পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cজ্যষ্ঠ রুষsভাৰিনী নারীশিক্ষণ-মনিদcর ২২৩ কাল তুরঙ্গম রাশ নাহি মানে, বেগে ধায় যুগধৰ্ম্ম চাকা ।” ভবিঘাতই ইহার একমাত্র বিচারক ! এ-জল স্থির না হইলে ইহার উপকারিত্ব সম্পূর্ণ বুঝা যাইবে না ; যাহা আমাদের মেয়েরা কখনও দলবদ্ধ হইয়া লাভ করে নাই সেই বিদ্যারদের স্বাদ সংঘবদ্ধ হইয়া আশ্বাদে তাহারা এখন উতলা ! বঙ্গার মতই এ-বস্তু তfহাদের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছে । শিক্ষার নিয়মও এই যুগধৰ্ম্মের আবৰ্ত্তন-চক্রের বশেই চলিতেছে, আমরা ইহাকে সৰ্ব্ববিষয়ে অভিনন্দিত না করিলেও তত ক্ষণ সে নিজের বেগেই চলিবে যত ক্ষণ না নবযুগ বা কালধৰ্ম্ম অtসিয় তাহীকে প্রতিহত করে। ইহা সত্ত্বেও এই যুগে স্ত্রীশিক্ষার যে কতখানি প্রয়োজন তাহা ভুক্তভোগারাই জানেন। শুধু ইহা আলোক মাত্র নয়, জ্ঞানের বুভুক্ষণ মিটাইয়ই ইহা ক্ষাস্ত নয়, পরস্তু ইহা আজিকে নারীর শরীরধারণের অন্নপানীয় রূপেও পরিগণিত হইতেছে । দেশের কস্তাদের অস্থিমজ্জাগত ধৰ্ম্মের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে, নির্ভর আছে, অসীর বিলাসচেষ্টা, উচ্ছঙ্গল স্বাধীনতা প্রভৃতির অপবাদ তাহার হয়ত আর বেশী দিন সহ্য করিবে না।* এই শিক্ষার আবৰ্ত্তনে আমাদের দেশে অনেকগুলি মনস্বিনী মহিলার অভু্যদয় হইয়াছে, হইতেছে এবং কালে আরও হইবে । ইহা ভিন্ন দেশের বহু হৃদয়বান্‌ মনীষী দেশের কস্তাদের নিৰ্দ্দেযি হশিক্ষার ব্যবস্থার জন্ত নিজেদের হৃদয়মন এবং কেহ কেহ বিপুল অর্থও নিয়োগ করিতেছেন ( যেমন এই কষ্টাবিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মহাশয়) । কোন পথে চলিলে আমাদের কন্যাদের দেশগত শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গৃহগঠন প্রভৃতি অব্যাহত থাকিবে সে-বিষয়ে তাহারা ধথেষ্ট চিন্তা করিতেছেন এবং করিবেন। কোন পথ দিয়া আলোক আসিলে আবর্জনা অন্ততঃ কম আসিবে সে-পথ ক্রমেই

  • এখানে বলা উচিত, শিক্ষিতা মেয়েদের এই বিলাস-চেষ্টার কথা উল্লেখ করার এ উদ্দেষ্ঠ নয় যে আমাদের ঘরের তথাকথিত অশিক্ষিত মেয়ের ইহা হইতে অব্যাহত আছে আমরা ইহাই এখানে বুঝাইতে চাহিতেছি । একথা একেবারেই বল চলে না, বরং সম্পন্ন ঘরে ইংrর আধিক্যই দেখিতে পাওয়া যfয় । এই বিলাস-বাসনটিও যুগধর্গের আকারেই আমাদের উপরে আসিয়া *फ़िग्रांप्झ । पनौ, शृश्श, मोन कांशद्र७ पद्र ३श इशेरठ श्रांछकांश বাদ পড়ে না । কিন্তু যাহাক্স ৰখাৰ্থ শিক্ষিতা-পদবাচ্য তাহাদের ৭ প্রভাব হইতে কিছু মুক্ত দেখিতে স্বভাৰতই বাসন আসে, একথা এখানে উল্লেখের ইহাই একমাত্র কারণ ।

আবিষ্কৃত হইবে বলিয়া আমরা আশা করি, এবং আশা করি আমাদের দেশের স্ত্রীশিক্ষার নীতিগুলি ক্রমে সৰ্ব্বঅপবাদশৃষ্ঠ হইবে। সৰ্ব্বশেষে আমার আর একটি কথা বলিবার আছে । মাত্র এইখানেই যেন আমরা না থামি। বিদ্যার এক দিকের নাম অপর এবং তাহার আর এক দিক আছে যুহার নাম শ্ৰীমতী নিরুপমা দেবী পরা । ভারতের যদি কিছু থাকে এখনও এই পরা বিদ্যার মহিমা লইয়াই আছে। বহু দেশ এই অপর বিদ্যারঐশ্বৰ্য্যযুক্ত হইয়াও কালের স্রোতে বিলীন হইয়াছে, বাচিয়া আছে কেবল তাঁহাদের অজ্জিত পরা বিদ্যা বলিয়া সাহা আখ্যাত তাহারই পরিচয় । আমরা ভারতের কন্ঠীরা আমাদের দেশের এই বিশিষ্ট বস্তুটিকে যেন না ভূলি । আজি নরের সঙ্গে বখন সৰ্ব্ববিধ শিক্ষার সমান দাবী করিতেছি তখন এই পরাজ্ঞান হইতেই যেন আমরা দাবিশ্বন্ত না হইয়া থাকি। সেই অধ্যয়নকেই যেন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ উত্তম অধ্যয়ন বলিয়া জানি। আমাদের নির্ভীক সাধকবীর প্রহীদের মত যুগধৰ্ম্ম দৈত্য-পিতার সাক্ষাতে "তন্মধ্যে ধীত মুত্তমমূ” বলিয়া যেন সেই পরা শিক্ষাকেই প্রচার করি । যুগধৰ্ম্মের উপযোগী বিদ্যা আয়ত্ত করিয়াও আমাদের পুর।যুগের সত্যতত্বাম্বেষিণী নারীর মত যেন