পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o b পারিইনি, ভিক্ষার লজ্জাও সইতে পারিনি বলে অন্তের শরণ নিয়েছিলাম। ভয় ছিল পাছে আমার এ অপরাধ বাবার গোচরে পড়ে আর লজ্জা ছিল স্ত্রীর কাছে চেয়ে নেবার দীনতার। নিজের কথা বেশী ভাবতে গিয়ে পরের কথা ভাবতে ভুলে গিয়েছিলাম।” ইন্দির বললে, “সে-সবই আমি জানতাম।” কিশোরী বিস্মিত হয়ে বললে, “তবে সে-কথা কাউকে বলনি কেন ?” - ইন্দিরা নতমুখে বললে, “তুমি যে কাউকে বলতে চাও নি। আজ পর্য্যন্ত তোমার ওই একটিমাত্র গুপ্তধন ত আমি পেয়েছি, তাও তোমার অজ্ঞাতে, কি করে তা সবাইকে দি ?” তার পর অত্যন্ত সঙ্কুচিত হয়ে ইন্দির বললে, “কিন্তু যেটুকু আমি জানতাম না, সেইটুকু ত বললে না।” هیه MAeSMSAeAMAAA AAAASAAAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিশোরী বলে, “ওই টাকা আদায় করে দিলে তাকে ছু হাজার কমিশন দেব বলেছিলাম। অনেকদিন ধরেই সে আপিসের তহবিলে হাত দিতে আরম্ভ করেছিল, কিন্তু ভরসা ছিল তোমার কুপীয় তরে যাবে। তাই তার সেই ছিদ্রটুকুর পথে আমি নিজের কার্য্যউদ্ধার করবার ব্যবস্থা করেছিলাম।” ইন্দিরা বললে, “কিন্তু তুমি ভুল বুঝেছিলে। নিজের এ অপমানের কথা ত সে আমায় বলেনি।” কিশোরী বললে, “পারেনি বোধহয়। মানুষকে যে সব মানি সব ক্ষুদ্রতা নীচতার উপরে দেখতে চায়, তার কাছে নিজের গ্লানি ক্ষুদ্রতা নীচতার লজ্জা স্বীকার করা যে কত শক্ত তা আমি বুঝেছি।” ঐ শান্ত দেবী নিশীথে গভীর শান্তি এনেছে নিশীথ রাতি, শয়ন-আগারে নিবিয়া আসিছে বাতি । আমার স্বপ্তি আমার নয়ন হতে কে করিল চুরি, করিল কেমন মতে ? খোলা বাতায়নে স্থাপিয়া দুইটি র্যাথি, আনমনা পারা বাহিরে চাহিয়া থাকি। . দু’একটি তারা একটু আলোক দানে, যেন ভয়ে ভয়ে নিরখে ধরার পানে । স্বদুর নীড়ের একটি একক পাখী, ঘুমহীন চোখে কখনো উঠিছে ডাকি । পাণ্ডুর চাদ জ্যোতিহীন খোলা চোখে চাহিছে কখনো কৃষ্ণ মেঘের ফঁাক্লেশ, ক্লান্ত বাতাস সারাদিন ঘুরে ফিরে, ঘুমায়ে পড়েছে স্তব্ধ তরুর শিরে । দু’একটি পাতা উঠিছে কোথাও দুলে, কুহুম কলিকা ঝরিছে বিটপী-মূলে। বিপুল আঁধার ছেয়েছে ধরার কায়l. ঘনায়ে আসিছে অদেই কিসের মায়া । কি যেন শাস্তি, কি যে গে অতল সুখ, ভরিয়া তুলিছে একটি আকুল বুক । আজি এ নিশীথে ঘুমেরে রাখিয়া দূরে, এ আঁধার রূপ রাখিব নয়নে পূরে। মৌন যামিনী—একাকী সার্থীর সম, চাহিয়া রহিবে, নিকটে রহিবে মম | শ্ৰীঅমিয়া চৌধুরী