পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] প্রাচীন মিশরের দেবতা ১৩ Horus) fors i Haroeris fstofa ‘a vasts x{i দেব । উচ্চ মিশরের লোকের Haroerisকে তাহার সাথী 'sit of ombos'এর সহিত, পূজা করিভ । এই শেষোক্ত দেবতা ছিলেন পৃথিবীর প্রতিভূ। এই দুই দেবতাকে প্রায়ই একজন দুই-মাথাওয়ালা-লোকের মূৰ্ত্তিতে অঙ্কিত বা খোদিত করা হইত। আকাশকেও . অনেক সময় Harocris বলা হইত। এই দেবতা দেখিতে ছিলেন ফোট-ফোটা-দাগবিশিষ্ট পালকযুক্ত ছোটো একপ্রকার বাজপক্ষীর মতন । ইনি পৃথিবীর বছ উচ্চে সকল সময় উড়িয়া বেড়াইতেন । ইহার চোখ সকল সময় পৃথিবীর উপর নজর রাখিত । আর-একটি প্রবাদ আকাশ এবং পৃথিবী সম্বন্ধে আছে । আকাশ এবং পৃথিবী বিৰাহিত—একজন স্বামী অপর জন স্ত্রী। পৃথিবীর নাম শিবু এবং আকাশের নাম झुंझेउ { Nuit ) ৷ ইহাদের বিবাহের ফলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল জিনিষের জন্ম হুইয়াছে এবং হুইবে । অনেকে আকাশ এবং পৃথিবীর দেবতা দুইজনকে মানুষের আকারবিশিষ্ট মনে করিত এবং তাহাদের ছবিও আঁকিত দুইজন মানুষের মতনই। এই দুই দেবতার ষে প্রাচীন চিত্র পাওয়া যায়, তাহাতে দেখা যায় যে, আকাশ-দেবের নীচে পৃথিবী-দেবী পড়িয়া আছে। দুইজনেরই মানুষের ৰূপ । অনেকে শিবু—অর্থাৎ পৃথিবীকে – প্রকাও-একটি রাজহংস-রূপে কল্পনা করিত । এই রাজহংসের হংসিনীই হর্ষ্যরূপ অণ্ড প্রসব করিয়াছিল। এই হংসিনী Iাকি এখনও প্রতিদিন এইরূপ একটি করিয়াই সূৰ্য্য-অও প্রসধ করিয়াই চলিয়াছে। স্বর্ধ্য-জগু প্রসব করিবার পর :দবগণকে এই শুভখবর দিবার জন্ত এবং হংসিনীকে बडिमकन कब्रियाँच्न छक्क भूथिशैठमरु ब्रायश्श्न क्किेচাবে চীৎকার করে । এই চীৎকারের জন্ত ইহার আর একটি নাম Ngagu oeru অর্থাৎ বিকট প্যাক-প্যাকRetih sri) (Great cackler) . .

  • Book of the Dead, ch, liv., Naville's Edition,

'ol 1. pl., lxvi ; cf. Lepage-Renouf, Sel, the Great * ackler. আর-একটি বিবরণে পৃথিবীদেবকে প্রকাগু-এক বাড়ের রূপে পাওয়া যায়। এই ধাড় পৃথিবীর সকল দেবতা এবং মানুষের পিতা । মাতা—একটি চমৎকার গরু, ইহার বড়-বড় চোখ ছিল । এই গরুর মাথা আকাশমার্গে উঠিত, এবং ইহার শিৱ-দাড়া দিয়া পৃথিবী প্লাবনকারী জলের ধারা বহিত । এই গরুর শরীরের তলদেশ অর্থাং পেট এবং বক্ষদেশ পৃথিবীর লোকের আকাশৰূপে দেখিতে পাইত। ইহার চারখানি পা পৃথিবীর বিশেষ চার কোণে দণ্ডায়মান ছিল ।

প্রাচীন মিশরীয়দের আকাশের কল্পনার অন্বষায়ী গ্ৰহনক্ষত্রাদির বিষয়ে নানা-প্রকার অদ্ভুত ধারণা ছিল। অ্যাটোকু (Atonu) ছিল একটি আগুনের চাকৃতির মতন দেখিতে, ইনি জীবন্ত দেবতা ছিলেন এবংইহার সাহায্যেই স্বৰ্য্যদেব পৃথিবীর লোকদের সাম্নে নিজেকে প্রকাশ করিত। ইহার আর-একটি নাম ছিল রী। স্বৰ্য্যও এই নামে মিশরে পরিচিত ছিল। আকাশ দেবতার ভান চক্ষু ছিল রা অর্থাৎ সূৰ্য্যদেবতা । মিশরের যে সব স্থানে "হোরাস" আকাশ-দেবতা বলিয়া পরিচিত ছিল-সেইসব দেশে সকালে হোরাস প্রথম বখন চোখ খুলিত তখন পৃথিবীর লোকের সকাল হইত— এবং সন্ধ্যাবেলায় যখন হোরাস চোখ বন্ধ করিত, তখন হইত রাত্রি । " | অনেক স্থানে আকাশকে দেবী বলিয়া মনে করা হুইত সেই সব স্থানে রা’ অর্থাৎ সূৰ্য্য ছিল আকাশ-দেবীর পুত্র। র-এর মা ছিল পৃথিবী। রা প্রতিদিন প্রাতঃকালে নতুন করিয়া জন্মলাভ করিত। স্বৰ্য্যদেব মাথার দুইপাশে ঝাকৃড়া-ঝাকৃড়া চুল লইয়া এবং ঠোঁটের ভিতর আজুল ভরিয়া দিয়া নবাগত মানবশিশুর মতন পৃথিবীতে আগমন করিতেন । o অনেক স্থলে স্বৰ্য্যকে মানবশিশুর মতনই কল্পনা করা হইয়াছে।" জন্ম হুইবামাত্ৰ নাপরিত এবং মাগধোনিত—এই দুই দেবতা সূৰ্য্যকে ধাত্রীর মতন হস্তে ধারণ করিত । মাত্র একঘণ্টা কাল অর্থাৎ দিনের প্রথম ঘণ্টা শিশুস্থধ্য এই দেবীদের তত্ত্বাবধানে থাকিয়া দ্বিতীয় ঘণ্টা হইতেই ইহাদের ত্যাগ করিয়া Nuitএর (আকাশের) পেটের তলা দিয়া সজীব হইতে