পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বর-কনে டுே (ক) প্রধান গবেষণা-কেন্দ্র হইতে ডিম লইয়া পালন দ্বারা পালন-সঞ্চ উৎপাদন ও সাধারণ পলুপালকদিগকে সরবরাহ, (খ ) পালনপ্ৰথা এবং তুতচাষ-প্রথার দৃষ্টান্ত প্রদর্শন, (গ) কলম তুত সরবরাহ । তৃতীয়, পা-যন্ত্র ও বানক-যন্ত্র দ্বারা কাটাই-কাৰ্য্য চালাইয়৷ আদর্শ কাটাই কাৰ্য্য প্রদর্শন। ইহা দেখিয়া লোকে ছোটখড় কাটাই কারখানা আরম্ভ করিতে পারে। পাশ্যন্ত্রের জন্ত কোন ঝঞ্ঝাট নাই। কিন্তু বানক-যন্ত্রের জন্ত (১) জল, (২) বাষ্প, এবং (৩) যন্ত্র ঘুরাইবার জন্ত বিজলী কিংবা বাষ্প শক্তি প্রয়োজন । বাংলা দেশের সর্বত্র বিজলী পাওয়া দুষ্কর। অতএব কয়লার দ্বারা উৎপাদিত শক্তিতে বানক চালীন প্রয়োজন এবং এইরূপে বাষ্পচালিত বানকের আদর্শ দেখান প্রয়োজন । চতুর্থ, যাচাই-আগীর । এইগুলি হইল উৎপাদন-শিল্পের উন্নতি ও বিস্তারের ভিত্তি । বর-কনে ঐফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় কোজাগরী সাঝে দু-জনে নেমেছি গায়ের ইষ্টেশনে ; ইটোপথে এই এক কোশ পথ যেতে হবে—তাও জেনে ইচ্ছা করেই গাড়ী পান্ধীর না ক’রে যোগাড় কিছু আমি ইটি তার পেটরাটি নিয়ে সে আসে আমার পিছু । আালের দু-পাশে শরতের শীষ শিশিরে পড়েছে কুয়ে সেই জলে ভিজি পাতলা শাড়ীর জল পড়ে চু’য়ে চুরে ; ক্ষেত হ’তে ক্ষেতে কুলকুল ক’রে জল করে আনাগোন— শরৎ-সন্ধ্যা গান গায়, ভেবে কান পেতে ওর শোনা ক্ষেতের পগারে আকনা ফুল ফুটে আছে বীকে বীকে এই ফুলেরই ত মালা দিয়েছিমু বিয়ের রাত্রে তাকে । ঘ-পাশ কতই লজ্জাবতীর লতা আছে পাতা মেলে আলতা-রাঙানো পায়ে ছুয়ে ছুয়ে খুকীর মতন ধেলে ; ও যেন আবার ফিরে পেয়েছে সে বালিকা-জীবনটিকে— শরৎ-চাদের স্বপন ছড়ায় সবুজের দিকে দিকে । হিঙুল নদীটি পার হতে হবে— তার ওপাশেই গ্রামে সন্ধ্যাপ্রদীপ ভর ক’রে যেথা ঘুমের পরীরা নামে,— গ্রামের বাহিরে মৃণালদীধির কুমুদের সৌরভে জোছনার মেয়ে সারা রাত জেগে কাটায় মহোৎসবে, সেইখানে এসে বসি দু-জনায় শিরীষ গাছের তলে পায়ের তলায় জলরেখাটুকু নেচে নেচে গেয়ে চলে । আঁচলের সব কাঞ্চন ফুল সেই জলে দিল ফেলে মেঘকালো নদীজলে যেন ভাই,— বিদ্যুৎবালা খেলে । মাছপরী সব জ্যোছনা-আলোয় চিক্‌ চিক্‌ ক’রে ওঠে জ্যেtছনা-আলোয় ওরও হাসিথানি চিক্‌ চিক কর ঠোটে ; ঝোপে ঝাড়ে কোথা কে জানে ফুটেছে নাম-না-জানা কি ফুল শুামলতাগুলি এলায়ে দিয়েছে ফুল দিয়ে বাধা চুল ঠোঁটের আঘাতে আড়বাশীখান কেঁদে কেঁদে হ’ল সারা— সহসা দেখি যে ওরও দুটি চোখে নেমেছে জলের ধারা !