পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] -- - _o. murderer or a ravisher or a smuggler or a pimp or procurer or forger or thief or dacoit, you may heka patriot, speakihg and writing and generally fighting for the cominunity's cause: you may lie a social service worker: you may he a journalist and “ducator: you may he building up a pioncer industry: you may lie stimulating cultural interest in non-Burman things of intellect : you make yourself undesirable to the Administration, a case is vamped tıp against you; you are kicked ont of a province which is part and 1 trol of the British Indian Empire.” তাৎপর্ঘ্য —তুমি দাগী আদামী বা ‘পুরাতন পাপী নও ; তোমাপ বিরুদ্ধে নরহত্য, বলাৎকার, জাল ডাকাতি ইত্যাদি ছুনীতিমূলক কাজের অভিযোগ না থাকিতে পারে ; তুমি হয়ত লোকহিতাৰ্থ বক্সত কর বা লেখ । তুমি সমাজসেবক হইতে পাের: তুমি সাংবাদিক ও শিক্ষক হইতে পার : তুমি হয় একটা নুতন পণ্যশিল্পের কার্গান গড়িয়া তুলিতেছ ; তুমি হয়ও ব্রহ্মদেশের বাহিরের জ্ঞান ও সভ্যতা-সম্বন্ধীয় কোন বিষয়ে তথাকার লোকদের কৌতুহল ও আগ্রহ জন্মইতে চেষ্টা করিতেস্থ –এহেন তুমি ব্ৰহ্মের শাসকদের কুনজরে পড়িলে এবং উহার তোমাকে একজন আবাহনীয় মানুষ মনে করিলেন : তোমার নামে একটা মেীকদম গড়ির তোলা হইল ; ফলে ব্রিটিশভারতীয় সাম্রাজ্যেরই একটি অংশ ইষ্টতে তুমি ক্ষড়িত হইলে ।” “:রসুন মেল” যেরূপ সন্দেহ করিয়াছেন, তাই। আমাদের অমূলক মনে হয় না। যুদ্ধ ও সভ্যতা যুদ্ধের কোন গুণ নাই, কোন উপকারিত নাই, ইহা কেহ বলিতে পারে না। যুদ্ধ করিতে হইলে নিৰ্ভীকতা ৪ বীরত্বের দরকার হয়। একই উদ্বেগু সাধনের জন্য হাজার-হাজার লক্ষ-লক্ষ লোককে দল বাধিয়া একাগ্রভাবে নেতার আদেশ মানিয়া স্বশৃঙ্খলার সহিত কাজ করিতে ইয়। যে-কোন মুহূৰ্ত্তে দ্বিধা না করিয়া সকল প্রকার কষ্ট সছ করিবার নিমিত্ত, সুৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিবার নিমিত্ত, প্রিয়তম আত্মীয়-বন্ধুর মায়া কাটাইয়া প্রাণ দিবার নিমিত্ত প্রস্তুত থাকিতে হয় । কিন্তু এমন অনেক লোকহিতকর কাজ আছে, তাহীতে এই প্রকার নিভীকতা, বীরত্ব ও আত্মোৎসর্গের প্রয়োজন হয়। লোকহিতকর কাজ করিতে গিয়া এরূপ নিৰ্ভীকতা, বীরত্ব ও আত্মোৎসর্গের সহিত অনেকে প্রাণ দিয়াছেন, যাহা যুদ্ধে প্রদর্শিত ঐসকল গুণ অপেক্ষ কোন অংশেই নিকৃষ্ট নহে, বরং শ্রেষ্ঠ । কেননা, যুদ্ধের উত্তেজনায় বিবিধ প্রসঙ্গ—যুদ্ধ ও:সভ্যতা Y&6: প্রাণ দেওয়া অপেক্ষা ( দৃষ্টান্ত-স্বরূপ ) বা কুষ্ঠরোগীর বা প্লেগরোগীর উত্তেজনাবিহীন সেবা করিতে গিয়া নিজে ঐ ঐ রোগে আক্রান্ত হইয়া প্রাণ দেওয়া অধিক বীরত্ব, নিভীকতা ও আত্মোৎসর্গের কাজ । যুদ্ধে নৃশংসতা, মিথ্যাচরণ, পরস্বাপহরণ, নারীচরিত্রের অবমাননা, নারীর উপর পাশব অত্যাচার, নির্দোষ লোকদেরও প্রাণনাশ, সৰ্ব্বস্বনাশ,গ্রামনগর জালাইয়া দেওয়া, প্রভৃতি বৰ্ব্বরোচিত কাজ কত যে হইয়া থাকে, তাহার ইয়ত্ত নাই । এইজন্ত দার্শনিক উইলিয়ম্ জেমস, যুদ্ধের অনিষ্টকর অঙ্গগুলি থাকিবে না অথচ যুদ্ধে যে সকল সদগুণ বিকশিত হয় তাহা বিকশিত হইবে, যুদ্ধের সমতুল্য স্বনীতি সঙ্গত এরূপ কোন অল্পষ্ঠান বা কৰ্ম্মের উদ্ভাবন আবশ্বক, বলিয়া গিয়াছেন । সভ্যদেশে দু’জন সভ্য মানুষের মধ্যে সম্পত্তি-ঘটিত কোন বিবাদ হইলে তাহারা সাধারণতঃ আদালতের বা সালিসীর আশ্রয় লইয়া থাকে, পরস্পরের মধ্যে মারামারি করিয়া বিবাদ-নিম্পত্তির চেষ্টা করে না ; একজন মানুষ আর-একজনকে জখম বা খুন করিলে হত বা আহত ব্যক্তির আত্মীয় বন্ধু-বান্ধবেরা সাধারণতঃ স্বয়ং হস্তা বা আততায়ীকে শাস্তি দেয় না, আদালতে নালিশ করিয়া বা সৰ্ম্মলসী দ্বারা তাহাকে দণ্ডিত করিতে চেষ্টা করে । বিবাদ-নিম্পত্তি ও অপরাধীকে শাস্তি দিবার ভার নিজের না লইয়। রাজশক্তির উপর বা সালিসের উপর সেই ভার অর্পণ, সভা সমাজের একটি লক্ষণ । কিন্তু সভ্যদেশে-সভ্যদেশে, সভ্যজাতিতে-সভ্যজাতিতে, উক্ত-প্রকার কোন বিরোধ ঘটিলে তাহারা নিজেই যুদ্ধ করিয়া মায়ুমারি কাটাকাটি করিয়া থাকে। তথচ আমরা “সভ্য জগৎ” কথাটি ব্যবহার করিয়া থাকি । কিন্তু বস্তুতঃ মাজুষে-মানুষে মারামারি যেমন অসভ্যতার চিহ্ন, দেশে-দেশে জাতিতে-জাতিতে যুদ্ধও তেমনি বৰ্ব্বরতার লক্ষণ । এই কারণে বহুবৎসর পূর্ব হইতে দেশে-দেশে বিবাদ ঘটিলে আন্তর্জাতিক সালিসী দ্বারা তাহার নিম্পত্তির চেষ্টা হইতেছে। এমন অনেকগুলি ঝগড়া এইপ্রকারে রক্তপাত