পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| কহিল, “ম, দুর্গের বাহিরে অনেক অশ্বারোহী সেন আসিয়াছে। তাহারা বলিতেছে যে, তাহারা মহারাজের লেন এবং গোবৰ্দ্ধন মঠের সন্ন্যাসী অমৃতানন্দ তাহাদিগের সঙ্গে আছেন।” দুর্গশ্বামিনী কহিলেন, "তোরণ উন্মুক্ত কর, প্ৰভু श्रयूङांनन्मएक श्रख:५८ब्र लश्ग्र। श्रशेिन ७द९ भशप्राप्त्रद्र সেনাগণকে প্রবেশ করিতে দাও।” “गा!" "কেন, নবীন ?" “গৌড়ীয়সেন চিনিব কেমন করিয়া?" ধৰ্ম্মপালদেব কহিলেন, “তাহাদিগকে অদ্যকার সঙ্কেতের কথা জিজ্ঞাসা কর।” নবীন উত্তর করিল, “প্রস্থ, আমি ত সঙ্কেতের কথা জানি না।” “অদ্যকার সঙ্কেতের কথা—” গৌড়েশ্বর কথা শেষ না করিয়াই অবনতমস্তকে চিন্ত৷ করিতে লাগিলেন। কিয়ংক্ষণপরে নবীন কহিল, "প্ৰভু,—?” গৌড়েশ্বর মস্তকোত্তলন না করিয়াই কছিলেন, ‘আদ্যকার সাঙ্কেতিক কথা কল্যাণী’ ” নবীন প্রণাম করিয়া চলিয়া গেল। অন্তঃপুরের চারিপাশ্বে নারীকণ্ঠেখিত মৃদু হাস্যধ্বনি কঙ্কণবলয়শিল্পনের সহিত মিশিয়া গেল। কিয়ংক্ষণপরে অমৃতানন্দ ও জনৈক বস্ত্রাবৃতসৈনিক অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল। ধৰ্ম্মপাল অমৃতানন্দকে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, "প্রভূ, আপনি কি করিয়া এখানে আসিলেন ?” “আমি ময়ূরাক্ষিতীরে শিবিরে ছিলাম। ভীষ্মদেব মহারাজের আদর্শনে চিন্তিত হইয়া আমাকে গোকর্ণে পাঠা ইয়া দিয়াছেন।” "আপনার সহিত কত লোক আছে ?” অমৃতানন্দ দৈনিকের দিকে চাহিলেন। দৈনিক গৌড়েশ্বরকে অভিবাদন করিয়া কহিল, "সহস্ৰ অশ্বারোহী।” ধৰ্ম্মপাল কহিলেন, "প্ৰভূ, সহস্ৰ সেনা দুৰ্গরক্ষার পক্ষে যথেষ্ট। আমি পুরমহিলাদিগকে স্থানান্তরে পাঠাইবার চেষ্ট৷ করিতেছিলাম।” “কোথায় পাঠাইবে ? "cफ़क्कद्रौएड।” প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ BMAMSMJAMMMMMM sSumitaBot (আলাপ) ০৮:১৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)ുSumitaBot (আলাপ) ০৮:১৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ)ു "দুর্গস্বামিনী কি বলেন ?” - রঘুসিংহের বিধবাপত্নী অবগুণ্ঠন টানিয়া দূরে ছিলেন, তিনি অমৃতানন্দকে প্রণাম করিয়া কহিলেন, “প্রন্থ কল্যাণী ব্যতীত আর কাহাকেও পাঠাইবার আবশ্বক নাই। কল্যাণীকে বহুপূৰ্ব্বে মহারাজের হস্তে সমর্পণ করিয়া দিয়াছি স্বতরাং কল্যাণীর জন্য গৌড়েশ্বর যে ব্যবস্থা করিবেন তাহাই হইবে, এ বিষয়ে আমার মতামত অনাবশ্যক।” অমৃতানন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি ?” “প্ৰভু ! আমি গোকৰ্ণ পরিত্যাগ করিতে পারিব না। বিবাহের দিনে এই গৃহে আসিয়াছি, আর চিতারোহণের দিনে বাহির হইব। আপনার আমাকে কোন অনুরোধ । করিবেন না। কল্যাণীর ভদ্রবংশজাত দুই তিনটি সৰী আছে, তাহাদিগকেও কল্যাণীর সহিত লইয়া যান।” অমৃতানন্দ কহিলেন, "তবে তাহাই হউক। মহারাজ! কল্যাণীদেবীর সহিত কে যাইবে ? আমি স্বয়ং দুর্গরক্ষা থাকিব ।” - ধৰ্ম্মপালদেব কিয়ংক্ষণ চিন্তা করিয়া সৈনিককে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার নাম কি ?” উত্তর হইল, “গুরুদৰ।" “তুমি কল্যাণীদেবীকে ঢেঙ্করীতে লইয়ু যাইন্তে পরিবে ?" “মহারাজ, আমি সৈনিক, যুদ্ধ আমার ব্যবসায়, কিন্তু অপরিচিত। কুলকামিনীকে কেমন করিয়া রাত্রিকালে লইয়৷ याश्त ?” ”তোমার সহিত সেনা থাকিবে—” “মহারাজ, অপরাধ মার্জনা করিবেন, আমি ভয়ে এ কথা বলি নাই—” এই সময়ে দুর্গম্বামিনী সৈনিকের কথায় বাধা দিয়া বলিয়া উঠিলেন, “পুত্র, কল্যাণী যুবতী, রাত্রিকালে তুমি তাহার সহিত না থাকিলে লোকে কুৎসা রটাইবে।” ধৰ্ম্মপাল কহিলেন, "তবে তাহাই হউক।" অৰ্দ্ধদও পরে শিবিকারোহণে কল্যাণীদেবী ও তাহার সহচরী চতুষ্টয় গোকর্ণদুর্গ ত্যাগ করিলেন। গৌড়েশ্বর [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ২য় সংখ্যা] হইল, গৌড়েশ্বর বুঝিতে পারিলেন যে, গুঙ্গরসেন | গোকর্ণদুর্গ আক্রমণ করিয়াছে। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । নিশীথে বিপদ । অন্ধকারময় বনপথে একের পর একখানি করিয়া পাচৰানি শিবিকা চলিয়াছে। সম্মুখে পচিশজন অশ্বারোহী, অবশিষ্ট পচিশজন শিবিকাগুলি বেষ্টন করিয়া চলিয়াছে। মধাদেশে কল্যাণীদেবীর শিবিকা, গৌড়েশ্বর আশ্বারোহণে ভাগর পাশ্বে চলিয়াছেন। রজনীর দ্বিতীয় প্রহর অতীত হুইছে, গোকর্ণদুর্গ তপন তিনচারি ক্রোশ পশ্চাতে পড়িআছে। বাহকগণ নিশ্চিন্তমনে চলিয়াছে, অশ্বারোহীগণ সতর্কতা পরিত্যাগ করিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছে। এই সময়ে চারিদিকের অন্ধকারময় বনভূমি হইতে ভীষণ জয়ধ্বনি উত্থিত হইল। সঙ্গে সঙ্গেই শত শত অশ্বারোহী বন হইতে বাহির হইয়া গৌড়েশ্বরের ক্ষুদ্রসেনার দিকে অগ্রসর হইল। যে-সকল অশ্বারোহী শিবিকার অগ্ৰে চলিতেছিল, তাহারা অস্ত্ৰধারণ করিবার পূৰ্ব্বেই অশ্বারোহীগণতাহাদিগের উপর আসিয়া পড়িল । তাহাদিগের পশ্চাতে যখন শত শত অশ্বারোহী আসিয়া উপস্থিত হইল, তখন গৌড়েশ্বরের মুষ্টিমেয় শরীররক্ষীসেনা প্রবল স্রোতের মুখে তৃণের ন্যায় ভাসিয়া গেল। দেখিতে দেখিতে সহস্ৰাধিক অপরিচিত দেন। সঙ্কীর্ণ বনপথে শিবিকাগুলি অতিক্রম করিয়া চলিয়া গেল। এক নিমেষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটা গেল, ধৰ্ম্মপাল কোষ হইতে তরবারি বাহির করিবার অবসর পাইলেন না। তাহার অশ্ব তাহাকে লইয়া কল্যাণীস শিবিকার নিকট হইতে চলিয়া যায় দেখিয় তিনি লম্ফ দিয়া অশ্ব পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। যখন অপরিচিত অশ্বারোহীর দল চলিয়া গেল, তখন ধৰ্ম্মপাল দেখিলেন যে, অপর চাব্লিথানি শিবিক নাই, বাহক নাই, শরীররক্ষী নাই, শক্রসেনা নাই, তাহার অশ্ব নাই। অন্ধকার বনমধ্যে আছে কেবল কল্যাণীদেবীর ভগ্নশিবিক এবং তিনি তাহার ধৰ্ম্মপালদেব স্বয়ং পঞ্চাশং অশ্বারোহী সমভিব্যাহারে তাছা দিগকে ঢেঙ্কর নগরে লইয়া চলিলেন। তাহারা দুর্গত্যাগ করিবার এক দণ্ড পরে দ্বর্গ হইতে ভীষণ কোলাহল উন্তি পাশে অক্ষতদেহে দাড়াইয়া আছেন। গৌড়েশ্বর ভাবিলেন দেশক্রসেনা শীঘ্রই ফিরিয়া আসিবে, সুতরাং এই অবসরে পলায়ন করাই শ্ৰেয়। ধৰ্ম্মপাল ঈৰ্ষং কম্পিতকণ্ঠে o _اۓ ت_ ধৰ্ম্মপাল * - **○ ডাকিলেন, “দেবি ? কল্যাণি ?” শিবিকার অভ্যস্তর হইতে উত্তর হইল, “কি?” বহুকাল পরে কল্যাণীদেবীর কণ্ঠস্বর শুনিয়া হর্ধে ধৰ্ম্মপালের দেহ রোমাঞ্চিত হইল। তিনি উত্তর পাইয়া পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার অঙ্গে কি আঘাত লাগিয়াছে ?” তৎক্ষণাৎ উত্তর হইল,“না।” ধৰ্ম্মপাল তখন অশ্বিস্ত হইয়া কহিলেন, তবে শীঘ্র শিবিক হইতে বাহির হইয়া আহন, শক্রসেনা হয়ত এখনই ফিরিয়া আসিবে, আমরা এইবেল পলায়ন করি।” কল্যাণী শিবিকার যবনিকা সরাইয়া বাহিরে অসিলেন, কিন্তু চারিদিকে গাঢ় অন্ধকার দেপিয়া স্থির হইয়া দাড়াইলেন। বিলম্ব দেখিয়া ধৰ্ম্মপাল কহিলেন, “শীঘ্র আহন।” ধীরে ধীরে উত্তর হইল, “বড় অন্ধকার।" “আমি আছি, ভয় নাই, আপনি আস্বন " "কিছুই যে দেখিতে পাইতেছি না। -- “আপনি আমার হাত ধরিয়া আস্বন।*-- কিয়ৎক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া কল্যাণী অবশেষে ধৰ্ম্মপালের হস্তধারণ করিলেন, উভয়ে বনপথ পরিত্যাগ করিয়া বুক্ষরাজির নিম্নে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। o কৃষ্ণপক্ষের রাত্রি, চন্দ্রকিরণ নাই। অনস্ত আকাশে অন্ধকারে অসংখ্য তারক হীরকখণ্ডের স্বায়ু জলিতেছে। একস্থানে অধিকক্ষণ অবস্থান করা নিরাপদ নহে ভাবিয়া ধৰ্ম্মপাল কল্যাণীকে লইয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলেন। কিয়দ্ধর যাইতে না যাইতে কল্যাণী যন্ত্রণাব্যঞ্জক অক্ষট চীৎকার করিয়া উঠিলেন। কল্যাণীকে পতনোন্মুখ দেখিয়া ধৰ্ম্মপাল ব্যস্ত হইয়া উহাকে ধরিয়া ফেলিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হইয়াছে ?" কাতরকণ্ঠে উত্তর হইল, “পদতলে কণ্টকবিদ্ধ হইয়াছে।" ধৰ্ম্মপাল তখন একহস্তে কল্যাণীকে ধরণ করিয়া অপরহস্তে চরণতল পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন কোমল পদপঙ্কবতলে স্বচীবং তীক্ষ হুদীর্ঘ কণ্টক আমূলবিদ্ধ হইয়। রহিয়াছে। ধৰ্ম্মপাল কৌশলে কণ্টক টানিয়া বাহির করিয়া দূরে নিক্ষেপ করিলেন, অমুভবে বুঝিতে পারিলেন যে, ক্ষতস্থান হইতে শোণিতস্রাব হইতেছে। কিয়ৎক্ষণ পরে উভয়ে এক বাপীতীরে উপস্থিত হইলেন। ধৰ্ম্মপাল কল্যাণীকে পরিষ্কৃতস্থানে বসাইয়া পুষ্করিণী হইতে উষ্ণীষ ভিজাইয়া আনিলেন এবং বস্ত্রখণ্ড ছিন্ন করিয়৷ o-o-o-o