পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo دسته - امید - س বা আহত হইয়া অকৰ্ম্মণ্য হইলে অল্প যোদ্ধার সহিত যুক্ত করিতে-করিতে বৃহ-বেষ্টিত পৃথ্বী পশ্চিমমুখে অগ্রসর হইয়াছিলেন। কখনও একজন যোদ্ধাকে এককালে দুইজন আক্রমণ করে নাই। সূৰ্য্যাস্তের সময়ে উভয় দল বস্ত্রাবাস খাটাই বিশ্রাম করিত, সেবকর খাদ্য প্রস্তুত করিত। তখন ফান্ধন মাস, অনেকে খোলা মাঠেই নিদ্রা যাইত । রাত্রে, দিল্লীর মূল ইচ্ছা কৰিলে পলাইতে পারিতেন, কিন্তু সে চেষ্টা করেন নাই । সুৰ্য্যোদয়ের পর, গত বৈকালে যত্তদুং যুদ্ধ করিতে-করিতে আসিয়াছিলেন, সেইখানে ধাড়াইয়া আবার যুদ্ধ করিতে-করিতে অগ্রসর হইতেন । দিল্লীর দল সোরোতে গঙ্গাতটে সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে পছছিলেন, গঙ্গাতে ধাপ দিবার পরই যুদ্ধ বন্ধ झझेल । জয়চন্দ কনৌজে প্রত্যাগমনের সময়ে পথে যে হতাহত যোদ্ধাদের পাইলেন, তন্মধ্যে উভয় পক্ষের হতদের সৎকার করিয়া কনোজের আহতদের আপনার সঙ্গে লইয়া গেলেন ও দিল্লীর আহতদের ক্ষত স্থানে ঔষধ দিয়া বাধিয়া, অতি মৃত্বে দোলায় করিয়া, দিল্লী পাঠাষ্টয়া দিলেন। ইহাদের মধ্যে জয়চন্দের এক ভ্রাতুঙ্গুল্ল ছিলেন, তিনি রাগ করিয়া কনোজ ভাগ করিয়া পৃথ্বীর আশ্রয় লইয়াছিলেন। তাহার সহোদর কনোজের দলে ছিলেন, যুদ্ধের সময়ে, ঘটনাক্রমে, দুই সহোদরে যুদ্ধ হইয়াছিল, ও উভয়ে আহত হইয়া পথে পড়িয়াছিলেন । এক ভ্রাত কনৌজে অন্য ভ্রাতা দিল্লীতে প্রেরিত হইলেন । আহত সম্বন্ধে রাজপুতর শক্ৰমিত্রে প্রভেদ করিত না, সকলেরই অতি যত্বে সেবা করিত। জয়চন্দ কনৌজ প্রত্যাগমন করিয়া কন্যা ও জামাতার প্রাপ্য দানের দ্রব্যাদি পঠাইয়া দিয়াছিলেন । এ অভিমানে কেবল পৃথ্বীর বাহুবল চুর্ণ হইল না, জয়চম্বও দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িলেন । পৃথ্বীর পতনেয় এক বৎসর পরে মুসলমানেরা—যাহারা বহুবার তাহার কাছে পরাজিত হইয়াছিল—তাহাকে ও পরাজিত করিয়া উত্তর ভারতে হিন্দুরাজ্যের চিহ্ন লোপ করিল। ংযুক্ত হৰণ হইয়াছিল তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু কবে হুইয়াছিল সে-বিষয়ে সন্দেহ ও মতভেদ আছে। প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩২ [ २ं प्ठांशं,२ध्रं क्षे९ মদনপুরের শিলালেখ-মতে সম্বৎ ১২৩৯ [ ১১৮২ খৃঃ ] মহোবা জয় হইয়াছিল। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, এই যুদ্ধে কনোজপতি জয়চন্দ্ৰ পৃথ্বীর বিপক্ষে পরমাল চন্সেলকে সাহায্য করিয়াছিলেন, ও সাহায্যের কারণ [ দপ্তকথা ও আলঙ্গ গান অনুসারে | সংযুক্ত-হরণের অপমানের প্রতিশোধ বলা হুইয়া থাকে ; সেইজন্য আগে সংযুক্ত+ হরণ সংক্ষেপে গাহিয়। তবে মহোবার যুদ্ধ গান করা হয় । একথা সত্য হইলে, ১১৮২ খৃষ্টাব্দের পূর্কেই হরণ হইয়া থাকিবে । কিন্তু এই সংযুক্ত-স্করণে পৃথ্বীরাঞ্জের বাহুবল একেবারে চূর্ণ হইয়া গেল, তিনি কোনও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর সহিত যুদ্ধ করিবার উপযুক্ত রছিলেন না। তিনি সে লুপ্ত বল আবার সঞ্চমু করিবার কোন চেষ্টা করেন নাই পৃথ্বী অল্প কিছু কাল, সংযুক্তাব মনোরঞ্জনের জন্য নানাপ্রকার শিবারে তাহাকে সঙ্গে লই য়ু, বলে, জঙ্গলে, ঘুরিয়া বেড়াইলেন ; পরে রাজকাৰ্য মন্ত্রীদের স্বন্ধে চাপাইয়া সংযুক্তার অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । তাগল যে কয়টা সুর বঁচিয়াছিল, তাহার রাজার অন্তঃপুর বাসকালে মন্ত্রীদের আধিপত্য সহ করিতে পারিল না, বিরক্ত হইয়া কেহ বা আপনার দেশে চলিয়া গেল, কেহ তীর্থ ভ্রমণ করিবার ছল করিয়া পৃথ্বীকে ত্যাগ করিল ; রাজ্য অরক্ষিত অবস্থায় পড়িয়া রছিল । ঘোরীর মতন দুর্দশী চতুর শক্র এ অবসর ত্যাগ করিলেন না, দ্বিতীয় বার বলসঞ্চয় করিবার পূৰ্ব্বেই পৃথ্বীকে আক্রমণ করিলেন। পৃথ্বী সংযুক্তার অন্তঃপুর হইতে ছয় মাস বাহিরে আসেন নাই। সংযুক্ত আপনার প্রাসাদের পুরুষ-প্রহরী ও সেবকদের তাড়াষ্টয়া স্ত্রী প্রহরিণী ও সেবিকা নিযুক্ত করিয়াছিল, তাহার বিস্তুত প্রাসাদ ও বাগানে একটিও পুরুষ ছিল না। রাসোতে আছে যে পৃথ্বীরাজের রাজধানীতে [ দিল্লী হউক বা আজমীর ] ঘোরীর অনেকগুলি গুপ্তচর ছিল, তাহার কাবুলী অশ্ব-বিক্রেতা ইত্যাদি নানা বণিকের ও মুসলমান ফকিরের বেশে সংবাদ সংগ্ৰহ করিত। পৃথ্বীর লেখক-সম্প্রদায়ের একটি বিশ্বাসঘাতক উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারী গুপ্ত সংবাদ বিক্রয় করিত। প্রয়োজন হইলে, শীঘ্রগামী উই-পৃষ্ঠে বিশেষ বাহক দ্বারা সংবাদ প্রেরণ করা হইত।