পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । কাব্য-কথা లిషిఏ জিনিষপত্ৰ লইয়া অন্তৰ উঠিয়া গেলাম ; অন্তরালবৰ্ত্তিনী উমার বিমদিত বুকে আর আমার ছিন্ন হৃদয়ের কোণে কি ঘটিল সে ইতিহাস নাই স্বলিলাম। আবার নূতন ভাড়াটে আসিল, উমা একবারমাত্র তাহার শাস্ত আয়ত চোখ দুটি মেলিয়া দেখিল, তারপর— আমার গল্প আরো কতদূর চলিত বালতে পারি না, হঠাৎ সাম্নের খোলার বাড়ীতে একটা হৈ চৈ রব উঠাতে চমকিয়া উঠিলাম। দেখিলাম, রাত্ৰি বারোটা বাজিয়া গিয়াছে, অতি প্রত্যুষে বাড়ী ছাড়িতে গুইবে বলিখা স্বপ্ন ও বাস্তব তুলিয়া ঘুমের চেষ্টা দেখিতে লাগিলাম। কাব্য-কথা কবি ও কাব্য ঐ সত্যমুন্দর দাস কবি কে ?—এই কথার সহজ উত্তর, ধিনি কাব্য রচনা করেন, তিনিই কবি। কিন্তু কথাটা এত সহজ নয়, কারণ সঙ্গে সঙ্গে-কাব্য কি ?—এ কথারও উত্তর চাষ্ট, এবং সে উত্তর কঠিন বটে। তথাপি কাব্যের সংজ্ঞানির্দেশের গুরুভার আপাতত: কাব্যামোদী পাঠকের উপরে চাপাহঁয়া ধিনি কাব্যকার, কবি বলিতে র্তাহাকেই বুঝিব। কাব্য কি, তাহার উত্তরে এই মাত্র বলিব যে, “শকুন্তলা’ ও ‘মেঘদূত’ কাব্য, “লিয়ার’ ও ‘টেম্পেষ্ট কাব্য, চিত্রাঙ্গণ ও ‘সোণার তরী" কাব্য। ইহাদের মধ্যে কাব্যবস্তু কোথায়--ছন্দ্বে না বাক্যে, অর্থে না আখ্যাণ-ব্যাখ্যানে, স্বল্পনা-কৌশলে না সম্ভাব-বিকাশে –কি স্বা, এই সকলের সংযোগে, এমন কি সহযোগেরও অধিক একটি অপূৰ্ব্ব চিত্ত চমৎকার বা অমুভূতি-বিগালে—লে আলোচনা বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। আমি কেবল কবি ও :কাব্যের কার্যাগত সম্বন্ধ নির্ণয় করিতে চাই, কীৰ্ত্তি ও কৰ্ত্তার মধ্যে পরস্পরের পরিচয়ের স্বত্র কতটুকু, কবির প্রেরণা ও কাব্যের অভিপ্রায় কিরূপ, তাহারই কিঞ্চিৎ আলোচনা করিব । অতএব প্রথমেই ধরিয়া লইলাম, ধিনি কাব্যকার তিনিই কবি। আর একটু স্পষ্ট করিয়া লই। প্রথমতঃ ধিনি কাব্য রচনা করেন নাই, তিনি কবি নহেন, যথা— নীরব কবি। দ্বিতীয়তঃ খিনি কাব্য রচনা করেন, কবি বলিতে সেই মানুষটিকে বুঝিব না, সেই মানুষটির মধ্যে যে আর একটি মামুখ আছে, কাব্যরচনাকালে যে আত্মপ্রকাশ করে, অথবা আর একটি যে আত্মা যেন র্তাহার উপরে ভর করে, সেই অপর ব্যক্তি বা আত্মাকেই কৰি বলিয়া বুঝিব। বিনি কাব্য রচনা করেন না, তিনি কবি নঙেন— এ কথাটা বোধ হয় বেশি বুঝাইতে হুইবে না। ভাবুক বা রসিকমাত্রেই কবি নহেন, কাব্যের ভাবনা বা ধারণা করিতে পারিলেই কবি হওয়া যায় না, ইহা সকলেই স্বীকার করিবেন। ভাবুক বা রধিকের বল্পনা আছে সত্য, কিন্তু সে কল্পনা বদ্ধ্যা, ভাবুকের মনেষ্ট রুদ্ধ হুইয়া থাকে । দুষ দৈবী প্রেরণার বশে সেই কল্পনা কাব্যস্থষ্টিভে রূপময়ী হইরা উঠে, সে প্রেরণা সকলের ভাগ্যে ঘটে না ; যাহার ভাগে ঘটে, সেই ভাগ্যবানই বাণীর বরপুত্র, তিনিই কবি । আবার যে মাস্থ্যটির মধ্যে এই দৈবী প্রেরণার লীলা দেখিতে পাওয়া যায় সেই মানুষটির সাধারণ মনুষ্যজীবন একরূপ, তাহার কবিজীবন ৰ! কািধ্যগত পরিচয় স্বভয় । ঋবির জীবনে এই দ্বৈত আছে। কাব্যের মধ্যে র্যাঙ্কাকে পাই তাহার মুক্তি, আর সমাজে সংসারে র্যাংকে পাই,