পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ অপেক্ষ কৰ। (স্থর করলাম । এই শৃঙ্গর স্কুল সঙ্গ ছাড় রক্টরে বড়-একটা কেউ ংরে/ */ /%ন প্রচও গরম / শহরটি ভারত-সম্রাট কনিষ্ক স্থাপন করেছিলেন, নাম দিয়েছিলেন ‘পুরুষপুর’ । গরমের সময়ের রাজধানী ছিল এই শহর, তার পর হস্তস্তর হয়ে এগন ইংরেজ-সরকারের উত্তর-পশ্চিম সীমাস্থ প্রদেশের রাজধানী হয়েছে । পুরনো শহরের সঙ্গে জোড়া হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট, এও একটা বেশ বড় আধুনিক শহর । বাজার, বয়স্কোপ, দেশী ও বিলাতী পাবারের দোকান, চওড় রাস্ত আর বাগানে ভৰ্ত্তি । আiডড । এ ছাড়া বেশীর ভাগ বাড়ি পল্টনের এগানকার যাদুঘর প্রসিদ্ধ । পেশোয়ার অঞ্চল পুরাকালে গাস্কার ল’লে পরিচিত ছিল । গান্ধারের ইতিহাস আড়াই হাজার বছরের উপর পুরনো। পারসিক, গ্রীক, শক, হিন্দু সকলেই প্রভুত্ব ক'রে গেছেন গান্ধারে । ভারত-সম্রাট অশোকের যুগে এগামে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার হয়। গ্রীক-বৌদ্ধ আর্টের সৃষ্টি হয়েছিল এই অঞ্চলে। যাদুঘরে অনেক মূৰ্ত্তি, শিলালিপি, তা ছাড়া স্প থেকে পাওয়া মুদ্র অলঙ্কার ইত্যাদি রক্ষিত আছে । পেশোয়ার থেকে কয়েক মাঙ্গলের মধ্যে স্বাধীন পাঠানদের দেশ । দুর্গম পাহাড় আর মরুভূমি, সামান্য ফসল হযত জায়, লুটতরাজ করে এর গায়। ভারত আর আফগান সীমাস্তের মাঝপনে এর প্রভূত্ব করে । এদের কেউ বশ মানাতে পারে নি এপযস্ত। এই দুষ্ট দেশের সরকারদের বিশেষ বেগ পেতে গোলমাল লেগেই আছে, এদের মুল্লকে নিজেদের মধ্যেও এর এক জাত 'অপরের সঙ্গে লড়াই ভারত-সীমাস্তে পণ্যন ছাউনি সন্দুক কামানের সমারোহ এদের দমিয়ে রাখবার জন্যেই ণেশীর ভাগ । আমরা একদিন ভোরে কোয়েটার রাস্তায় কোহাটের দিকে রওনা হলাম কোঙ্গট পেশোয়ার থেকে ত্রিশ-পয়ত্ৰিশ মাইল দূর, এখানে ব্রিটিশ আর ভারতীয় পল্টনের প্রকাণ্ড ছাউনি আছে। পথে প্রায় দশ মাইল চওড় পাঠান-এলাকা পার হতে হয়। রাস্তাটুকু অবশ্ব ইংরেজ-সরকারের । সেখানে বিপদের সম্ভাবন কম, কিন্তু রাস্তা ছেড়ে নীচে নামলেই ভয়ের হয় এদের উৎপাতে । করে { প্রবাসী আমরা যথাসাপ্য চেষ্টা করে অগত্য কিছুদিন পেশোয়ারে পাঠানী রাইফেল কারণ আছে, এই রকম আমাদের পেশোয়ারী সঙ্গীদের কাছে শুনলাম। মৃন্দর পাকা রাস্তা, আমাদের মোটর ছুটলো কোহাটের দিকে । পেশোয়ার থেকে কয়েক মাইল পৰ্য্যন্থ গাছ-পালা সবুজ ফসলে ভরা—রাস্তায় মাটির প্রাচীর দেওয়া দুটি ছোট দুর্গের মতন দেখলাম পেশোয়ার শহরতলীতে । শুনলাম পূৰ্ব্বে এই জায়গায় পাঠান ডাকাতরা এসে লুকিয়ে থাকত রাত্রে লুটতরাজ করবার জন্যে। এখন অবগু এ-সব উৎপাত আর হয় না। ক্রমশ: রাস্ত পাহাড়ী জমিতে