পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড খাইতে প্রস্তুত হুইত, তাঙ্গর পর প্রচণ্ড আৰ্ত্তনাদ করিবার জন্য ৭ প্রস্তুত হইয়া থাকিত। কিন্তু মারটা যখন মাঝপথে আসিয়াই থামিয়া যাইত, তখন সে অত্যস্তই হতবুদ্ধি হইয়া মায়ের মুখের দিকে চাহিয়া থাকিত, যেন এমন ব্যাপার সে সাত জন্মে দেগে নাই । দিনকয়েক এমনি করিয়া কাটিয়া গেল। তারপর সরোজিনী বলিল,"র্হ্যাগ, খুব ত চুপ করে রয়েছ, আসল কাজ যে বাকি বয়েছে, সেদিকে ইস্ নেই ?” বীরেন্দ্র বলিঙ্গ, "আসল কাজখানা কি ?” “মায়ের কাছে যে মানত করেছি, দিতে হবে না ? আসচে অমাবস্তাতেই দিয়ে ফেলা উচিত।” বীরেন্দ্র সংক্ষেপে বলিল, "আচ্ছা।” সেদিন সকালে উঠিয়া, একবাটি দুধ খাইয়া, বাহিরে আসিয়াই কান্থ আনন্দে চীৎকার করিয়া লাফাইয়া উঠিল, “পাহ, পান্থ, ওমা দেখ পায় এসেছে।” সরোজিলী তাড়াতাড়ি ছুটিয়া বাহির হইয়া আসিল । ছাগল কিনিতে হাটে লোক পাঠানো হইয়াছিল, সে কখন আসিয়া উঠানে ছাগল বধিয়া রাখিয়া গিয়াছে, সরোজিনী তত লক্ষ্য করে নাই । ছেলের চেঁচানিতে বাহিরে আসিয়া সে মাথায় হাত দিয়া বসি পড়িল । কাকু দুই হাতে পান্থকে জড়াইয়া ধরিয়া আনন্দে অস্থির হইয়া উঠিয়াছে। তাহাকে ঘাস খাওয়াইভেছে, গায়ে হাত বুলাইতেছে এবং কোলে তুলিবার ব্যর্থ চেষ্টারও তাহার অস্ত নাই। ছাগলছানাটা খুব যে খুসি হুইয়াছে তাহা বোধ হইল না, তবে ঘাস-পাত খাইতে কোনো প্রকার আপত্তি তাঙ্গার দেখ। যাইতেছে না। সরোজিনী শঙ্কিত হইয়া উঠিল, ছেলের হাত হইতে এটাকে কাড়িয়া লওয়া সম্ভব হইবে কিরূপে ? কিন্তু না লইয়াই বা উপায় কি ? দেবীর নামে যাহাকে সংগ্ৰহ করিয়া আনা হইয়াছে, তাহাকে দেবীর কাছেই উৎসর্গ করিতে হইবে। অন্ত চিন্তা মনে আনাও যে মহাপাপ । কাল্পর মঙ্গলের জন্তই তাহাকে কষ্ট দিয়াও একাজ করিতেই হইবে। ছেলেকে ভুলাইবার চেষ্টায় সে বলিল, “দুর, ও পান্থ হতে যাবে কেন ? তুই এক বোকা, পান্থ কি এত বড় ?” कांछू श्रदखांब्र शंनि शंनिम्नां बलिल, “हेः, श्रांछूहे ७, আমি বুঝি জানি না ? এই দেখ ওর চার পায়ে মলের দাগ রয়েছে।” পায়ুর চারিটি পায়েই যে শাদা লোমের দাগ ছিল তাহা সরোজিনী প্রথমেই লক্ষ্য করিয়াছিল। তাহার আশা ছিল যে বাজে কথা বলিয়া সে কহিকে ভুলাইতে পারিবে, কিন্তু প্রথম চেষ্টাতেই সে পুজের কাছে হার মানিয়া থামিয়া গেল । কাচুকে লইয়। সেদিন আর কাহাকেও কোনো ঝঙ্কটি পোহাইতে হইল না । সে পাকুর কাছ ছাড়িয়া একপাওঁ কোথাও নড়িল না। ছাগলছানাটার স্নানাহারের ব্যবস্থা এত যত্বের সন্ধিত হইত্তে লাগিল ষে সে চীৎকার করিয়া পাড় কঁপাইয়া তুলিল। রাত্রে সরোজিনী শুইতে গিয়া দেখিল তাহার শয্যা অধিকার করিয়া কাকুর পাশে পান্থও বিরাজ কবিতেছে। এবার কাল্পকে গোটাকয়েক চড় থাইতে হইল, কিন্তু তাঙ্গতেও ছেলের দমিবার বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখা গেল না। সেও পাকুর সঙ্গে উঠানে শুষ্টতে চলিল। যুরোজিনী হার মানিয়া শেলে শোবার ঘরের দপ্লঞ্জার কাছে পামুর থাকিবার ব্যবস্থা করিয়া দিল । শঙ্কিত চিত্তে ভাবিতে লাগিল, কাল ত পূজা দিবার কথা কিন্তু পান্থকে ছাড়াইয়া লইবে সে কি করিয়ু ? ঠিক করিল একেবারে খুব ভোরে ভোরে উঠিয়া ছাগলছানাটাকে কোনো প্রতিবেশীর বাড়ী রাখিয়া আসিবে, তাহার পর সময়মত সেখান হইতে কালীবাড়ীতে লইয়া গেলেই চলিবে । কিন্তু যথেষ্ট সকালে উঠিয়াও সরোজিনীকেই হার মানিতে হইল। যে- হ্মং রক্ষা করিতে চায়, তাহারই চক্ষু বিনাশপ্রার্থীর চক্ষুর চেয়ে যে সজাগ তাছা স্বীকার করিতে হইল। সরোজিনী দেখিল একটা ছাগলছনি মাত্র উঠানে বাধা, অন্যটার সন্ধান নাই। কান্থও যে ঘরে নাই, তাহ সে ঘুম ভাঙিয়াই দেখিয়াছিল ; কাজেই তাহার বুঝিতে দেরি হইল না যে, ছুটি পলাতকের সন্ধানই এক জায়গায় মিলিবে। স্বামীকে জাগাইয়া খবরটা দিয়া সে চাকরকে ছেলের খোজে পাঠাইয়া দিল। বৌ-মাহুৰ বলিয়া সে নিজে যাইতে পারিল না, সদর দরজার কাছে দাড়াইয়া এদিক ওদিক তাকাইয়া দেখিতে লাগিল পুত্রের ८कांटन क्लिश्रू cगथाँ शांग्न कि न । -