পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] সহায়তা করবে, ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয়ু চিঙ্কা ছাড়া এরকম বলবতী অন্ত কোন চিন্তা হবে না, কিংবা তা’র চরিত্রগঠনে সহায়তা করবে না । ধৰ্ম্মচিস্তা আর অর্থচিস্তা এদুটি হ’ল মামুষের মূল চিস্তা। ধৰ্ম্মচিন্তু অতি তীব্ৰ হ’তে পারে কিন্তু মানবজীবনে বেশীর ভাগ সময় দখল করেছে অর্থচিন্তা বা জন্মছিস্তা। অন্নfচন্তা চমৎকার। যে কাজের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ হয়, বেশীর ভাগ সময় মানুষ তা’র কথাই ভাবে, তা’র সহকৰ্ম্মীদের সঙ্গে প্রভুর প্রভাব সবই তা’র চরিত্রগঠনে সহায়ুভা করে । আমি অধ্যাপক, আমার চিন্তা সৎ, যাদের সঙ্গে মিশ বার স্বযোগ হয় তারাও সং, আমার চরিত্র ভালো হওয়াই স্বাভাবিক। চুরি করে জীবিকানিৰ্ব্বাহ ধৰ্ব্বলে, ভাবলে চুরির কথা, সঙ্গী হ’ল সব চোর-বদমাইস, আর আদশ হ’ল একটা চোরের সর্দার ভt’তে ভা'র চরিত্র ক্রমশঃ খারাপ না হওয়াটাই অস্বাভাধিক । ভা’র পর আর-এক কথা। দারিদ্রাদোষে গুণরাশিনাশী । নিজের পরিবারকে খাওয়াতে-পত্নীতে পারে না, বন্ধুত্ব করবার সামর্থ্য নাই, শারীরিধ, মানসিক, নৈতিক--তিনদিকেই দরিদ্রর হ’ল ক্লিষ্ট । অৰ্দ্ধভূক্ত অবস্থায় কঠিন পরিভ্রম ক’রে এসে না আছে একটু শান্তি না আছে একটু বিশ্রাম। এতে মানসিক বৃত্তিগুলির বিকাশ বা কি ক’রেই হয় ? টাকাপয়সা ধথেষ্ট আছে, শক্তি আছে, মুখ আছে—তাদের ঘেম নিজের কিংবা ছেলেপিলেদের মানসিক উন্নতি করবার স্বযোগ, এমন কি আর হতভাগ গরীবদের হয় ? তাই মানবচরিত্রের উপর ধনের এত আধিপত্য যে মানুষের দিক বাদ দিলেই ধনবিজ্ঞান হ’ল অসম্পূর্ণ। সেই সম্পূর্ণতা দিয়েই ধনবিজ্ঞানের আসন এত উচ্চে পেতেছেন আঞ্জকালকাঃ ধনবিজ্ঞানবিদর, I যদি মানুষ নিয়ে আলোচনা করাই হ’ল ধনবিজ্ঞানের প্রধান কি, তা হ’লে সমাজবিজ্ঞানের সঙ্গে এর তফাৎ for Marshall o'costga, “it is a part of the study of man.” ফরাসী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক Gide তা’র উত্তর দিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই

  • * * * of all relations which exist between beings living in society, Political Economy deals with those alone which tend to the satisfaction

ՊԵտաԸ ধনবিজ্ঞান, মানব ও সামাজিক বিজ্ঞান ○"。 of their material wants with all that concerns his well-licing. সমাজে বাস ক’রে মানুষের যত-রকম সম্বন্ধ আছে ধনবিজ্ঞান কেবল সেগুলি নিয়ে আলোচনা ক’রে ধাতে ক’রে তা’র জড় পদার্থের অভাব দূর হয় ও ধাতে ক’রে সে স্বাচ্ছন্দ্য পেতে পারে। সোজা কথায় ধনবিজ্ঞান হচ্ছে সমাজবিজ্ঞানের এক অধ্যায়। এবং এটি যত পূর্ণভার দিকে অগ্রসর হয়েছে, অধ্য সামাজিক বিজ্ঞান এতদূর অগ্রসর হতে পারেনি। তা’র কারণ মiহ্য যে-কোন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ আরম্ভ করুক না কেন, শারীরিক পারিতোষিক পাওয়ার প্রবর্জনাই তাকে অবিচলিতভাবে সে কাজে লাগিয়ে রাখতে পারে। প্রত্যেক প্ৰবৰ্ত্তনারই সাম্নে আছে নির্দিষ্ট-পরিমাণ অর্থ। মানুষের আশ, উচ্চাভিলাষ এবং অস্থয়াগ, সবই তাদের বাহিক প্রকাশে নিদিষ্ট-পরিমাণ অর্থের দ্বারা মোটামুটি পরিমিত হতে পারে। দু’জন মানুষ মদ খেয়ে কি মুখ পেলে, তা প্রত্যক্ষ ভাবে তুলনা করতে না পারলে ওঁ, কিংবা একজন মানুষের দুঃসময়ের মদ খাওয়ার আনন্দের তুলনা প্রত্যক্ষভাবে না করতে পারা গেলেও, যদি একটি মামুখ চা খাবে, না তামাক খাবে,কি পায়ে হেঁটে বাড়ী যাবে, না ঘোড়ায় চড়ে বাড়ী যাবে, এ তিনটার কোপোর্টা করতে ঠিক ক’রে উঠতে পারছে না, তখন আমরা বেশ বুঝতে পারি যে তিনটে কাজেই সে সমান আনন্দ পাবে। আর যেগুলি প্রত্যক্ষভাবে তুলনা কতে পারা যাচ্ছে না, সেগুলিও ভা’র আয়ব্যয় দেখে, তা’র কাজ করবার মানসিক তাড়না দেখে অনেকটা মোটামুটিভাবে তুলনা করতে পারা যায়। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে ধনবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় হ’ল একটি দেশ, একটি জাতি ব্যক্তিগত চরিত্রের ভারতম্য নিয়ে ধনবিজ্ঞান আলোচনা করে না। তাই ধনীর সঙ্গে দরিজের স্বথের ভারতম্য, এবং অন্য সব তারতম্য গড়ে সব ঠিক হ’য়ে যায়। ভাই ধনবিজ্ঞান বস্ত পূর্ণতার দিকে নিতুলতার দিকে অগ্রসর হয়েছে, আগু কোনো সামাজিক বিজ্ঞান এতদূর হয়নি। অধ্যাপক Marshall on Just as the chemist's fine balance made chemistry