পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾© o এবং সঞ্চয়ের স্তুপ মাত্র, তখন আমাদের জীবন ও আমাদের জগতের মধ্যে সংগ্রামে জীবনই পরাস্ত হয় । প্রাণনদীর স্রোতটি ক্ষীণ হইয়া হুটিয়া যাওয়ায় যে খাদ্ধ বাহির হইয় পড়ে, তাই অবিশ্রাম ধন বর্ষণে পূর্ণ করিতে আমরা চেষ্টা করি কিন্তু দেখি ধে ধন ভরাট করিতে পাfরলেও যোগ স্থাপন করিতে পারে না । সেঞ্জস্ত বস্তুস্তুপের চোরাবালির চাকচিক্য বিপদজনক ফাটলগুলিকে শুধু লুকাইয়া স্থাখে। কিন্তু একদিন যখন আমরা গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন তখন পুঞ্জীভূত বস্তুর ভারে হঠাৎ সব তলাইয়া যায় । কিন্তু আসল দুদৈব মনুষ্যত্বের পরাভবে, বৈবম্বিক অকুদ্বেগের বিনাশে, নহে। মাফুষ তাহার আবেষ্টনকে তাহার প্রাণে ও প্রেমে সজীব করিয়া স্বষ্টিধারা বজায় রাথিয়া চলিয়াছে ; কিন্তু তাহার স্বধোগধৰ্ম্মী দুরাকাজার বশে সেই মামুষেই আবার নিম্মম লোভের দাস হইয়া সমস্ত জগৎকে বিকৃত ও কদৰ্য্য করিয়া তুলিতেছে। মাঙ্কুবের স্বই এই যন্ত্ৰজগতের বেস্বপ্নো অর্জনাদ ও কলের মতন নড়াচড়া মন্তিবের প্রকৃতির উপর বিষম প্রভাব বিস্তার করিতেছে এবং সৰ্ব্বদ এমন একটি বিশ্বংস্থানের w্যোতনা করিতেছে যাহা সম্বন্ধহীন ও নিরপেক্ষ। এহেন জগতে মুক্তির অবকাশ নাই ; কারণ বিচ্ছিন্ন তথ্যের চাপে তাহা মিরেট হুইয়; গিয়াছে। শুধু খাচাটাই সৰ্ব্বস্ব, তাহার বাহিরে আকাশ নাই। তাই জগৎটা সৰ্ব্বভোভাবে একটা বদ্ধ জগৎ ; কঠিন থোলার ভিতর বীজের মস্ত বন্দী । কিন্তু বীজের মৃত্মস্থলে তখনও প্রাণ কাদিতেছে মুক্তির জন্য তাহার সম্ভাবন । পৰ্য্যস্থণ্ড যখন মৌন অন্ধকারে আচ্ছন্ন। মুক্তর জন্ত এই জীবস্ত পিপাসাকে যখন কোন একটা বিধাট লোঙ পদদলিত করিয়া স্তব্ধ করিয়া দেয়, তখন ক্ষুণশক্তিহীন ধীজের মত মানব সভ্যতা মরিয়া যায় । ভারতের মুক্তির আদর্শ নিক্রিয়তা-তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত, ইহা পূর্ণভাবে সত্য নহে। ঈশোপনিষৎ উচ্চকণ্ঠে প্রচার করিয়াছেন যে, মানুষের কৰ্ত্তব্য শত্যযু হইয়া কৰ্ম্ম করা। কারণ ইহার মতে পূর্ণতার নিক্রিয় আদর্শ এবং তাহার বিকাশের সক্রিয় পদ্ধতির মিলন করা চাই, প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩২ [ २¢* छांग, २ञ्च थ७ অসীম ও সসীমের সমন্বন্ধসাধন চাই ; ইহাতেই পূর্ণ সত্য। স্বতরাং শুধু অসীমকেই চরম সত্য বলিয়া যাহারা অনুসরণ করে, তাহারা গভীরতর অন্ধকারে পতিত হয় ; তাহাঁদের তুলনায় সসীমবাদীদের অধঃপতন কম গুরুতর। পরিবর্তনশীল কতকগুলি স্বরের সমষ্টিতেই অপরিবর্তনীয় সঙ্গীতের চরম তাৎপৰ্য্য বলিয়া যে বিশ্বাস করে, সে নিশ্চয় নিৰ্ব্বোধ ; কিন্তু যে ব্যক্তি ভাবে সঙ্গীতে স্বরের কোন বালাই নাই, তাহার নির্ধ্ব দ্বিতা ততোধিক। কিন্তু সমম্বয় crf«t: ? galvesti (Transcendental ) সঙ্গীত কেমন করিয়া বিচ্ছিন্ন স্বরগ্রামকে তাহার আত্মপ্রকাশের বাহন করিয়া লয় ? ইহার স্বষ্টির পর্বে পৰ্ব্বে যে ছন্দ, যে সীমা দেখা দেয় তাহার দ্বারাই ইহা সম্ভব হয় । সসীমের পস্থা অতিক্রম করিয়াই আমরা অসীমকে লাভ করি । এই কথাই ঈশোপনিষৎ ইঙ্গিত করিয়াছেন— "বিদ্যাঞ্চবিদ্যাঞ্চ যুগুছেদোভয়ং সহ अदिमाग्न श्रृङ्कार डोय1 बिनाघ्राक्ष्यूडभन्नु८उ ।” সীমার ছন্দেই আমাদের জীবন সুনিয়ন্ত্রিত এবং তাহার বিধিনিবেধের ভিতর দিয়াই আমরা অমরত্ব লাভ করি । অমৃতত্ব মাত্র এই বাহ জীবনের প্রসারুমাত্র নহে—ইহা পূর্ণভার সিদ্ধি, ইহা জীবনের স্বসঙ্গত স্বনীর সীমানির্দেশ ; প্রাণ প্রতি মুহূৰ্বে সেই সীমা অতিক্রম করিয়া ভূমাকে প্রকাশ করে । ঈশোপনিষদের প্রথম শ্লোকেই উপদেশ আছে, মা গৃধ: ; লোভ কৰিও না। কিন্তু কেন করিব না ? কারণ লোভ সীমার মর্য্যাদা রক্ষা করে না বলিয়া জীবনের ছন্দকে বিনষ্ট করে ; সেই ছন্দের ভিতর দিয়াই যে অসীম আত্মপ্রকাশ করেন। আধুনিক সভ্যতায় দেখি আত্মহননকারীদের সংখ্যা বাড়িতেছে । ইহারা আধ্যাত্মিক আত্মঘাতক। এই সভ্যতায় অনিয়ন্ত্রিত বাসন ও অহম্কে অতিস্ফীত করিয়া তুলিবার অন্তহীন প্রবৃত্তি সীমাবদ্ধ করিবার শক্তি চলিয়া গিয়াছে। জীবনের ধৰ্ম্ম হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়াছি বলিয়াই আমরা জীবনের সৌন্দৰ্য্যসংস্কৃতিও স্থারাইতেছি । অলীক কবির মত আমরা বাকচাতুর্ঘ্যকেই শক্তি বলিয়, বাস্তববাদকে সত্যবস্তু বলিয়া, ভ্ৰম করিতেছি। মধ্যযুগে যখন ইউরোপ স্বৰ্গরাজ্যে আস্থাবান ছিল, তখন জীবনের বিচিত্র শক্তিকে