পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় শৃংখ্যা ] AAAAAAAS SSAS SSAS SSASAMMAAA AAAA AAAAAS SASAAAAASA SSASAS SSAS পশ্চিমাত্রীর জারি । ארצ মধ্যে বাস করি। শিশুর জীবনের ষে সত্য, তার সঙ্গে অবাস্তরের মিশোল নেই। তাই তার দিকে যখন চেয়ে দেখবার অবকাশ পাই, তখন প্রাণলীলার প্রত্যক্ষ স্বরূপটি দেখি, তাতে সংস্কারভারে পীড়িত চিন্তাক্লিষ্ট মন গভীর তৃপ্তি পায় । শিশুর মধ্যে আমরা মুক্তির সহজ ছবি দেখতে পাই । মুক্তি বলতে কি বোঝায় ? প্রকাশের পূর্ণতা । ভগবানসম্বন্ধে প্রশ্নোত্তর-ছলে ঋষি একটি চরম কথা বলেছেন : স ভগ্নব কস্মিন প্রতিষ্ঠিত ইতি ? স্বে মহিন্নি । সেই ভগবান কিসের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ? তার উত্তর, নিজের মহিমাতেই । অর্থাৎ তিনি স্ব প্রকাশ। শিশুরও সেই কথা । সে আপনাতে আপনি পরিব্যক্ত। তাকে দেখে আমাদের যে আনন্দ সে তার বাধামুক্ত সহজ প্রকাশে । যুরোপে আজকাল চিত্রকলার ইতিহাসে একটা বিপ্লব এসেছে দেখতে পাই। এতকাল ধ’রে এই ছবি অঁাকার চারদিকে হিন্দুস্থানী গানের তানকৰ্ত্তবের মতো—যে-সমস্ত প্রভূত ওস্তাদী জ’মে উঠ ছিল, আজ সকলে বুঝেছে তার বারে আনাই অবাস্তর । তা মুঠাম হ’তে পারে, কোনো না কোনো কারণে মনোংর হ’তেও পারে, তার আড়ম্বর-বাহুল্যে বিশেষ-একট। শক্তি-সম্পদও প্রকাশ করতে পারে ; অর্থাৎ ঝড়ের মেঘের মতো তার আশ্চৰ্য্য রঙের ঘটা থাকৃতে পারে, কিন্তু আসল যে-ঞ্জিনিষটি পড়েছে ঢাকা, সে হচ্চে সরল সত্যের সুৰ্য্য, যাকে স্বচ্ছ আকাশে তার আপন নিৰ্ম্মল মহিমায় দেখে বিশ্ব আনন্দিত হয় । গান বলো চিত্র বলো কাব্য বলে ওস্তাদী প্রথমে নম্রশিরে—মোগল দরবারে ঈস্ট ইণ্ডিয়া কম্পানির মতো—তাদের পিছনে থাকে । কিন্তু যেহেতু প্রভুর চেয়ে সেবকের পাগড়ির রং কড়া, তার তক্‌মার চোখ-ধাধানি বেশি, এই কারণে তারা ভিড়ের উৎসাহ যতই পায়, ততই পিছন ছেড়ে সাম্নে এসে জমে যায়। যথার্থ আর্ট তখন হার মানে, তার স্বাধীনতা চলে যায়। যথার্থ আর্টের মধ্যে সহজ প্রাণ অাছে ব’লেষ্ট তার বুদ্ধি আছে, গতি আছে ; কিন্তু যে-হেতু কাল্পনৈপুণ্যট। অলঙ্কার, যেহেতু তাতে প্রাণের ধর্শ্ব নেই, তাই তাকে প্রবল হ’তে দিলেই আভরণ হয়ে ওঠে শস্থল, তখন সে আর্টের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বদ্ধ করে দেয়, তার গতিরোধকৰে, তখন যেটা বাহাঙ্কুরি করতে থাকে সেটা আত্মিক নয়, সেটা বৈষয়িক ; অর্থাৎ তার মধ্যে প্রাণগত বৃদ্ধি নেই, दखश्रङ मकब्र चादइ । उोहे श्राभांप्नद्र श्कूिशांनौ श्रादन বৃদ্ধি দেখতে পাইনে। তানসেন প্রভৃতির অক্ষয় কমণ্ডলু থেকে যে-ধারা প্রবাহিত হয়েছিল, ওস্তাদ প্রভৃতি জছমুনি কারদানি দিয়ে সেটি গিলে খেয়ে বসে আছে। মোট কথা, সত্যের রসরূপটি সুন্দর ৪ সরল ক’রে প্রকাশ করা ষে কলাবিদ্যার কাজ অবাস্তরের জঞ্জাল তার সরচেয়ে শক্র । মহারণ্যের শ্বাস-কন্তু ক’রে দেয় भशंखचल । আধুনিক কলারসজ্ঞ বলচেন, আদিকালের মানুষ তার অশিক্ষিত-পটুত্বে বিরলরেখায় যেরকম সাদাসিধে ছৰি অঁাকৃত, ছবির সেই গোড়াকার ছাদের মধ্যে ফিরে না গেলে এই অবান্তরভার-পীড়িত আর্টের উদ্ধার নেই। মাহুষ বারবার শিশু হ’য়ে জন্মায় ব’লেই সত্যের সংস্কার-বর্জিত সরলরূপের আদর্শ চিরন্তন হ’য়ে আছে, আর্ট কেও তেমনি শিশু-জন্ম নিয়ে অতি-অলঙ্কারের বন্ধনপাশ থেকে বারে বারে মুক্তি পেতে হবে । এই অবাস্তুর-বর্জন কি শুধু আর্টেরই পরিত্রাণ ? আজকের দিনের ভারঞ্জর্জর সভ্যতারও এই পথে মুক্তি। মুক্তিদু সংগ্রহের বাহুল্যে নয় ভোগের প্রাচুর্ঘ্যে নয়, মুক্তি-ঘে আত্ম-প্রকাশের সত্যতায়, আজকের দিনে এই কথাই মানুষকে বারবার স্মরণ করাতে হবে । কেননা আজ মানুষ যেরকম বন্ধনজালে জড়িত, এমন কোনো দিনষ্ট ছিল না । লোভ-মোহের বন্ধন থেকে মাহুৰ কৰেই বা মুক্ত ছিল ? কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তির সাধন ছিল সজাগ । বৈষয়িকতার বেড়ায় তখন ফাক ছিল, সেই ফাকের ভিতর দিয়ে সত্যের আলো আসত ব'লে সেই আলোর প্রতি কোনো দিন বিশ্বাস যায়নি । আজ জটিল অবান্তরকে অতিক্রম ক’রে সরল চিরন্তনকে অস্তরের সঙ্গে স্বীকার করবার সাহস মাচুষের চ'লে গেছে। আজ কত পণ্ডিত তথ্যের গভীর অন্ধকূপে ঢুকে টুকরোটুকরো সংবাদের কণা খুটে খুটে জমাচ্চেন। স্কুরোপে