পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন না হয় জঙ্গল, এই রীতিই যুগে যুগে কৃষিপ্রধান সভ্যতার পতন নির্দেশ করে । জল, গাছপালা, ঘাসের বিরুদ্ধে মানুষের ব্যভিচারের ফলেই সভ্যতার অবশুম্ভাবী পতন । ভারতের মত এমন কোন দেশ নাই যেখানে এতগুলি সাম্রাজ্য ও সভ্যতার শ্মশান চারিদিকে ছড়াইয়। রহিয়াছে। প্রকৃতির বহুযুগলঙ্ক, স্বল্প সমতা ও স্বযমার অবহেলার জন্তই বিভিন্ন আবেষ্টনে সভ্যতা বস্থঙ্করার গাত্রে একটা বিস্ফোটকের মত উঠিয়া বিলীন হইয়া গিয়াছে । মামুষের সভ্যতা মাটির সহিত, গাছপালার সহিত, কীটপতঙ্গ জন্তুর সহিত, জল ও বনভূমির সহিত অচ্ছেদ্য ও জটিল বন্ধনে জড়িত। পৰ্ব্বতে বনানীরক্ষা, সামুদেশে ফলের বাগান ও উপত্যকাভূমিতে গোচারণভূমির পুষ্টিসাধন, সমতলভূমিতে সংরক্ষণশীল চাষের ব্যবস্থা পরস্পরকে সাহায্য করে, মানুষেরও সম্পদ বুদ্ধি করে । ভারতবর্ষের বৈষয়িক উন্নতি তখনই সম্ভব যখন দেশের বিভিন্ন পৰ্য্যায়ে মাজুল A. প্রাকুতিক বিপৰ্য্যয় মানুষের দৈন্ত

  • প্রাকৃতিক সমবার

মামুষের সম্পদ cলাকবৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক ৰিপৰ্য্যক্ষ্ম ^N9 আবেষ্টনের বিচিত্র শক্তি অনুযায়ী পৰ্ব্বত, সান্তদেশ ও সমতলক্ষেত্রে বৈষয়িক জীবনের একটা সামঞ্জস্য ফিরিয়া আনিতে পারা যায়। গ্রাম ও নগরের উন্নতি, ক্লযিশিল্প ও বনানী রক্ষা, গোধন উন্নতি ও গোচারণভূমি রক্ষ, ইহাদিগের মধ্যে বিরোধ যেমন ভারতবর্ষের বৈষয়িক জীবনের বিশেষত্ব, তেমনই অপর দিকে দেশের প্রাকৃতিক শক্তির ব্যত্যয় ঘটাইয়া আমাদিগকে সম্পদহীন করিতেছে । নিম্নলিখিত তালিকাটির সাহায্যে প্রারুতিক বিপৰ্য্যন্ধ ঘটাইয়| দৈন্ত হষ্টি ও প্রাকৃতিক শক্তির সহিত সমবায় ও সমন্বয় সাধনে মানুষের সম্পদবৃদ্ধির তুলনা করা হইল। ভারতবর্ষে কি শস্যক্ষেত্রে, কি গোচারণভূমিতে, কি পৰ্ব্বতগাত্রে, কি নদীতটে প্রাকৃতিক শক্তির শোষণ ও অপব্যয় প্রভূত পরিমাণে বাড়িয়া আজ দিকে দিকে জল, মাটি, উদ্ভিদ ও জীবজগতের মধ্যে একটা অসমত স্থষ্টি করিয়াছে। মানুষ তাই পদে পদে প্রেরুতির নিকট লাঞ্ছিত ও বিপৰ্য্যস্ত । মাটির উর্বর্বরতা নাশ । বনজঙ্গলের উৎপাটন । शोभन्न श्रोध्झोलन विना” । মাটির গুঙ্কত। বৃদ্ধি। বালুক ও ক্ষার বৃদ্ধি। সহজ জল-সরবরাহের পথ নিরোধ । নদনদীর গতি হ্রাস ও বিনাশ । নদীর বঙ্গ । গ্রামভিটায় জঙ্গল বৃদ্ধি ও জলপথে জলকচু। মশক বৃদ্ধি। ম্যালেরিয়া । বস্তঞ্জৰ, পার্থী ও মাছের বিনাশ । গোধন হানি । মামুষের অনাহার ও পল্লীগ্রাম ক্ষয় ও কতকগুলি স্ফীত নগরীর অtবির্ভাব । রোগবৃদ্ধি । জন্মহার হ্রাস ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি । সংরক্ষণশীল কুধি ব্যবস্থা। সার দেওয়া ও যাবতীয় পরিত্যক্ত দ্রব্যের মাটিতে প্রত্যাবর্তন । গোচরণ-ভূমির রক্ষা ও উন্নতি সাধন । বনাণীরক্ষা, রোপণ ও উন্নতিসাধন । পৰ্ব্বত্তগাত্রে ফলের চাষ । बुडेि, नर्घौ ७ आछिब्र चांडाखर्ब्रौ१ खञ ब्रक्र । কীটপতঙ্গের সহিত বৈজ্ঞানিক সমবায়ে শগু ও মামুষের ব্যাধি নিবারণ। নদ-নদীর সংরক্ষণ । বস্তজন্তু ও পার্থী রক্ষা । গোজাতির উন্নতিসাধন । পল্লীগ্রাম ও নগরের সমবায় । কৃষি, গোচরণ, ও কারখান শিল্পের সমম্বর । মানুষের সম্পদ ও জীৰনকাল বৃদ্ধি ।