা কিছু উত্তর দিবার শক্তি পাইল না, শুধু ধীরে অসন্মতির ঘাড় নাড়িল। কাজীসাহেব একটু মুচ্‌কিয়া হাসিলেন। রজতের গও তরুণীর মত রাঙ্গা হইয়া উঠিল। সে ধীরে বলিল—আমি এক দিন বিশ্রাম নিয়ে আপনার ছবিই স্বাকৃতে আরম্ভ করব। যোগেশ-বাবু একটু আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন—আচ্ছ । জাবার সব চুপচাপ। তৃতীয় কাপ চ শেষ করিয়া মাধবী বলিল—বাব, আমি আর ছবি অঁাকৃব না। — কেন মা ? →ভাল লাগে না । —ৰেশ, ভাল না লাগে শিখে না । প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAASAASAASAASAAASeAMAAASAAAAS AAASASAAAeAeMMS কাজীসাহেব দাড়িতে আঙ্গুল সঞ্চালন করিতে করিতে আবার মৃদ্ধ হালিলেন, সে হালি তাহার দাড়ির তলায় চাপাই পৃড়িল। সেদিন চা খাওয়া খুব শীঘ্ৰ শেষ করিয়া সকলে উঠিয়া গেল । গেটের কাছে যে জামগাছ-তলায় রজত প্রথম মাধবীকে দেখিয়াছিল, সেই স্থানটি মাধবীর বসিবার অতি প্রিয় স্থান ছিল। কত উদাস দ্বিপ্রহরে, কত রঙ্গীন সন্ধ্যায় সে ওই জায়গাটায় একখানি বই হাতে করিয়া বসিয়া স্বারে-হার লালপথের দিকে চাহিয়া থাকিত। সেদিন সকালে সে একখানি টুর্গেনিভের নভেল লইয়া গাছের ছায়ায় এক সাদা বেতের চেয়ারে গিয়া বসিল। সম্মুখে ঢেউ-গেলানো মাঠে আলো প্রখর, লাল রাস্তার দুইধারে সবুজ গাছের সারি বাতাসে করুণ স্বরে দুলিতেছে ; দূরে ধূসর পাহাড়, একটি গরুর গলার ঘন্টার ক্লাস্ত করুণ ধ্বনি কানে আসিতেছে, চারিদিকে পতঙ্গদলের গুঞ্জরণ, রুক্ষকঙ্করময় ভূমিতে মাঝে মাঝে ঘাসের সবুজ প্রলেপ—চারিদিকে শব্দে বর্ণে প্রভাত উদাস হইয়া উঠিয়াছে। গত প্রভাতে কি চাঞ্চল্য তাহাকে পীড়িত করিয়াছিল, আজ মাধবী তাহার স্বাভাবিক অবস্থা অপেক্ষ স্থির গল্পীর। ধীরে সে বইয়ের পাতা উন্টাইতেছিল। उर्-उाकू-पप्ले-कष्ट्रे-पोन्। S এক প্রচণ্ডশবে মাধবীর দিবাস্বপ্ন টুটিয়া গেল। দেখিল ঠিক তাহাদের গেট হইতে একটু দূরে একটি মোটরকারের পিছনের টায়ার ফাটিয়া গেল। পায়ে শিকারীর গুলি খাইয়া বাঘ যেমন গৰ্জিয় ওঠে, তেমনি কয়েক বার গর্জন করিয়া মোটরটা স্থির হইয়া দাড়াইল । কোট-প্যান্ট-পরিহিত একটি যুবক এক গাড়ী চালাইয়া আসিতেছিল, সে গাড়ী হইতে নামিল, এবার গেটের দিকে অগ্রসর হইল। গেট পার হইয়া তাহারই দিকে আসিতে লাগিল। মাধবী ধীরে উঠিয় দাড়াইল । যতীন মাধবীর সম্মুখে আসিয়া একটু হতভম্ব হইয়া গেল, সে গুডমৰ্ণিং কৱিৰে, না নমস্কার করিবে, ঠিক বুৰিয়া উঠিতে পারিল না। খাকী-রংএর হার্টটা একটু তুলিয়া মাখা একটু নত