পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8२ ০৮:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~ গাড়ী অনেক দূর জালিয়াছে। ঠাং গ্রেগামী গাড়ীর হাতল ধরিয়া ছুটিতে ছুটিতে একটা লোক সেই চলন্ত গাড়ীতে উঠিয়া পড়িল! লোকটার চক্ষ নিপলক, মুখে দৃঢ় কঠোরত, হস্ত পদে মৃত্যুর শীতলতা, শরীরে শোণিতশূন্যতা, স্পষ্ট প্রতীয়মান। সে কোন দিকে ন চাহিয়া, বরের গলায় একছড়া কপূরের মাল পরাইয়া দিয়া অচঞ্চল কণ্ঠে বলিল "জগন্নাথ দেবের সেবাইত ব্রাহ্মণের আশীর্যাদ, আপনার জীবন সফলতায় চির গৌরবময় হোক।" বরনত মন্তকে নমস্কার করিল। । তার পরে আরো কঠিন হইয়া, আরো অসঙ্কোচে– অবগুষ্ঠিতা বধূর হাতখানি তুলিয়া ধরিয়া আর একগাছি কপুরের মালা জড়াইয়া দিতে দিতে ধীরে ধীরে, পরিস্কার স্বরে বলিল “এই ক্ষণধ্বংসী কপূরের মত—তোমাদের জীবনের সমস্ত মালিন্য লুপ্ত হয়ে যাক, ভগবান জগন্নাথ দেবের নামে আশীৰ্ব্বাদ করি তোমরা শান্তিময় মুখে স্বর্থী হও।” - - বক্তার ললাটে গভীর স্নিগ্ধতার সহিত মহিমাময় বিজয়স্ত্রর দীপ্ত জ্যোতি ফুটি৷ উঠিল! মোহের দাসত্বের মুক্তি লাভে আত্মজয়ের পূর্ণ সন্তোষে, মহা পূর্ণতায় প্রাণ পূর্ণ হইয়া গেল ! প্রসন্ন সার্থকতায় সারা জগং ভরিয়া উঠিল। অপার্থিব শান্তির কিরণে সহসা চরাচর পরিপূর্ণ হইয়া গেল। সে কি তৃপ্তি! কি আনন্দ! কি স্বমহান জয়োল্লাস! কণ্ঠস্বরে চমকিয়া বিস্ময়ব্যাকুলা ছবি অশ্রুসিক্ত অবনত দৃষ্টি তুলিয়া যখন কুষ্ঠিতভাবে বক্তার পানে তাকাইল, তখন সে গাড়ী হইতে লাফাইয়া পড়িয়াছে। ছবি চিনিতে পারিল না, শুধু উদেশে নমস্কার করিল। গাড়ী ছুটিয়া চলিল। ঐশৈলবালা ঘোষ । রাজপুতানাপ্রবাসী বাঙ্গালী - ( ভরতপুর ) ভরতপুর মথুরামগুলের পশ্চিমে আগ্রা হইতে ৩৫ মাইল দূরে অবস্থিত। ইহার অধিকারভুক্ত কাম্যবন বা কদম্ববন আধুনিক "কামন ব্রজমণ্ডলের অন্তর্গত একটি প্রাচীন প্রসিদ্ধ তীর্থ। বৈষ্ণবগণ এই তীর্থ দর্শনের মানসে ভরতপুরে প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২

  • ヘへへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ

যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাধ্যক্ষগণের সহিত অবস্থানহেতু যুদ্ধকৌশলে [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । আগমন করিয়া থাকেন। রাজপুতানার এই মিত্ররাজ উত্তরে গুরুগাও, পূৰ্ব্বে আগ্রা, দক্ষিণে জয়পুর কেরোঁলী ও ধোলপুর এবং পশ্চিমে আলবার কর্তৃক বেষ্টিত। ইহা পরি: | সরে জ্যামেকাদ্বীপের সমতুল্য এবং প্রজাবহুল। ভরতপুরের দুর্গ স্থপ্রসিদ্ধ, ১৮০৫ অব্দে লর্ড লেক এবং ১৮৭২ অন্ধে লর্ড কম্বল মিয়র কর্তৃক এই দুর্গ অবরুদ্ধ হইয়াছিল। gif grsai aftal as "The Fort of Victory"(rts গড় ) এবং এই নগর "City of victory” অর্থাৎ “বিজয়ী নগর" বা ফতেপুর নামে অভিহিত হইত। Bharatpur, with an area of about five miles in circuit, was surrounded by a broad deep fosse, from the inner edge of which rose a massive and lofty wall of sunburnt clay, flanked by thirty-five bastions. It was dominated by the citadel or, as the natives, proud of its supposed impregnability, loved to call it, “The Fort of victory,” which lowered on its isolated hill high above the rest of the town and was enclosed by a ditch 150 sect wide, and 50 sect deep.”—Davenport.” Adains. কথিত আছে প্রথম ভরতপুর-যুদ্ধে একজন বাঙ্গালী অসাধারণ সাহস ও বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন। সমরক্ষেত্রে ইংরেজ সেনানায়ক হত হইল। তিনি স্ববেদার ও হাবিলদার প্রভৃতির দ্বারা অমুরুদ্ধ হইয়া মৃত সেনাপতির পরিচ্ছদ পরিধান করিয় রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন। সৌভাগ্য, | ক্রমে তাহার অধিনায়কতায় ইংরেজপক্ষের জয়লাভ হয়। উক্ত হইয়াছে কর্তৃপক্ষের বিনাথতিতে সেনাপঞ্জি পরিচ্ছদ ধারণ করার অপরাধে প্রথম তাহার ৫• •২ শত টাকা অর্থদও হয়, এবং তংপরে পুনবিচারে তাহার অসাধারণ রাজভক্তি সৎসাহস ও প্রতিভার পুরষ্কারস্বরূপ গুণ গ্রাহী ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট তাহাকে ৩• • • •২ টাকা প্রদান করেন। তদবধি তিনি সাধারণ কর্তৃক “জেনারেল" নামে অভিহিত হন। তাহার নাম ছিল বাৰু কালীচরণ ঘোষ। তিনি কলিকাতা সুকিয়া ষ্ট্রীটের নিকট বাপ করিতেন। | তিনি সমরবিভাগের একজন কৰ্ম্মচারী ছিলেন, সৰ্ব্বদ তাহার বিশেষ অভিজ্ঞতা জন্মিয়ছিল। তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতির জন্য অনেক সময় লেফটেনাণ্ট কর্ণেল কাপ্তেন প্রমুখ বড় বড় কৰ্ম্মচারী তাহার পরামর্শ গ্রহণ | -സംബ ২য় সংখ্যা]

  • ঞ্জিতেন। উপরোক্ত ঘটনার পর হইতে তিনি জেনারেল কালুঘোষ এবং তাহার অপভ্রংশে সাধারণত: “জারেল কালু নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। কিন্তু মৃত সেনাপতির পরিচ্ছদ ধারণ করায় জন্য বঙ্গীয় সমাজে স্বশ্রেণীর মধ্যে তিনি অপাংক্তেয় হইয়াছিলেন, এমনকি তাহার বংশধরগণকে বহু দিন ইহার ফলভোগ করিতে হইয়াছিল।•

ইহার প্রায় অৰ্দ্ধশতাব্দী পরে ইংরেজ গবর্ণমেন্টের অধীনে বাঙ্গালীর প্রবাসরাসের স্বত্রপাত হয় এবং বাঙ্গালীর সঞ্জবে এই রাজপুতরাজ্যের ঐ ফিরিয়া যায়। যে প্রতিভা বান বাঙ্গালীর দ্বারা তাহ সম্ভব হইয়াছিল তাহার নাম ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাস রায় বাহাদুরf डिनि কলিকাতা শোভাবাজারনিবাসী স্বৰ্গীয় রামচন্দ্র বিশ্বাসের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ডাঃ ডাফের ফ্রি কার্ক ইনষ্টিটিউশন ( Free Church Institution ) fraitzizą fotofi noto; *f** ১৮৪৫ অব্দে কলিকাত মেডিকেল কলেজে প্রবেশ করেন । তাহার সময়ে তিনি উৎকৃষ্ট ছাত্র বলিয়া পরিগণিত ছিলেন এবং সকল পরীক্ষাতেই ভূরি ভূরি প্রশংসাপত্র মেডেল ও ছাত্রবৃত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তিনি অস্থিবিদ্যায় ( Anatomy) azt (physiology) otstrz: রৌপ্যপদক এবং (Botany) উদ্ভিদবিদ্যায় বর্ণপদক ও ধাত্রী -- বিদ্যায় স্ববর্ণপদক লাভ করিয়া ভৈষজ্যবিদ্যা, রসায়ন, মেডিকেল জুরিসপ্রাডেন্স প্রভৃতিতে উচ্চপ্রশংসাপত্র প্রাপ্ত ইয়াছিলেন। ১৮৫ অন্ধে তিনি শেষ পরীক্ষায় গৌরবের সহিত উত্তীর্ণ হইয়া জি, এম, সি, রি, উপাধি লইয়া ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক আজমীঢ়ের মেডিকেল অফিসর নিযুক্ত হইয়৷ তথা গমন করেন। আজমীঢ়ে তিনি ৫ বৎসর ছিলেন। এখানে রাজপুতানার তাৎকালীন গবর্ণর জেনারেলের এজেণ্ট সার হেনরী লরেন্স মহোদয় এবং এজেন্সীর চীফ মেডিকেল অফিসর সাহেবের সহিত তাহার পরিচয় হয়। ভোলানাথ বাবু তাহদের এবং জনসাধারণের প্রিয় ও সকলের নিকট সম্মানিত হন। এখান হইতেই তাহার চিকিৎসার যশ বিস্তারলাভ করে। তিনি সাধারণের • বিশ্বকোষ ৩য় ধও, পৃ ৪•–৪১ ৷

  • श्रीब्र ५३ नक्रिश औषनौद्र अशा श्रानि ८कएग्रोजौ ८कोणिप्नद्र

গান্ত শ্ৰদ্ধাস্পদ যুক্ত ভোলান।ণ চট্টোপাধ্যায় রাও সাহেবের নিকট রাজপুতানাপ্রবাসী বাঙ্গালী পারে নাই। তিনি শীঘ্রই ভোলানাথ বাবুর সদগুণের পক্ষ নিকট হইতে চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ গ্রহণ করিতেন না ; কিন্তু জাতি-ধৰ্ম্ম-বর্ণ-নিৰ্ব্বিশেষে সকলকেই অতি যত্ন করিয়া দেখিতেন। তাহার এইরূপ জনহিতৈষণা এবং অনন্যসাধারণ স্বাৰ্থত্যাগ স্বক্ষদর্শী রাজনীতিজ্ঞ সার হেনরীর দৃষ্টি এড়াইতে পাতী হইয় পড়েন। অতঃপর বিশ্বাস মহাশয় এখান হইতে যোধপুরে বদলি হইয়া যান। ১৮৫৩ অব্দে মহারাজ বল । বস্ত সিংহের মৃত্যু হইলে রাজ্যচু্যত মহারাজ রামসিংহের । পিতা যশোবন্ত সিংহ তিন বৎসর বয়সে ভরতপুরের সিংহসনে অধিষ্ঠিত হইলে তথায় নূতন এজেন্সী গঠিত হয়। এই স্বত্রে ভোলানাথ বাবু তিনমাস যোধপুরে অবস্থিতি করিবার পর ভরতপুরের মেডিকেল অফিসর হইয়া আসেন। মধ্যে দেড় বংসর কাল মেডিকেল স্কুলের শিক্ষকতার কাৰ্য্যে আগ্ৰায় প্রবাস ব্যতীত তিনি তাহার সমস্ত জীবন ভরতপুরেই অতিবাহিত করিয়াছিলেন। ১৮৫৫ অব্দে তিনি চীফ মেডি কেল অফিসরের পদ প্রাপ্ত হইয়া এখানে চিকিৎসা-বিভাগ সংগঠিত করেন। তিনি এই সময় ভরতপুরের হাসপাতাল এবং নানাস্থানে ডিস্পেন্সরী স্থাপিত করেন। রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন নগরে বর্তমান দ্বাদশটি হাসপাতালের মধ্যে প্রথম সাতটি ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাসের দ্বারা স্থাপিত। চিকিৎসাবিভাগ স্বপ্রতিষ্ঠিত করিবার পর ডাক্তার বিশ্বাস ভরতপুর রাজ্যের শিক্ষাবিভাগ সংস্থাপনের জন্ত নিযুক্ত হন। তিনি শিক্ষাবিভাগের শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত হইয়া শেষ পৰ্য্যন্ত সেই পদেই স্থায়ী ছিলেন। ১৮৫৭ অব্দের প্রারম্ভে তাহাকে আগ্রা মেডিকেল স্থলের অধ্যাপক (professor of medicine ) করিয়া পাঠান হয়। আগ্রায় প্রবাসকালে বিদ্রোহের ছুদিনে তাহাকে বহু-প্রকার কষ্ট ভোগ করিতে হইয়াছিল, কিন্তু সে সময়েও তিনি কৰ্ত্তবাবুদ্ধি হারান নাই। তিনি তখন ছাত্রদিগের হিতের জন্য উর্দু ভাষায় চিকিৎসা সম্বন্ধীয় একখানি গ্রন্থ রচনা ও পরে প্রকাশ করিয়াছিলেন। বিদ্রোহ দমনের পর তাৎকালীন পলিটিক্যাল এজেন্ট মেজর মরিসন চেষ্টা করিয়া তাহাকে পুনরায় ভরতপুরে আনিয়া পূৰ্ব্বপদে প্রতিষ্ঠিত করেন। নাবালক মহারাজ বয়োপ্রাপ্ত হইলে ডাক্তার ভোলানাথ । বিশ্বাসের হস্তে তাহার শিক্ষার ভার অপিত হয় এবং তিনি ==