পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

üss প্রবাসী ১Ne৪২ বলিলেন—এ কন্স যদি দয়া করে আমার পুত্রকে দান করেন, শুভ সময় আবার বেশীক্ষণ থাকবে না। দিন স্থির হইয় চৌধুরী মশায়, তবে সে আমার সৌভাগ্য। গোঁসাইও আসরে বলিয়াছিল—লে বলিল, মিছে কথা নয় সিংহ-মশায়। সে দিন স্বর্গে গিয়ে দেখে এলাম দেবকুমারদের মধ্যে মহা বিপদ উপস্থিত—এ বলে আমি রাধারাণীকে বিয়ে করব ও বলে আমি বিয়ে করব । শেষ থামিয়ে দেওয়া হ’ল—নাঃ, তোমরা কেউ বিয়ে করতে পাবে না—নরলোকেই তার বিয়ে হবে । . রসিকতাটা ভাল জমিল না। চৌধুরী-মহাশয়ের ছল ছল চোখের দিকে তখন সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ। চৌধুরী-কওঁ। কথার কোন জবাব দিতে পারিলেন না। পাত্রপক্ষের পুরোহিত তখনও চশমা-চোখে মেয়ে দেখিতেছিলেন। তিনি বলিলেন—একবার হাস ত মা-লক্ষ্মী ! রাধারাণী কিন্তু হাসিতে পারিল না—সে ঘামিয়া উঠিল । গোসাই বলিয়া উঠিল—কিন্তু আমার গিল্পীর কাছে তোমার হার ভাই রাধারাণী । কেমন বাহারের দাত বল দেখি–খামচকেটেই আছে, যেন মহিষাস্থরমহিী—অ্যা—! বলিয়া সে নিজেই দীতে খামচ কাটিয়া দিল—সে ভঙ্গী দেখিয়া সকলেই হাসিয়া উঠিল, রাধারাণীও এবার ফিক্ করিয়া হাসিয়া ফেলিল । গোসাই বলিল—এই দেখুন হাসি ভটচাজ-মশায়, সত্যযুগ হ’লে এ হাসিতে মাণিক ঝরত। পুরোহিত পাত্ৰকৰ্ত্তাকে বলিলেন—কন্তী আশীৰ্ব্বাদ ক’রে ফেলুন কৰ্ত্তা। এ কথা শুধু শ্ৰীমতীই নয়, মঙ্গলময়ী মেয়ে— আপনার মজল হবে। পাত্ৰকৰ্ত্ত জোড়হন্তে চৌধুরী-মহাশয়কে বলিলেন—তা হ'লে অম্বুমতি করুন আপনি । চৌধুরীবাবুরা দুই ভাই-ই করজোড়ে দাড়াইয়া ছিলেন— বড়কর্তা বলিলেন—ভগবান আপনার মঙ্গল করবেন, আমি জরিজ— g পত্রিকর্ড আর বলিতে দিলেন না, চৌধুরী-কর্ভার ছুটি হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন—ও কথা যদি বলেন, তবে আমাকে বিদায় দেন। পুরোহিত তখন ধান্যদূৰ্ব্ব ও স্বর্ণালঙ্কার-হাতে উঠিয়৷ দাড়াইছেন—চলুন চলুন, গোবিদের দরবারে চলুন। গেল এক সপ্তাহের মধ্যে । 學 事 鲁 বাড়িতে মা জিজ্ঞাসা করিল--হ্যারে মেয়ে পছন্দ হয়ে গেল ? গোঁসাই বিরক্তিভরে জবাব দিল—জানি না বাপু, জানি না—জল দাও দেখি এক গ্লাস । জলের মাস নামাইয়া দিয়া মা বলিল—তা ওই কি জবাবের ছিরি না কি ? জিজ্ঞাসা করলাম—মেয়ে পছন্দ হ’ল কি না— জলপান করিয়া গোঁসাই বলিল—হয়েছে। যে ভেষ্ট; পেয়েছিল ! মা বলিল—ষাকৃ। যে ভয় করছিল ওর মা—ভয়ের কথাই যে বটে। পোড় দাগ দেখতে ফুলের মতই লাগে ! বিদেশী লোক—বিশেষ পাত্তরপক্ষ—তারা আগে খারাপটাই ধরবে । গোঁসাই প্রশ্ন করিল—কি, কি, কি ? –এই রাণীর পায়ে গরম জল পড়ে পুড়ে গিয়েছিল— এই ইটুের ঠিক ওপরেই। দাগ অবিশ্যি সবই প্রায় মিলিয়ে গিয়েছে—তবু ছেরাকাটা ছেরাকাটা দাগ এখনও আছে। তাই ওর মায়ের ভয় । গোসাই বলিল—তা বাপু ওদের কথাটা বলা উচিত ছিল । মা বলিল—তার আর কি বলবে । আর বলেছে না বলেছে তাই বা জানছে কে ? চৌধুরী-কর্তা যে ধর্শ্বভীরু লোক ! ওই দেখ, গল্পতে শাককাটা সব খেলে— সে তাড়াতাড়ি বাড়ির বাহিরে শাকের ক্ষেত পানে বাহির হইয়া গেল। স্ত্রী বীট দিতেছিল। গোসাই মৃদ্ধ অথচ বিরক্ত স্বরে বলিল—তোষামুণী করা আমার দু-চক্ষের বিষ । স্ত্রী নীরবে তাহার পানে চাহিল—কোন প্রশ্ন করিল না । গোঁসাই বলিল—মায়ের কথা বলছি । তোষামোদী করা ওর একটা স্বভাব। চৌধুরী-গিরীর এক নম্বরের মোসাহেব। এবার স্ত্রী বলিল—কই মাত ওদের বাড়ি যায় নী—এই আজ কেবল— बाषा निब cशैगाहे शनिग-नां बाब न-छूधि छन ।