পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግህሙ® প্রষণসী ১৩৪২ চড়িয়ে বাসি পাট সারেন। শশী তার নিজের বাধা ফেভারিট সং— আমার বুকে আঁকা রামের নাম, uncle, nephew, father, mother— sister, brother, so on 1– গাইতে গাইতে ফেরে, এবং ত৷ কানে এলেই বড়বউ চা ছাড়েন । শুনতে না পাবার কোনো কারণই নেই। একে ত র্তার কান সেই প্রতীক্ষায় থাকে, তার ওপর শশী সিষ্টার’ কথাটির উপর এমন একটি টনক-নড় ও চমকভাঙা গমক্‌ দেয়, যা বধিরেরও শ্রবণ-সুলভ । 娜 আজ রোদ উঠল—এখনও ঠাকুরপোর সাড়া নেই। বড়বউ একটু চঞ্চল হ’লেন।–“কাল দুধ খায় নি, শরীর ভাল আছে ত ? ছকন লেখ ত, ছোটবাবু বেড়িয়ে ফিরেছেন কিনা।” ঠাকুরপো দুধ না খাওয়ায় তার মনে শাস্তি ছিল না । উঠান থেকেই একটু চড় গলায় বললেন, "তিন পোর বেলা হ'ল, এখনও কারুর ওঠবার নাম নেই। দেখাদেখি ছেলেটাও গোল্লায় গেল। লেখাপড়া হবে—না ছাই হবে ।” নরেশ চোখ রগড়ীতে রগড়াতে তাড়াতাড়ি উঠে এসেই ধমকু খেলে—“এর ওপর আর এক চোখ দেখাতে হবে ন— ছু-চোখ বোজ, -দুগগা দুৰ্গ গা!” বালক হকচকিয়ে, দালানের ক্লকটার দিকে চেয়ে সভয়ে বললে, “তুমি দেখ ম মা—এখনও ছ’টা বাজতে তিন भिनि;ि ।” “ও ঘড়ি আর দেখতে হবে না। এসে পৰ্য্যন্ত এক ফোট৷ তেল পেয়েছে কিনা! মাথার ওপর দিনরাত কেবল টিক্ টক্‌ করতে আছে । যাঁ, তোর কাকা বেড়িয়ে ফিরেছেন কিনা দেখে আয় ।” কথাগুলো রুষ্ট কণ্ঠে উচ্চারিত হওয়ায় জগৎবাবুও অtধ ঘণ্টা আগেই উঠে পড়লেন,—“কি আজ ব্যাপার কি ? শেষরাত্রে উঠে হৈ চৈ লাগিয়ে মানুষের ঘুমভাঙাবার এত ধুম পড়ে গেছে কেন ? ঘড়িটার দিকে দেখলেই ত হয়,–কাটায় কাটায় ছটা---" —ছেলে একবার দেখিয়ে গেল, তুমিও দেখাচ্ছে। ওটা আর ঘড়ি আছে নাকি ? : —তবে ওটা কি ? —এদেশে টিকটিকি ডাকে না ব'লে বোধ হয় রাখা হয়েছে ! পরের মেয়ের মত দিন রাত খেটে চলেছে, খেলে কিনা খোজ নেবার দরকারও আছে বলেও কেউ ভাবে না। সাত বছর হ’ল এসেছে, কোনো দিন অয়েল করাতে ত দেখলুম না। নিজেদের ত পায়ে, পেটে, মাথায়, তিন রকম তেল লাগে--- জগৎ একটু হাসি টেনে বললে, “তাই বুঝি নিজের জন্যে আর এক রকম বাড়াবার চেষ্টায়ু আছ, মধ্যম নারাণটা বাকি থাকে কেন•••" নরেশ ইপিাতে স্থাপতে এসে খবর দিলে, “সব চুরি হয়ে গেছে মা, কাকার সুটকেস, বঁশী, করতালি—সব---" —তোর কাকা কোথায় বল না-রে পাজি--- বালক থতমত খেয়ে বললে, “বোধ হয় চোর ধরতে। --” মা চোখ রাঙিয়ে বললেন, “দেখবি ?" সে বাপের পেছনে পেছনে বাইরে পালাল । বড়বউয়ের মাথা ঘুরতে লাগল। তিনি দালানেই বসে পড়লেন। চড়ানো চায়ের জল, ফুটে ফুটে শেষ হয়ে গেল । —“ঘুম ভেঙেই গাধার ডাক শুনলুম। সাত সকালে--মাক কাপড় এনে ম'লে । হতভাগা ছেলে উঠেই এক চোখ দেখালে। রাতে ঠাকুরপে দুধ খেলে না, বললে—‘ও আর কেন! আবার চুরির কথা শুনছি! ঠাকুরপো ছেলেমানুষ, একটুতে অভিমান করে। এখানে আমি ছাড়া তার অভিমান সইবার আর কে আছে। ওঁর ছেলেদের মন কতটুকু বোঝেন । ওঁর কথা শুনেই ত কাল রাতে দুধ খাওয়াবার চেষ্টা পেতে পারলুম না।--ভালয় ভালয় দিন কাটিয়ে দাও ঠাকুর, আমার বড় ভয় হচ্ছে—” হঠাৎ উঠে কয়েকটি পয়সা তুলসীতলায় রেখে, হাউজোড় ক'রে কত কি জানিয়ে প্রণাম ক'রে এলেন । —“তাই ত, বাইরে এতক্ষণ এরা করছে কি, সাড়ে সাতটা যে হ’ল – মুটকেস নিয়ে কে আবার মূর্ণিঃ-ওয়াকে যায়!—তার জিনিষই কি চুরি যাবে?” বুকটা তার শিউ:ে উঠল—“শাশুড়ীর কাছে কি ক'রে মুখ দেখাব ? ঠাকুর লজ রাখো-----কেন মরতে ভাঙা দিনে ভাণ্টাকে ছাড়াণ হয়েছিল, মাসে মাসে মাইনে পাচ্ছিল—কোন গোল छ्लि नां•••”