পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԱՅԵ কটমট হয়েছিল। তার জীবনী-লেখক স্বীকার করেছেন যে যদিও ভাষাটি শক্ত হয়েছিল, তবু তার উদেশ্য সাধু ছিল ; তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন মূল পুথির ভাবটি রক্ষা কবুড়ে । কল্যাণরুণ ২৫৫ অৰ্ব্বে চীনে গিয়ে "সদ্ধ সমাধি-স্বজ” চীনা ভাষায় অম্বুবাদ করেন। কল্যাণ-নামে আর-একটি শ্রমণ ভারত থেকে যান ও ২৮১ অক্সে একটি স্বত্র অসুবাদ xton (Sec Nanjio's Catalogue) এইরকমে ভারত থেকে এক-একটি তরঙ্গ গিয়ে ধা দিচ্ছিল চীনের জাতীয় স্থাবনে। সেই ধ| খেয়ে একটা সাড়া পড়েছিল তাদের মধ্যে । ভা’র স্থির হয়ে ভাবতে স্বরু করেছিল,কোল্ট। ত:’র নেবে—-কনফুসিয়সের (Confucius) পুরাণ ধৰ্ম্ম, না বিদেশী বৌদ্ধধৰ্ম্ম । ভারতের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সেখানে গিয়ে বলছিলেন—“বুদ্ধে শরণ লওঁ, সংধে শরণ লও, তা হ'লে নিৰ্ব্বাণ পাবে।” এই ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য তারা চীনে নিজের ইঞ্জির ছিলেন । সেইজন্ম এই দুটো ধৰ্ম্মের মধ্যে একটা সংঘর্ষ উপস্থিত হ’ল । ভারত থেকে বৌদ্ধরা যখন চীপে যেতেন, তখন পথে পড়ত পূৰ্ব্ব তুর্কীস্থান। আগে সেটা মরুভূমি ছিল না, সেখানে বেশ বড়-বড় রাজা গ'ড়ে উঠেছিল। কিণ্ড যেমন বালুয়াশির ঢেউ এসে সে দেশে ঢুকুল, তখন থেকে দেশটি মরুভূমিকে পরিণত হ’ল। কেবল মাঝে-মাঝে এক-একটি ওয়েসিস, আর সেই ওয়েসিস নিয়ে এক-একটি রাজ্য। এই ভীষণ মরুভূমি পার হবার সময় এই ওয়েধিসগুলো খুব সাহায্য কবুত। সেখানে প্রান্ত পথিকেরা আশ্রয় পেত। তাই চীন, তিব্বত এই ছোটে রাজ্যগুলো জয় করবার খুব চেষ্টা করেছিল । চীনের পথের এই আশ্রয়গুলি এইরকমে বৌদ্ধ আডডা হ’য়ে দাড়িয়েছিল, মাঝেমাঝে, বোধ হয়, দু-একটা বৌদ্ধ মঠও গড়ে উঠেছিল। এইরকমে এই জনপদগুলির একধারে চীন, অপর ধীরে গ্রীস ও অন্য ধারে ভারতের প্রভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এখানে এই ভিম সভ্যতা মিলে এক নতুন সভ্যতা গড়েছিল। বৌদ্ধ পরিব্রাজকদের প্রভাবে ক্ৰমে-ক্রমে ७ शनeि cयोक इ'tब उं** । गडबड: ट्रः छूशैब्र প্ৰৰাণী—পৌষ, ১৩৩২ { २८* छां★, २ग्न थ७ শতাব্দীতে এখানে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার ঘটেছিল। সেসময় এখানকার অবস্থা কি-রকম ছিল, বৌদ্ধধর্মের বিস্তার কি-রকম ঘটেছিল,তার ছবি আমরা সার আউরেল স্টাইন সাহেবের কাছ থেকে পেয়েছি । তার অসাধারণ অধ্যবসায়ের ফলে এই মরুভূমির বালুঃাশির মধ্য থেকে কত বৌদ্ধ চিত্রকলার নমুনা, কত পালি, সংস্কৃত পুথির ছিল্প পত্র, কত ধ্বংসাবশেষ আমাদের চোখের সাম্নে wroto I (Sec Stein's Sand-Buried Ruins of Khotan and Ancient Khotan.) যদিও বৌদ্ধধৰ্ম্ম ১ম শতাব্দীতে চীনদেশে প্রথম প্রবেশ করলে, তবু সেদেশে যথার্থ স্থান লাভ কতে ভা’র ২•-- ৩• • বৎসর লেগেছিল । এর কারণ কনফুসিক্টসের { Confucius ) ধৰ্ম্মেয় সঙ্গে সংঘর্ষ । সে-দেশে এধুৰ্ম্ম এত দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে তার স্থান অধিকার শুরুতে বৌদ্ধধৰ্ম্মকে অনেক বিরোধের স্থষ্টি করতে হয়েছিল। সেই বিরোধের ইতিহাস-দুষ্ট শতাব্দীর চলেরই ইতিহাস। একদিকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চেষ্টা, অপর দিকে কনফুসিয়সের ( Confucius ) শিষ্যদের চেষ্টা। যেপধ্যস্ত বৌদ্ধধৰ্ম্ম চীনদেশে রাজা সনে স্থান পায়নি, সেই পৰ্য্যন্ত এই-রকম বিরোধ চলেছিল । এটি সম্ভবপর ইয়েছিল ধখন চীনে আর-একটি নতুন রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই নতুন রাজবংশের প্রতিষ্ঠার তারিখ–es • অব। পূৰ্ব্ব তুকীস্থান ও চীনের মাঝে একজাতীয় লোক বাস করত। তা’রা তিব্বতী জাতীয়। এই চতুর্থ শতাব্দীতে তারা সেই স্থান থেকে এসে চীনদেশ দখল করে ও একটি নতুন রাজবংশ স্থাপন করে। সেই বংশের নাম পূৰ্ব্ব Tsin রাজবংশ। ভাগ্যক্রমে এই রাজবংশ বুদ্ধদেবের ভক্ত হ'tয় পড়েন। তারই ফলে বুদ্ধদেবের ধৰ্ম্ম চীনে আরও বেশী প্রসার লাভ করে। দেশের লোকেরা যখন দেখ লে,যে তাদের রাজাই ভারতের বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করেছেন,জার ভা’র প্রচারের জন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন, তখন তারাও আস্তে-আস্তে নিজেদের ধর্ম ত্যাগ ক’রে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হ’তে লাগল। এই-রকমে বৌদ্ধধর্শ্ব চীনদেশে স্থপ্রতিষ্ঠিত হতে লাগল,কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ষে এ বৌদ্ধধৰ্ম্ম আর বুদ্ধের প্রচারিত